হলোকস্ট কী ছিল? দ্বিতীয় বিশ্বযুুদ্ধে জার্মানের আক্রমণে ইহুদের গণহত্যা
দ্বিতীয় বিশ্বযুুদ্ধের সময় মৃত্যু ক্যাম্প হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিল। সেই মৃত্যুকুপ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারাও উদযাপনে অংশ নিচ্ছেন। ঐতিহাসিক এই দিনে বেঁচে ফেরা প্রায় ৫০ জন ব্যক্তি ক্যাম্পের পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্বলন করেছেন। অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা এবং ব্রিটেনের রাজা চার্লস উপস্থিত রয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণ বেশি হলেও মূলত যারা মৃত্যুকুপ থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন তাদেরই অনুষ্ঠানের মধ্যমনি হিসেবে দেখছেন আয়োজকরা। হলোকস্ট কী ছিল? ১৯৩৩ সালে যখন নাৎসিরা জার্মানিতে ক্ষমতায় আসে, তারা ইহুদিদের সমস্ত সম্পদ, স্বাধীনতা এবং আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে শুরু করে। ১৯৩৯ সালে জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণ এবং দখলের পর, নাৎসিরা তৃতীয় রাইখ থেকে ইহুদিদের পোল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানান্তর করে, যেখানে তারা ঘেটো তৈরি করেছিল যাতে ইহুদিদের অন্যান্য জনগন থেকে আলাদা করা যায়। ১৯৪১ সালে, সোভিয়েত ইউনিয়নে জার্মান আক্রমণের সময় থেকেই নাৎসিরা তাদের গণহত্যা অভিযান শুরু করে। নাৎসিরা তাদের আক্রমণকে একটি জাতিগত যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছিল, যা জার্মানি এবং ইহুদিদের পাশাপাশি স্লাভিক জনগণ এবং রোমাদের বিরুদ্ধেও ছিল। গণহত্যার ভয়াবহতা জার্মান সৈন্যদের একটি দল, যাদের নাম ছিল আইনজাৎসগ্রুপেন (Einsatzgruppen), পূর্ব ইউরোপের দখলকৃত অঞ্চলে পৌঁছে নিরীহ মানুষদের গণহত্যা শুরু করে। ১৯৪১ সালের শেষে তারা ৫০০,০০০ মানুষকে হত্যা করেছিল এবং ১৯৪৫ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ২০ লাখে পৌঁছুয়, যার মধ্যে ১৩ লাখই ছিল ইহুদি। এর মধ্যে নাৎসি কমান্ডাররা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের আরও কার্যকর উপায় খুঁজছিলেন। তারা মনে করেছিল যে গুলি করে হত্যা করা সৈন্যদের জন্য অত্যন্ত মানসিক চাপ সৃষ্টি করে, তাই তারা আরও কার্যকর হত্যার পদ্ধতি উদ্ভাবন করে। ১৯৩৯ সালেই পোল্যান্ডে মানসিক প্রতিবন্ধী মানুষদের হত্যা করতে বিষাক্ত গ্যাস ভ্যান ব্যবহার করা হয়েছিল। এসব ভ্যানে বিষাক্ত গ্যাস ঢুকিয়ে বন্দিদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হত। ১৯৪১ সালের শীতে নাৎসিরা প্রথম গ্যাস চেম্বার এবং মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য ক্রিমেটোরিয়াম তৈরি করে অশউইৎজে। জানুয়ারি ১৯৪২ সালে নাৎসি নেতারা ভ্যানসির কনফারেন্সে বসে "ইহুদি প্রশ্নের চূড়ান্ত সমাধান" হিসেবে ইউরোপের সমস্ত ইহুদিদের হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। অশউইৎজ কী ছিল? অশউইৎজ মূলত দক্ষিণ পোল্যান্ডের একটি সেনাবাহিনীর ব্যারাক ছিল। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে নাৎসি জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ ও দখল করে, এবং ১৯৪০ সালের মে মাসে স্থানটি রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য একটি কারাগারে পরিণত করে। কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের কমান্ড্যান্ট রুডলফ হেস অশউইৎজে একটি পরিচিত স্লোগান "আর্বাইট মাখ্ট ফ্রি" (কর্মই মুক্তি দেয়) নিয়ে আসেন, যা আগের ক্যাম্প ডাচাউতে ব্যবহৃত হত। এটি এখনও ক্যাম্পের প্রবেশদ্বারে রয়েছে। প্রথম গ্যাসে হত্যা করা হয় পোলিশ এবং সোভিয়েত বন্দীদের একটি দল, ১৯৪১ সালের সেপ্টেম্বরে। শিকাররা কে ছিল? যখন সোভিয়েত সেনারা কাছাকাছি আসছিল, তখন এএসএস (এসএস) গার্ডরা তাদের অপরাধ গোপন করার জন্য বন্দীদের বিস্তৃত রেকর্ডগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল, যার ফলে শিকারদের সংখ্যা পুরোপুরি নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। গবেষণায় দেখা গেছে যে অশউইৎজে মোট ১৩ লাখ মানুষকে আনা হয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় ১১ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। নিহতদের মধ্যে ইহুদিরা ছিল ব্যাপকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ। প্রায় ১০ লক্ষ ইহুদিকে অশউইৎজে হত্যা করা হয়েছিল।Slider
দেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Home
»
English News
»
others
» হলোকস্ট কী ছিল? দ্বিতীয় বিশ্বযুুদ্ধে জার্মানের আক্রমণে ইহুদিদের গণহত্যা
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News

No comments: