Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » » দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানব মেহেরপুরের গাংনীর সাহেবনগর গ্রামের সৈনিক শাহ আলমের ৩৬ তম তম মৃত্যুবার্ষিকতে কেই স্মরণ করেনি আজ




দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানব মেহেরপুরের গাংনীর সাহেবনগর গ্রামের সৈনিক শাহ আলমের ৩৬ তম তম মৃত্যুবার্ষিকতে কেই স্মরণ করেনি আজ দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানব মেহেরপুরের গাংনীর সাহেবনগর গ্রামের সৈনিক শাহ আলমের ছত্রিশ তম মৃত্যুবার্ষিকতে কেই স্মরণ করেনি আজ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে একাধিকবার জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছেন তিনি। ১শত মিটার স্প্রিন্টে পরপর দুবার রেকর্ড গড়ে সোনা জিতে দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানব হয়েছিলেন। কিন্তু দেশের ইতিহাসে সেরা অ্যাথলেট চলে গেছেন অসময়ে। মাত্র আটাশ বছর বয়সেই নিভে যায় শাহ আলমের জীবনপ্রদীপ। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। বলছিলাম মরহুম শাহ আলমের কথা। এশিয়া মহাদেশের সাবেক দ্রুততম মানব শাহ আলমের কথা। মেহেরপুর তো বটেই গোটা বাংলাদেশের গর্ভের নাম ছিল শাহ আলম। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলমের আজ ৩৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী। উন্নব্বই সালের উনত্রিশে মে, অর্থাৎ আজকের দিনে গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকায় ফিরছিলেন সেনাবাহিনীতে কর্মরত এশিয়ার দ্রুততম মানব শাহ আলম। কিন্তু পথে পাবনার দাড়িয়াপুরে তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান তিনি।শাহ আলমের মৃত্যু সে সময় হতবিহ্বল করে দিয়েছিল গোটা দেশকে। স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল সেই সময় দেশের ক্রীড়াঙ্গন। শাহ আলম নামটা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম আলোচনায় আসে চুরাশি সালের কাঠমান্ডুতে প্রথম সাফ গেমসে। সেবার সাইদুর রহমান ডন, আফতাব মোল্লা ও মুজিবুর রহমান মল্লিকের সঙ্গে জিতেছিলেন ৪ গণিতক ১ শত মিটার রিলের দলীয় সোনা। সেবারই ফটোফিনিশে ১শত মিটার স্প্রিন্টে বাংলাদেশে আফতাব মোল্লাকে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানব হয়েছিলেন ভারতের আদিল সুমনওয়ালা।আফতাবের সেই অপূর্ণতা ভুলিয়ে দিতে সময় নেননি শাহ আলম। পরের বছরই পচাশি ঢাকায় দ্বিতীয় সাফ গেমসে আদিল সুমনওয়ালার গড়া দশ.৯০ সেকেন্ডের রেকর্ডটি ভেঙে (দশ.৮০) দক্ষিণ এশিয়ার নতুন ‘দ্রুততম মানব’ হয়েছিলেন শাহ আলম। দেশে তখন সাড়া পড়ে যায়। দুই বছর পর সাতাশি কলকাতা সাফ গেমসে নিজের রেকর্ড ভেঙে দশ.উনআশি সেকেন্ড সময় নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ১শত মিটার স্প্রিন্টে দক্ষিণ এশিয়ার মুকুট মাথায় তোলেন বাংলাদেশের এই কৃতী অ্যাথলেট। দক্ষিণ এশীয় স্প্রিন্টে বাংলাদেশের তখন জয়জয়কার। শাহ আলম নিজে গর্বিত ছিলেন, তাঁকে পেয়ে গর্বিত হয়েছিল গোটা দেশ। উন্নব্বই সালে ইসলামাবাদ সাফ গেমসে মুকুট হারিয়ে কোনো মতে ১ শত মিটারে ব্রোঞ্জ জেতেন শাহ আলম। দ্রুততম মানবের খেতাব হারিয়ে বিচলিত শাহ আলম নিজেকে ফিরে পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। নব্বই বেইজিং এশিয়ান গেমসকেই নিজের ফেরার মঞ্চ করতে চেয়েছিলেন। তাই সে বছর আজকের দিনে বাড়ি থেকে ঢাকা আসছিলেন এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি শুরু করতে। কিন্তু সেই প্রস্তুতিতে আর নামা হয়নি তাঁর। ছত্রিশ বছর আগে চলে যান না–ফেরার দেশে।মরহুম শাহ আলমের ছত্রিশ তম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনটাও নীরবে-নিভৃতে কেটে গেল। স্মরণ করলো না কেউই। শাহ আলমের গড়া কীর্তিগুলোঃ-চরাশি সালের বাংলাদেশ গেমসে সেনাবাহিনীর হয়ে ২০০ মিটারে স্বর্ণ এবং ১ শত মিটারে ব্রোঞ্জ জিতলেও পরের বছর থেকে আটাশি সাল পর্যন্ত টানা চার বছর দ্রুততম মানব হন শাহ আলম। একমাত্র স্প্রিন্টার হিসাবে তিনিই দু’দুবার দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানবের খেতাব অর্জন করেন পচাশি এবং সাতাশি সালের সাফ গেমসে। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply