বিশ্বাস পুনরুদ্ধারে সোশ্যাল মিডিয়া ও পডকাস্ট—দুই ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা ও নৈতিক মানদণ্ড জরুরি। অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীদের প্রতি প্ল্যাটফর্মগুলোর ‘ডিউটি অব কেয়ার’ বা যত্নশীলতার দায়িত্ব রয়েছে। বিশ্বজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্টের প্রতি মানুষের আগ্রহ দ্রুত কমছে। অস্ট্রেলিয়ার গভর্নেন্স ইনস্টিটিউটের ‘২০২৫ ইথিক্স ইনডেক্স’ অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি চারজনের একজন সোশ্যাল মিডিয়ার রিল বা এ জাতীয় কনটেন্টকে ‘অনৈতিক’ বলে মনে করেন। একই ধরনের ফল মিলেছে এডেলম্যান ট্রাস্ট ব্যারোমিটার ২০২৫-এর বৈশ্বিক জরিপেও। এতে দেখা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ার বিনোদন বা তথ্যভিত্তিক কনটেন্টের প্রতি আগ্রহ কমেছে প্রায় সব দেশেই। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পডকাস্ট। অস্ট্রেলিয়ায় এখন ১০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে অর্ধেকের বেশি মানুষ মাসে অন্তত একবার পডকাস্ট শোনেন। দেশটির রাজনীতিতেও এর প্রভাব পড়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনে প্রধান নেতারা প্রচারণার অংশ হিসেবে পডকাস্টে অংশ নিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনাস্থা কেন গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুক, এক্স বা টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মে যেকোনো সত্য তথ্যের চেয়ে মিথ্যা ও উত্তেজনামূলক তথ্য দ্রুত ছড়ায়। এসব ভুল তথ্য রাজনৈতিক বিভাজন ও সামাজিক নেতিবাচকতা বাড়ায়। এ ছাড়া, অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সঙ্গে কিশোর ও তরুণদের বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপের সম্পর্কও রয়েছে। ২০২১ সালে ফেসবুকের সাবেক কর্মকর্তা ফ্রান্সেস হাউগেন ইনস্টাগ্রামের কিশোর মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাবের অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁস করলে বিষয়টি বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে। পডকাস্টকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হওয়ার কারণ পডকাস্টের কনটেন্ট সাধারণত দীর্ঘ ও বিশ্লেষণধর্মী। শ্রোতারা এখানে অ্যালগরিদমের ভিড়ে হারিয়ে যান না। বরং দীর্ঘ সময় নিয়ে নিজের পছন্দে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান শোনেন। ফলে এর মাধ্যমে এক ধরনের ঘনিষ্ঠতা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে এ বিশ্বাসও যে সবসময় সঠিক, তা নয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্লেষিত রাজনৈতিক পডকাস্টগুলোর ৭০ শতাংশেই ভুল বা যাচাই-বাছাই ছাড়াই তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে। অনেক পডকাস্টে ঘৃণামূলক বা বিভাজনমূলক ভাষাও ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মকেই অন্ধভাবে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করা উচিত নয়। বরং প্রতিটি তথ্যকে সমালোচনামূলকভাবে যাচাই করা প্রয়োজন। এজন্য ডিজিটাল সাক্ষরতা বাড়াতে হবে— যেন মানুষ বুঝতে পারে, কোন তথ্য নির্ভরযোগ্য আর কোনটি নয়। বিশ্বাস পুনরুদ্ধারে সোশ্যাল মিডিয়া ও পডকাস্ট—দুই ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা ও নৈতিক মানদণ্ড জরুরি। অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীদের প্রতি প্ল্যাটফর্মগুলোর ‘ডিউটি অব কেয়ার’ বা যত্নশীলতার দায়িত্ব রয়েছে। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।
Slider
দেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News

No comments: