বিখ্যাত রূপকথার গল্প

বিখ্যাত রূপকথার গল্প আসুন আমাদের তালিকাটি শুরু করি পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিত কিছু বিখ্যাত রূপকথা দিয়ে। ১. লিটল রেড রাইডিং হুড

লিটল রেড রাইডিং হুডের মা তাকে এক ঝুড়ি জিনিসপত্র সহ তার দাদীর বাড়িতে পাঠান, তাকে সতর্ক করে দেন যে পথে কোনও অপরিচিত ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন না। যখন একটি নেকড়ে লিটল রেড রাইডিং হুডকে জিজ্ঞাসা করে যে সে কোথায় যাচ্ছে, সে তার মায়ের পরামর্শ উপেক্ষা করে এবং তাকে সত্য কথা বলে। সে তার দাদীর বাড়িতে যায় এবং দাদীর ছদ্মবেশ ধারণ করে যাতে সে তাকে খেতে পারে, কিন্তু সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। 2. জ্যাক এবং বিনস্টক জ্যাক জাদুর বিনের বিনিময়ে পারিবারিক গরুটি বাজারে বিক্রি করে। বিনগুলি বেড়ে উঠে বিশাল এক শিমের ডালে পরিণত হয় যা আকাশে উঠে যায়। জ্যাক শিমের ডালপালায় উঠে এক দৈত্যকে খুঁজে পায় যে তাকে তাড়া করার চেষ্টা করে। অবশেষে, জ্যাক পালাতে সক্ষম হয়, এমনকি সে দৈত্যের ধনও চুরি করে। ৩. কুৎসিত হাঁসের বাচ্চা হাঁসের বাচ্চার একটি পরিবার সবসময় তাদের ভাইবোনদের একজনকে নিয়ে হাসাহাসি করে কারণ সে তাদের মতো দেখতে নয়। কুৎসিত হাঁসের বাচ্চাটি দুঃখিত এবং একাকী বোধ করে। যখন সে বড় হয়, তখন সে তার প্রতিচ্ছবি দেখতে পায় এবং বুঝতে পারে যে সে তার ভাইবোনদের থেকে আলাদা দেখতে ছিল কারণ সে আসলে হাঁস ছিল না। সে ছিল রাজহাঁস। ৪. হ্যানসেল এবং গ্রেটেল হ্যানসেল এবং গ্রেটেল এক ভাইবোন, যাদের দুষ্ট সৎ মা তাদের জঙ্গলে ফেলে চলে যায়। জঙ্গলের গভীরে, তারা জিঞ্জারব্রেড এবং ক্যান্ডি দিয়ে তৈরি একটি ঘর আবিষ্কার করে এবং খাওয়া শুরু করে। বাড়িটি এক ভয়ঙ্কর ডাইনির, যে তাদের গ্রাস করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু বাচ্চারা তাদের বাড়িতে ফিরে পালাতে সক্ষম হয়। ৫. গোল্ডিলকস এবং থ্রি বিয়ার গোল্ডিলকস নামে এক যুবতী জঙ্গলের মধ্যে একটি বাড়িতে প্রবেশ করে। ভেতরে সে তিনটি বাটি পোরিজ দেখতে পায়: একটি খুব গরম, একটি খুব ঠান্ডা এবং একটি ঠিক। সে তিনটি বিছানাও দেখতে পায়: একটি খুব শক্ত, একটি খুব নরম এবং একটি ঠিক। যখন সে জেগে ওঠে, তখন সে জানতে পারে যে এই বাড়িটি তিনটি ভালুকের, যারা তাদের পোরিজ খেয়ে তাদের বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ার জন্য দুঃখিত। ৬. রুম্পেলস্টিল্টস্কিন রাম্পেলস্টিল্টস্কিন হল ১৮১২ সালে ব্রাদার্স গ্রিম দ্বারা সংগৃহীত একটি জার্মান রূপকথা। এটি একজন ভণ্ড পুরুষের গল্প, যে একটি মেয়েকে তার প্রথমজাত সন্তানের বিনিময়ে খড় ঘুরিয়ে সোনা বানাতে সাহায্য করে। যখন তার প্রথম সন্তান জন্মগ্রহণ করে, তখন মেয়েটি হাল ছেড়ে না দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে, এবং ইম্পার বলে যে সে যদি তার নাম অনুমান করতে পারে তবে সে তার সন্তানকে রাখতে পারে। মেয়েটির প্রথম অনুমান সব ব্যর্থ হয়, কিন্তু অবশেষে সে জানতে পারে যে তার নাম রাম্পেলস্টিল্টস্কিন। ৭. তিনটি ছোট শূকর তিনটি ছোট শূকর তাদের নিজস্ব ঘর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম শূকরটি খড় দিয়ে একটি ঘর তৈরি করে, দ্বিতীয়টি লাঠি দিয়ে একটি ঘর তৈরি করে, এবং তৃতীয় শূকরটি, যে তিনটির মধ্যে সবচেয়ে পরিশ্রমী, ইটের একটি ঘর তৈরি করে। যখন একটি নেকড়ে তাদের খেতে আসে, তখন সে সহজেই খড় এবং কাঠের ঘরগুলি উড়িয়ে দেয়। কেবল ইটের ঘরটি টিকে থাকে। একজন বেস্টসেলিং লেখকের মতো লিখুন লেখালেখি ভালোবাসেন? ProWritingAid আপনার গল্পের ধরণ, শক্তি এবং স্পষ্টতা উন্নত করতে সাহায্য করবে। সাধারণ রূপকথা কিছু রূপকথার গল্প বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পুনরাবৃত্তিতে পুনরাবৃত্তি হয়। এমনকি ডিজনির মতো কোম্পানিগুলি তাদের অনেক রূপকথাকে জনপ্রিয় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত করেছে। এখানে সাধারণ রূপকথার গল্প রয়েছে যা অসংখ্য রূপে পুনরাবৃত্ত হয়েছে। ৮. সিন্ডারেলা সিন্ড্রেলা একজন এতিম যে তার দুষ্ট সৎ মা এবং সৎ বোনদের সাথে বেড়ে ওঠে। রাজ্যের রাজপুত্রের দ্বারা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের সময় তার জীবন বদলে যায়। এই রূপকথার কিছু সংস্করণে, সিন্ড্রেলা একজন পরী গডমাদারের কাছ থেকে সাহায্য পান, আবার অন্য সংস্করণে, তিনি একটি পরী গাছের সাহায্য পান। মধ্যরাতে সে বল ছেড়ে চলে যায়, একটি কাচের স্লিপার রেখে যায়, যা রাজপুত্র তাকে খুঁজতে ব্যবহার করে। যখন সে সেই মেয়েটিকে খুঁজে পায় যার পা স্লিপারে ফিট করে, তখন সে তাকে বিয়ে করে। ৯. ঘুমন্ত সৌন্দর্য একজন রাজকন্যাকে একজন বৃদ্ধা পরী অভিশাপ দেন যে তিনি ষোল বছর বয়সে তার আঙুলটি একটি টাকুতে খোঁচা দেবেন এবং মারা যাবেন। মৃত্যুর পরিবর্তে, সে একশ বছর ধরে ঘুমিয়ে থাকে, যেমন তার রাজ্যের বাকি অংশ। শতাব্দীর শেষে, একজন রাজপুত্র তাকে জাগিয়ে তোলেন, যিনি তার রাজ্যকে অভিশাপ থেকে মুক্ত করেন। ১০. রাপুনজেল এক নিঃসঙ্গ বন্ধ্যা দম্পতি সন্তানের জন্য যেকোনো কিছু করতে পারে, তাই স্বামী ডাইনির বাগান থেকে রাপুনজেল নামক একটি গাছ চুরি করে তার স্ত্রীকে খাওয়ায়। স্ত্রী গর্ভবতী হয়, কিন্তু ডাইনি যখন জানতে পারে, তখন সে দাবি করে যে তারা তাকে টাকা হিসেবে শিশুটি দেবে। ডাইনি শিশুটিকে নিজের মেয়ে হিসেবে বড় করে, একটি টাওয়ারে আটকে রাখে এবং তার নাম রাখে রাপুনজেল। রাপুনজেলের লম্বা সোনালী চুল আছে যেগুলো ডাইনি টাওয়ারে প্রবেশ করার জন্য উপরে উঠে যায়। যখন একজন রাজপুত্র রাপুনজেলের প্রেমে পড়ে, তখন ডাইনি তা জানতে পারে, তার চুল কেটে ফেলে এবং তাকে মরুভূমিতে ফেলে দেয়। কিন্তু রাপুনজেল এবং রাজপুত্র অবশেষে পুনরায় মিলিত হয় এবং সুখে একসাথে বসবাস করে। ১১. ব্যাঙ রাজপুত্র একটি ব্যাঙ রাজকন্যাকে তার মূল্যবান সোনার বলটি উদ্ধার করতে সাহায্য করার প্রস্তাব দেয়, যা সে পুকুরে ফেলে দেয়। বিনিময়ে, সে তিনটি জিনিস চায়: তার থালা থেকে খাওয়া, তার দুর্গে থাকা এবং তার বন্ধু হওয়া। রাজকুমারী ব্যাঙের দাবি মেনে নেয়। পরে, ব্যাঙটি রূপান্তরিত হয়, কারণ সে একজন তরুণ রাজপুত্র হিসেবে পরিণত হয় যাকে এক দুষ্ট ডাইনি ব্যাঙে পরিণত করেছিল। ১২. স্নো হোয়াইট এবং সাতটি বামন একজন দুষ্ট রানী সবসময় তার জাদুর আয়নাকে জিজ্ঞাসা করে কে সবচেয়ে সুন্দর, আর জাদুর আয়না সবসময় তাকে প্রশংসা করে। কিন্তু একদিন, আয়না উত্তর দেয়, "স্নো হোয়াইট।" স্নো হোয়াইট হলো এক সুন্দরী মেয়ে যার ত্বক তুষারের মতো সাদা, ঠোঁট রক্তের মতো লাল এবং চুল আবলুসের মতো কালো। রানী তাকে হত্যা করার জন্য একজন শিকারীকে পাঠান যাতে সে সবচেয়ে সুন্দরী থাকে। ১৩. দ্য লিটল মারমেইড একজন জলমৎসকন্যা একজন মানুষের প্রেমে পড়ে, কিন্তু সে তার সাথে থাকতে পারে না কারণ তারা ভিন্ন জগত থেকে আসে। সে একটি সমুদ্র ডাইনির সাথে দর কষাকষি করে তার মাছের লেজ পায়ের জন্য যাতে সে তার সাথে স্থলে থাকতে পারে। হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসেনের মূল গল্পটি আরও দুঃখজনক এবং শেষ হয় ছোট্ট জলপরীটি সমুদ্রের ফেনায় মিশে যাওয়ার মাধ্যমে কারণ সে তার ভালোবাসার মানুষটিকে হত্যা করতে অস্বীকার করে। ১৪. রাজকুমারী এবং মটরশুঁটি একজন রাজপুত্র এমন কোনও মহিলাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় যিনি প্রকৃত রাজকন্যা নন। তার সম্ভাব্য কনেদের পরীক্ষা করার জন্য, সে বিশটি গদির নীচে একটি মটরশুঁটি লুকিয়ে রাখে কারণ সে মনে করে যে কেবল একজন প্রকৃত রাজকন্যাই এটি অনুভব করতে পারে। নিশ্চিতভাবেই, একজন রাজকুমারী যাকে সে পরীক্ষা করে বলে যে তার বিছানায় শক্ত জিনিসের কারণে সে ঘুমাতে পারেনি, তাই রাজপুত্র তাকে বিয়ে করে। ১৫. লাল জুতা "দ্য রেড জুতা" হল হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসেনের একটি রূপকথার গল্প যা মূলত ১৮৪৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এটি এমন একটি মেয়ের গল্প যে তার নতুন লাল জুতা এতটাই ভালোবাসে যে সে গির্জায় সেগুলো পরে যায়, যদিও তার তা করা উচিত নয়। যেহেতু সে তার জুতা পরে এতটাই মুগ্ধ যে, সে চিরকাল সেগুলো পরে নাচতে অভিশপ্ত হয়, এবং যখন সে আর না চায় তখনও তাকে নাচতে হয়। ১৬. ছয় রাজহাঁস একজন দুষ্ট রাণী এমন এক রাজাকে বিয়ে করেন যার ইতিমধ্যেই সাত সন্তান রয়েছে: ছয় ছেলে এবং এক মেয়ে। রাণী সৎ সন্তান চান না, তাই তিনি ছয়টি জাদুকরী সাদা শার্ট সেলাই করে তার সৎ ছেলেদের গায়ে ছুঁড়ে দেন, যা তাদের রাজহাঁসে রূপান্তরিত করে। মেয়েটি জানতে পারে যে, ছয় বছর ধরে কথা না বললে, যন্ত্রণাদায়ক বিছুটি গাছ থেকে ছয়টি নতুন শার্ট তৈরি করে সে তার ভাইদের জন্য অভিশাপ দূর করতে পারবে। সে এই বীরত্বপূর্ণ কাজটি করে এবং তাদের মুক্ত করতে সক্ষম হয়। ১৭. দ্য থ্রি বিলি গোটস গ্রাফ তিনটি বিলি ছাগল একটি সেতু পার হওয়ার চেষ্টা করছে যা একটি ভয়ঙ্কর ট্রল দ্বারা সুরক্ষিত, যে কেউ পার হলে তাকে খেয়ে ফেলতে চায়। সবচেয়ে ছোট ছাগলটি প্রথমে যায় এবং লোভী ট্রলটিকে দ্বিতীয় ছাগলটিকে খেতে রাজি করায়, যেটি আরও বড় এবং সুস্বাদু হবে। যখন দ্বিতীয় ট্রলটি আসে, তখন সে ট্রলটিকে তৃতীয় ছাগলের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি করায়। অবশেষে, সবচেয়ে বড় বিলি ছাগলটি এসে ট্রলটিকে পরাজিত করে। উপকথার তালিকা উপকথাগুলি প্রায়শই এমন একটি নৈতিক শিক্ষা দেয় যা গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ শেখাতে পারে। আপনার বাচ্চাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য এখানে কয়েকটি দুর্দান্ত উপকথা রয়েছে। বিখ্যাত উপকথা ১৮. গোল্ডেন গুজ একজন মানুষের একটি অসাধারণ সোনালী ডিম পাড়ে এমন হাঁস আছে, যা সে বাজারে চমত্কার দামে বিক্রি করতে পারে। শীঘ্রই লোকটি অধৈর্য হয়ে পড়ে কারণ হাঁসটি দিনে মাত্র একটি ডিম পাড়ে, এবং সে আরও ডিমের জন্য লোভী। আরও সোনা জোগাড় করার জন্য, সে হাঁসটিকে কেটে তার পেট থেকে সোনার ডিম বের করার সিদ্ধান্ত নেয়। দুঃখের বিষয় হল, সে ভেতরে কিছুই খুঁজে পায় না এবং মৃত হাঁসটি আর কখনও ডিম পাড়ে না। ১৯. জুতা প্রস্তুতকারক এবং পরী একজন দরিদ্র জুতাওয়ালা তার ব্যবসা একা চালানোর সামর্থ্য রাখে না। একদিন, সে ঘুমাতে যায় এবং ঘুম থেকে উঠে তার কর্মক্ষেত্রে একজোড়া নতুন জুতা দেখতে পায়। যখন সে রাতভর তার কর্মক্ষেত্রের দিকে নজর রাখে, তখন সে জানতে পারে যে পরী তার জন্য জুতা তৈরি করছে। তাদের সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তাদের জন্য শীতের পোশাক তৈরি করে। ২০. সম্রাটের নতুন স্যুট একজন নিরর্থক সম্রাট একজন দর্জিকে ভাড়া করে একটি কুচকাওয়াজের জন্য একটি নতুন স্যুট তৈরি করে। দর্জি তাকে ফাঁকা বাতাস দিয়ে বলে যে এটি এমন একটি স্যুট যা কেবল বোকা লোকেরা দেখতে পায় না। যেহেতু কেউ স্বীকার করতে চায় না যে তারা বোকা, তাই প্যারেডে উপস্থিত সবাই ভান করে যে তারা স্যুটটি দেখতে পাচ্ছে এবং সম্রাটের প্রশংসা করছে। শুধুমাত্র একটি শিশুই যথেষ্ট নির্দোষ যে তারা দেখিয়ে দিতে পারে যে সম্রাট একেবারেই পোশাক পরেননি। এই নাও—আমাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় রূপকথার তালিকা, যা তুমি চেষ্টা করে দেখতে পারো।