Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » তেল বা চর্বিযুক্ত খাবার খেলেও শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমবে না - কীভাবে সম্ভব?




তেল বা চর্বিযুক্ত খাবার খেলেও শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমবে না - কীভাবে সম্ভব?

আপনি যতই চর্বিযুক্ত খাবার খান না কেন, গায়ে মেদ জমার সুযোগ থাকবে না - এও কি সম্ভব? বিশেষ এক ধরণের ওষুধের মাধ্যমে মানবদেহে এই বৈশিষ্ট্য পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন গবেষক। এই গবেষণার সহ রচয়িতা ও গবেষক ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান এরিখম্যান জানান খুব সহজেই আবিষ্কার করা যেতে পারে এধরণের ওষুধ। মিজ. এরিখম্যান বলেন, "আমার যতটুকু জানতে পারি, চর্বি পাকস্থলিতে জমা হয়। রসবাহী ধমণী (লিম্ফ্যাটিক ভেসেল), যেগুলোকে ল্যাকটিওস বলা হয়, এর মাধ্যমে চর্বি জমা হয় পাকস্থলিতে।" মিজ.এরিখ্যম্যান জানান চর্বি উপাদানগুলো ছিদ্রের মাধ্যমে সহজেই ল্যাকটিওসের ভেতরে প্রবেশ করে। এই ছিদ্রগুলোকে বলা হয় 'বাটন'। ল্যাবরেটরিতে তৈরী করা কিছু ইঁদুরের ওপর একটি পরীক্ষা চালান গবেষকরা। ইঁদুরগুলোর দেহে অবস্থিত ল্যাকটিওসে ঐ 'বাটন' বা ছিদ্রগুলো ছিল না। যার ফলে ছিদ্রের মাধ্যমে ইঁদুরের দেহে চর্বি প্রবেশ করার বা জমার কোনো সুযোগ ছিল না। তিনি বলেন, "দুইটি জিন পরিবর্তন করে বিশেষভাবে তৈরী করা হয়েছে এই ইঁদুরগুলোকে। আমাদের তৈরী করা ইঁদুরগুলোর দেহের ল্যাকটিওসে ঐ ছিদ্রগুলো নেই। কাজেই উচ্চ মাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবার খেলেও ইঁদুরগুলোর ওজন খুব একটা বাড়েনি।" গবেষকরা দেখতে চেয়েছিলেন এই প্রভাবগুলো প্রাণীর দেহে কোনো ওষুধের মাধ্যমে তৈরী করা যায় কিনা। এমন একটি ওষুধ যা ল্যাকটিওসের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে এবং চর্বি শোষণ থেকে বিরত রাখে। যুক্তরাষ্ট্রে গ্লুকোমা রোগীদের জন্য এই ধরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জাপান ও চীনেও বিশেষ ক্ষেত্রে ডাক্তাররা এধরণের ওষুধের বিধান দিয়ে থাকে বলে জানান মিজ এরিখম্যান। "আমাদের ধারণা, এই ধরণের ওষুধ ওজন কমানো এবং মানবদেহে স্থূলতার বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা যেতে পারে।" তবে মানুষের দেহে কার্যকরীভাবে ব্যবহারের আগে কি পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত এবং এর পরিণাম কি হতে পারে সেবিষয়ে সুষ্ঠ যাচাই-বাছাই প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মিজ. এরিখম্যান। একইসাথে এর ব্যবহারে কি কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে সেবিষয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। মিজ এরিখম্যান বলেন, "নতুন কোনো ওষুধ তৈরী করে বাজারজাত করতে ১২ থেকে ১৫ বছর লেগে যায়।" "এক্ষেত্রে যেহেতু ওষুধ রয়েছেই, সেটিকেই মানবদেহে ব্যবহারের জন্য উপযোগী হিসেবে তৈরী করা যায় কিনা সেবিষয়ে কাজ করার চিন্তা করছি আমরা।" মিজ. এরিখম্যান জানান এই ওষুধের পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের জন্য আগ্রহী অনেকেই।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply