গোপাল ভাঁড়ের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি মাছি সেঁজে দোকানে সন্দেশ খাও ( তেতাল্লিশ পর্ব )

গোপাল ভাঁড়ের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি মাছি সেঁজে দোকানে সন্দেশ খাও ( তেতাল্লিশ পর্ব ) ভরদুপুর বেলা গোপাল হেঁটে হেঁটে মামার বাড়ি যাচ্ছিল, ভীষণ ক্ষিবে পেয়েছে অথচ পকেটে কানাকড়িও নেই। কিছুদূর যাবার পর বটতলায় একটা মিষ্টির দোকান দেখতে পেল সে। মিষ্টির দোকানে একটা বাচ্চা ছেলে বসেছিল। বাচ্চা ছেলেটিকে একা বসে থাকতে দেখে গোপালের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি এল। দোকানে ঢুকে একটা সন্দেশের থালা টেনে নিল। তারপর বলা নেই কওয়া নেই গোপাল সন্দেশ খেতে লাগল। বাচ্চা ছেলেটি গোপালের কাণ্ড কারখানা দেখে অবাক হয়ে বলল, এ কী! কি করছো? তোমার নাম কি? দাঁড়াও, বাবাকে ডেকে আনছি। গোপাল সন্দেশ খেতে খেতে বললে, তোমার বাবা আমাকে চেনে, আমার নাম মাছি। আমি রোজ রোজ এমনি করেই সন্দেশ খাই। ছেলেটি চেঁচিয়ে এবারে তার বাবাকে বলল, বাবা, দ্যাখোনা মাছি সন্দেশ খাচ্ছে। ছেলেটির বাবা ভেতরের ঘরে বিশ্রাম করছিল। পাশ ফিরে শুতে শুতে বলল, মাছি তাড়িয়ে দে। গোপাল এবারে সন্দেশ খাওয়া শেষ করে দোকান ছেড়ে এগিয়ে চলল। ছেলেটি এবারে চেঁচিয়ে তার বাবাকে বলল, বাবা, মাছি সন্দেশ খেয়ে পয়সা না দিয়েই চলে যাচ্ছে! ঘুমের ঘোরে ছেলেটার বাবা এবারে বলল, মাছিরা পয়সা কোথায় পাবে, যে দেবে? মাছি রোজ এমনি এমনিই তো সন্দেশ খায়! গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।