Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মূলার বিভিন্ন পুষ্টিগুন




মূলা (Raphanus raphanistrum subsp. sativus) একটি মূলবিশেষ খাবার উপযোগী সবজি, রোমানদের আগে ইউরোপে ব্রাসিকাসি পরিবারের একটি ঘরোয়া খাবার ছিল মূলা। সারা বিশ্বেই মূলা জন্মায় এবং খাওয়া হয়, বেশিরভাগ সময় এটি কাঁচা কচকচে সালাদ সবজি হিসাবে খাওয়া হয়। মূলা অনেক বৈচিত্রময়, আকারে আলাদা,গন্ধযুক্ত, বিভিন্ন রং এবং পরিপক্ব হওয়ার সময়ের বিভিন্নতা রয়েছে। মূলা গাছ দ্বারা বিভিন্ন মিশ্রিত রাসায়নিক নির্গত হওয়ার কারণে এটি তীব্র গন্ধযুক্ত হয়, যার সাথে যুক্ত থাকে গ্লূকোসাইনোলেট, মাইরোসিনাস এবং ইসোথিওসায়ানেট। মূলা কখনও কখনও অন্যান্য সবজির সাথে সহচর সবজি হিসাবে জন্মায়, এবং কিছু কীটপতঙ্গ ও রোগে ভোগে।[১] তারা অঙ্কুরিত হয় দ্রুত এবং বড় হয় দ্রুততার সাথে, ছোট জাতের মূলা খাওয়ার উপযোগী হয় এক মাসের মধ্যে, যেখানে বড় জাতের মূলা সময় নেয় কয়েক মাস। মূলা সাধারণত ঘাটতি পূরণের শীতকালীন সবজি হিসাবে বাজারে ব্যবহৃত হয়, ঠিক যেমন অবহেলিত সবজি। কিছু মূলা তাদের বীজ থেকে জন্ম নেয়। উদাহরণ স্বরূপ সম্ভবত কিছু তেল উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।[২] কিছু ব্যবহৃত হয় বীজ তৈরীতে এবং মূলা ও মূলার পাতা উভয়েই মাঝে মাঝে ঠান্ডা খাবার হিসাবে রান্না করা হয়।পুষ্টিমান Radishes, raw প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান শক্তি ৬৬ কিজু (১৬ kcal) শর্করা ৩.৪ g চিনি ১.৮৬ g খাদ্য আঁশ ১.৬ g স্নেহ পদার্থ ০.১ g প্রোটিন ০.৬৮ g ভিটামিন পরিমাণ দৈপ%† থায়ামিন (বি১) ১% ০.০১২ মিগ্রা রিবোফ্লাভিন (বি২) ৩% ০.০৩৯ মিগ্রা নায়াসিন (বি৩) ২% ০.২৫৪ মিগ্রা প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) ৩% ০.১৬৫ মিগ্রা ভিটামিন বি৬ ৫% ০.০৭১ মিগ্রা ফোলেট (বি৯) ৬% ২৫ μg ভিটামিন সি ১৮% ১৪.৮ মিগ্রা খনিজ পরিমাণ দৈপ%† ক্যালসিয়াম ৩% ২৫ মিগ্রা লৌহ ৩% ০.৩৪ মিগ্রা ম্যাগনেসিয়াম ৩% ১০ মিগ্রা ম্যাঙ্গানিজ ৩% ০.০৬৯ মিগ্রা ফসফরাস ৩% ২০ মিগ্রা

পটাশিয়াম ৫% ২৩৩ মিগ্রা জিংক ৩% ০.২৮ মিগ্রা অন্যান্য উপাদান পরিমাণ Fluoride 6 µg Full Link to USDA Database entry একক μg = মাইক্রোগ্রাম  • মিগ্রা = মিলিগ্রাম IU = আন্তর্জাতিক একক †প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। ১০০ গ্রাম কাঁচা মূলাতে ১৬ ক্যালরি শক্তি রয়েছে এবং মাঝারী পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে (১৮% প্রতিদিনে) এবং এর সাথে অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি রয়েছে যা খাদ্য টেবিলে সন্তোষজনক। ব্যবহার রান্না করা সবচেয়ে বেশি যে অংশ খাওয়া হয় তা হল মূলা গাছের শেকড় বা মাটির ভিতরের মূল অংশ, যদিও পুরো গাছের সবকিছুই খাওয়া যায় এবং উপরের পাতা, পাতা জাতীয় সবজি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। একই পদ্ধতিতে বীজ মুগডালের মত খাওয়া যায়। মূলা গাছের গোড়ার অংশ সাধারণত কাঁচা খাওয়া হয়, যদিও কঠোর মান নিয়ন্ত্রিত হয় তাপে রান্না করলে। কাঁচা মূলা মুচমুচে ধরনের এবং একটু কটু গন্ধের, ঝাঝালো স্বাদের, কারণ এতে রয়েছে গ্লুকোসাইনোলেটস এবং এনজায়মি মাইরোসাইনাস, যার সাথে মিলেছে এনওয়েল আইসোথায়োসায়ানেটস, আরও রয়েছে মাসটার্ড, হর্সরেডিস এবং ওয়াসাবি। মূলা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সালাদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু ইউরোপের খাবার প্লেটেও এটি দেখা যায়। মূলার পাতা মাঝে মাঝে রেসিপিতে ব্যবহৃত হয়, পটেটো সুপ অথবা সাউটেড সাইড ডিশ এ ব্যবহারের জন্য। কিছু কিছু রেসিপিতে মূলাকে রস করে ফলের জুস বানানো হয়। অন্যান্য ব্যবহার মূলার বীজকে পেশাই করা হয় মূলা বীজের তেল তৈরীর জন্য । বুনো মূলার বীজ সর্বোচ্চ শতকরা ৪৮ ভাগ তেল ধারণ করে, এবং যখন মানুষের ব্যবহারের জন্য আর উপযুক্ত থাকেনা তখন বায়োফুয়েল এর কার্যকর শক্তি হিসাবে কাজে লাগানো হয়। দাইকন ভাল জন্মায় ঠাণ্ডা আবহাওয়াতে এবং পৃথক করে তার শিল্পজাত ব্যবহার, এটি আবরক শস্য হিসাবেও ব্যবহৃত হতে পারে, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য জন্মানো হয়, পরিপোষক পদার্থের ময়লা সাফ করে, আগাছা দমন করে, মাটির কম্পাকশন কমায়, এবং শীতকালীন মাটির ক্ষয় প্রতিরোধ করে। গ্রীষ্মকালীন মূলা ঠান্ডা আবহাওয়ায় জন্মানো বসন্তকালীন মূলাকে ইউরোপিয়ান মূলার সাথে তুলনা করা হয় মাঝে মাঝে। গ্রীষ্মকালীন মূলা সাধারণত ছোট হয় এবং রোপনের পর বড় হতে তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় নেয়। "এপ্রিল ক্রস" হল একটি অতিকায় বড় জাতের সাদা হাইব্রিড মূলা যা একটু ধীরে বড় হয়। "বানি টেইল" ইটালির বংশগত বৈচিত্রের যা সেখানে পরিচিত Rosso Tondo A Piccola Punta Biahca নামে। এটি সামান্য আয়তাকার, এবং সাধারণত লাল, যার সাথে সাদা ডগা বিশিষ্ঠ। "চেরি বেলি" একটি উজ্জ্বল লাল বর্ণের গোলাকার বৈচিত্রের যার ভেতরটা সাদা। এটি নর্থ আমেরিকার সুপারমার্কেটে বেশি পরিচিত। "চ্যাম্পিয়ন" গোলাকার এবং লাল-বর্ণের ঠিক অনেকটা "চেরি বেলির মতন", কিন্তু এর সাথে সামান্য মাত্রায় বড় গোড়া থাকে যা সর্বোচ্চ ৫ সে.মি. (২ ইনচি) এবং হালকা গন্ধের। "রেড কিং" হালকা গন্ধযুক্ত, যার আছে মূলের ভাল প্রতিরোধ ক্ষমতা, একটা সমস্যা যে এটা জন্মায় পানির নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল হলে। "সাইসিলি জায়ান্ট" এটি সাইসিলি এর একটি অন্য প্রজাতীর বড় জাত। এটির ব্যাস ৫ সে.মি.(২ ইনচি) পর্যন্ত হয়ে থাকে। "স্নো বেলী" হচ্ছে সর্বত্র সাদা প্রকারের মূলা, এটি গন্ধ এবং সাদে চেরী বেলী জাতের মত। "হোয়াইট আইকেল" অথবা আইকেল সাদা অনেকটা গাজরের মত আকারের যা ১০ থেকে ১২ সে.মি.(৪ থেকে ৫ ইনচি) লম্বা হয়, যা ষোড়শ শতাব্দী থেকে পাওয়া যায়, এটি সহজে কাটা যায় এবং মোটামুটি শক্ত। "ফ্রেন্স ব্রেকফাস্ট" যা অনেক দীর্ঘায়িত, লাল-ত্বকের মূলা যার সাথে সাদা ছোপ ছোপ দাগ রয়েছে গোড়াতে। এটি সাধারণত হালকা নরম অন্যান্য গ্রীষ্মকালীন সবজির চেয়ে, কিন্তু এটি অনেক বেশি সতেজ। "পাম পারপেল" একটি রক্তবর্ণ মূলা যা পরিচর্যার জন্য ঠাণ্ডা জায়গায় থাকতে হয় তার জীবনের মোটামুটি বড় একটি সময়। 'গালা' এবং 'রোডবল' নেদারল্যান্ড এর সকালের নাস্তার থালায় দুটি বৈচিত্রপূর্ণ জনপ্রীয় খাবার। যা মাখন লাগানো রুটির সাথে পাতলা করে কেটে খাওয়া হয়। "এস্টার এগ" এটি মূলত কোন জাতের ভিতর পড়েনা, কিন্তু কিছু সবজির মিশ্রণ যাদের আলাদা আলাদা ত্বকের রং। সাধারণত সাদা, ফেকাশে লাল, লাল এবং রক্তবর্ণ মূলা এই মিশ্রণে যোগ করা হয়। নামের ভিত্তিতে বাজারে মূলা বিক্রি করা এবং বীজ প্যাকেট করায়,বীজের মিশ্রণ ফসল সংগ্রহের সময় বৃদ্ধি করতে পারে একজাতীয় মূলা লাগানোর ক্ষেত্রে, কারণ ভিন্ন জাতের মুলা পরিণত হতে ভিন্ন সময় নেয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply