Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » চার্লি চ্যাপলিনের শেষ চিত্রনাট্য ‘দ্য ফ্রিক’, আসছে ইংরেজি ভাষায়




চার্লি চ্যাপলিনের শেষ চিত্রনাট্য ‘দ্য ফ্রিক’, আসছে ইংরেজি ভাষায়

চার্লি চ্যাপলিনের রেখে যাওয়া খসড়া স্ক্রিপ্ট, স্টোরিবোর্ড ও নকশা থেকে এ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। বইটির নাম— ‘দ্য ফ্রিক: দ্য স্টোরি অফ অ্যান আনফিনিশিড ফিল্ম’। বইটি প্রকাশ করছে ব্রিটিশ প্রকাশনা সংস্থা স্টিকিং প্যালেস বুকস। চার্লি চ্যাপলিন— সিনেমার ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। দারিদ্র্যের শিকল ছিঁড়ে চলচ্চিত্র জগতের প্রথম প্রকৃত কমেডি শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। ‘দ্য গ্রেট ডিকটেটর’ আর ‘লাইমলাইট’-এর মতো কালজয়ী সিনেমার স্রষ্টা তিনি। এ কিংবদন্তি শিল্পীর শেষ অসমাপ্ত চলচ্চিত্র ‘দ্য ফ্রিক’ -এর চিত্রনাট্য এবার ইংরেজিতে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। ২০২০ সালে সীমিত পরিসরে এ স্ক্রিপ্টের একটি ইতালীয় সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছিল। চার্লি চ্যাপলিনের রেখে যাওয়া খসড়া স্ক্রিপ্ট, স্টোরিবোর্ড ও নকশা থেকে এ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। বইটির নাম— ‘দ্য ফ্রিক: দ্য স্টোরি অব অ্যান আনফিনিশিড ফিল্ম’। বইটি প্রকাশ করছে ব্রিটিশ প্রকাশনা সংস্থা স্টিকিং প্যালেস বুকস। ‘দ্য ফ্রিক’ মূলত এক রূপকথার গল্প—এক মানবী যার পাখির মতো ডানা আছে। তার নাম সারাফা— সে এক অলৌকিক সত্তা। যে অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করতে পারে, পৃথিবীতে শান্তি আনতে চায়। চ্যাপলিন পরিকল্পনা করেছিলেন সিনেমাটিতে তিনি নিজে একটি সংক্ষিপ্ত কৌতুকাভিনয়ের চরিত্রে থাকবেন। তিনি হবেন এক মাতাল মানুষ, যে বিস্ময়ে দেখবে সারাফা উড়ে যাচ্ছে লন্ডনের পার্লামেন্ট ভবনের ওপরে আকাশে। বইটির সম্পাদনা করেছেন চ্যাপলিনের অফিসিয়াল জীবনীকার ডেভিড রবিনসন। তিনি বলেন, এটা দারুণ আফসোসের যে ছবিটা শেষ হয়নি। এটা এক অসাধারণ সৃষ্টি হতে পারত। সারাফা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চ্যাপলিন বেছে নিয়েছিলেন তার কিশোরী কন্যা ভিক্টোরিয়া চ্যাপলিনকে। ভিক্টোরিয়া পরে স্মৃতিচারণা করে বলেন, বাবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস পাখির ওড়ার ভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করতেন। মানুষ কিভাবে উড়ে— সেই ধারণাটাকে বাস্তবভাবে পর্দায় আনতে তিনি নতুন কৌশল খুঁজছিলেন। পুরনো প্রযুক্তি তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তিনি চেয়েছিলেন একেবারে নিজের মতো করে উড়ার অনুভূতি ফুটিয়ে তুলতে। আমি বিশ্বাস করি, সময় না ফুরালে তিনি তা পারতেন। স্ক্রিপ্টে ‘গোপনীয়’ মার্ক করা কাস্টিং নোট পাওয়া গিয়েছে — যেখানে অভিনেতা রবার্ট ভন, জেমস ফক্স ও রিচার্ড চেম্বারলেইনের নাম উল্লেখ রয়েছে। ১৯৬৯ সালে লন্ডনে ফিরে এসে চ্যাপলিন উড়ার দৃশ্যগুলো বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকও করেন। সারাফার ডানা ও উড্ডয়নের ১৫০টি নকশা এঁকেছিলেন চিত্রশিল্পী জেরাল্ড লার্ন। স্মৃতিচারণায় তিনি বলেন, চ্যাপলিন খুব স্পষ্টভাবে জানতেন তিনি কী চান। তিনি সব সময় আমাদের ফিডব্যাক দিতেন। প্রকল্পটা কঠিন ছিল, কিন্তু অসম্ভব নয়। চ্যাপলিন এস্টেটের ম্যানেজার আর্নল্ড লোজানো বলেন, এ প্রকাশনা চ্যাপলিনের শেষ, অসমাপ্ত প্রকল্পের প্রথম পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপনা। প্রায় ৩ হাজার পৃষ্ঠা নোট, নকশা, ছবি, রেকর্ডিং ও পিয়ানো সুরের সমন্বয়ে আমরা ‘দ্য ফ্রিক’-এর এক অনন্য রূপ পেয়েছি। তার ৬৩ বছরের সৃষ্টিশীল জীবনের শেষ অধ্যায় এটি— চিত্রনাট্যটি অসম্পূর্ণ হলেও গভীরভাবে ‘চ্যাপলিনীয়’। দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply