Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » মেহেরপুরে কচুর চাষ বাম্পার ফলনে কৃষকেরা আশি হাজার টাকায় এক বিঘা জমির কচু ক্ষেতেই বিক্রি হচ্ছে




মেহেরপুরে কচুর চাষ বাম্পার ফলনে কৃষকেরা আশি হাজার টাকায় এক বিঘা জমির কচু ক্ষেতেই বিক্রি হচ্ছে।

বিগত বছরগুলোতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে মেহেরপুরের কচু চাষিদের। এ সাফল্যের আশায় কচুর আবাদে লেগেই রয়েছেন কচু চাষিরা। এসব চাষিদের লাভ দেখে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কচু চাষি। আর বৃদ্ধি পাচ্ছে নতুন নতুন এলাকায় কচু চাষ। মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সামছুল আলম মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুরকে জানান, এবারে জেলায় ২ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে কচু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৬শত চল্লিশ হেক্টর জমিতে আউশ জাতের বাকীগুলোতে আমন জাতের কচু চাষ। কচু চাষে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ বলেও কৃষিবিদ সামছুল আলম জানান। গত কয়েকদিনে মেহেরপুরের কামদেবপুর, রুদ্রনগর, ফতেপুর, শোলমারী, তেরঘরিয়া, ঝাঝা, হরিরামপুর, গোভীপুর, আশরাফপুর, শিবপুর, টেংরামারী, আমঝুপি, খোকসা, গাড়াডোব,শ্যামপুর, সাহারবাটী, কেদারগঞ্জ, ভবানীপুর, রামনগর, মটমুড়া, কাথুলী, ধলা, খাসমহল, রংমহল, তেঁতুলবাড়ীয়া ও মাইলমারীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কচু চাষের চিত্র নজরে পড়ে। কচু সাধারণত: আউশ ও আমন এ দু'জাতের হয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই মেহেরপুরের ইচাখালী-হরিরামপুর-বাজিতপুর সড়কের বেশ কয়েকটি জমির কচু উত্তোলন শুরু হয়েছে। কাঠা প্রতি জমিতে জাত ভেদে ২ থেকে ৩ মণ কচুর ফলন হয় বলে কৃষকদের সাথে আলাপকালে জানা যায়। শিবপুর মাঠে কচুর আবাদ করা ভবানীপুরের আসলাম জানান, এ এলাকায় ইতিপূর্বে পেঁয়াজের চাষ হলেও গত কুড়ি বছর ধরে শুরু হয়েছে কচু ও কলা চাষ। মুজিবনগর-আমঝুপি সড়কের শিবপুর ও টেংরামারী মাঠ জুড়ে নজরে পড়বে শুধু কলা আর কচু। তিনিও ৩ বিঘা জমিতে কচুর আবাদ করেছেন। হরিরামপুর গ্রামের মাঠে ৩ বিঘা জমিতে কচুর আবাদ করা গোভীপুর গ্রামের কাউসার আলী জানান, কচু চাষে লাভ-লোকসান দু’টোই রয়েছে। তবে গত ৩/৪ বছর ধরে দাম ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বিঘা প্রতি জমিতে হালচাল, বীজ, সার, কীটনাশক ও সেচসহ চল্লিশ হাজার টাকা খরচ করে ৬ মাসের আবাদে আশি হাজার টাকার কচু বিক্রি হয়ে থাকে। কামদেবপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে কচুর আবাদ করেছেন। অন্যান্য আবাদের পাশাপাশি লাভজনক হওয়ায় গত কয়েকবছর ধরে কচুর আবাদ ধরে রেখেছেন। বিঘা প্রতি জমিতে ত্রিশ হাজার টাকা খরচ করে আশি হাজার টাকার কচু বিক্রি করে থাকেন। এসব কচু ক্ষেত থেকেই ব্যবসায়ীরা থামকু কিনে থাকেন। প্রতি বিঘা জমির কচু সত্তর/ আশি হাজার টাকায় কিনে তা উত্তোলন, বাছাই, বস্তাভর্তি, গাড়ি লোড ও পরিবহনে আরও কুড়ি হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান, কামদেবপুর গ্রামের কচু ব্যবসায়ী চাঁদ আলী। তিনি জানান, প্রতি বিঘা জমির কচু বিক্রি করে ২/৫ হাজার টাকা মুনাফা হয়ে থাকে। এসব কচুর কাজে পচিশ জন শ্রমিকও তিনি রেখেছেন। এখন থেকে আগামী ২ মাস এসব শ্রমিকরা কচুর কাজে সম্পৃক্ত থাকবেন। একই এলাকার আরো একজন কচু ব্যবসায়ী জানান, প্রায় সতেরো বছর ধরে তিনি কচু ব্যবসার সাথে জড়িত। মেহেরপুরের বুড়িপোতা ও কুতুবপুর ইউনিয়নসহ গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম এমনকি চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন গ্রামে থেকেও তিনি কচু কিনে রাজধানীর বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। আর এসব কচু উত্তোলন ও বাছাইয়ের কাজে সম্পৃক্ত ঝাঝা ও হরিরামপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ। আর এসব নারীদের প্রায় সকলেই বিধবা ও বয়স্ক। যিনারা ৪'শ টাকার বিনিময়ে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা কখনো রাত ৮ টা অবধি কচু বাছাইয়ের কাজ করে থাকেন। যদিও একই সাথে কর্মরত পুরুষদের মজুরি ৬'শ টাকা। নারী-পুরুষের মজুরিতে বৈষম্য কেন জানতে চাইলে নারীরা জানান, পুরুষ শ্রমিকরা শুধু কচু বাছাই নয় কোদাইলের কাজও করে থাকে যে কারণে তাদের মজুরি বেশি। তবে যিনি যে কাজেই সম্পৃক্ত থাকুক না কেনো মজুরিতে এমন বৈষম্য থাকা অনুচিত বলে মনে করছেন অনেকেই। এদিকে কচুর আবাদে কৃষি বিভাগ থেকে কোনরকম সাহায্য-সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়না বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন কৃষক। যেহেতু মেহেরপুরে কচু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরা এ চাষে লাভবান হচ্ছেন। সেহেতু কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেওয়া হলে কচু চাষ করে কৃষকরা আরো বেশি লাভবান হতে পারে বলে অনেকেই জানিয়েছেন।গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply