Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » জেমস ওয়েবে ধরা পড়ল দুই গ্যালাক্সির সংঘর্ষ, মহাকাশে প্যাঁচার মুখ!




জেমস ওয়েবে ধরা পড়ল দুই গ্যালাক্সির সংঘর্ষ, মহাকাশে প্যাঁচার মুখ! জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের কল্যাণে আমরা মহাকাশে প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন রহস্যময় জিনিস আবিষ্কার করছি। এবার এই টেলিস্কোপ আমাদের সামনে তুলে ধরেছে দুটি গ্যালাক্সির সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষ হয়েছে আমাদের থেকে প্রায় ১১ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ সেই সংঘর্ষের ছবি তুলেছে। আর তা দেখতে হয়েছে প্যাঁচার মুখের মতো। যেন অনেক দূর থেকে একটা প্যাঁচা তাকিয়ে আছে পৃথিবীর পানে! বারবার প্যাঁচা বলছি কারণ বিজ্ঞানীরা তেমনই একটা নাম দিয়েছে। কসমিক আউল বা মহাকাশীয় প্যাঁচা। সংঘর্ষে জড়ানো এই দুটি ছায়াপথ বিশেষ ধরনের। এগুলোকে বলা হয় রিং গ্যালাক্সি। এ ধরনের গ্যালাক্সি খুব দুর্লভ। সাধারণত গ্যালাক্সিগুলো হয় মি

ল্কিওয়ের মতো সর্পিলাকার বা লম্বাটে। কিন্তু এমন রিং আকৃতির গ্যালাক্সি সহজে দেখা যায় না। আমাদের পরিচিত সব গ্যালাক্সির মধ্যে এ ধরনের দূর্লভ গ্যালাক্সির সংখ্যা মাত্র ০.০১ শতাংশ। নতুন এই গ্যালাক্সি দুটি আবিষ্কার করেছেন চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মিংইয়ু লি এবং তাঁর সহকর্মীরা। তাঁদের এই আবিষ্কার ছিল সম্পূর্ণ আকস্মিক। এ ধরনের গ্যালাক্সি তৈরি হতেও লাগে বিশেষ ব্যবস্থা। একটি ছোট গ্যালাক্সি যদি বড় কোনো গ্যালাক্সির ভেতর দিয়ে সোজা ঢুকে যায়, তাহলে তৈরি হয় এই রিং আকৃতির গ্যালাক্সি। মূলত, এমন সংঘর্ষের কারণে দুটি গ্যালাক্সির গ্যাস ও নক্ষত্রগুলো বাইরের দিকে ছিটকে গিয়ে কেন্দ্রের চারপাশে একটি রিং বা বলয়ের মতো তৈরি করে। তাই এগুলোর এমন নাম। তবে দুটি গ্যালাক্সির মধ্যে এমন ধাক্কা কিন্তু সহজে লাগে না। নতুন এই গ্যালাক্সি দুটি আবিষ্কার করেছেন চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মিংইয়ু লি এবং তাঁর সহকর্মীরা। তাঁদের এই আবিষ্কার ছিল সম্পূর্ণ আকস্মিক। কসমস ফিল্ড নামে পরিচিত একটি অঞ্চলে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের ডেটা পর্যালোচনা করছিলেন তাঁরা। হঠাৎ এই অদ্ভুত প্যাঁচার মতো কাঠামো তাঁদের নজরে পড়ে। ঘটনাচক্রে, আরেকটি দলও প্রায় একই সময়ে এই কাঠামো আবিষ্কার করেছেন। তাঁরা এর নাম দিয়েছেন ইনফিনিটি গ্যালাক্সি। ফলে এই আবিষ্কারের নিশ্চয়তা নিয়ে আর কোনো আশঙ্কা নেই। প্যাঁচার মতো এই ছবিতে যে দুটি চোখ দেখা যাচ্ছে, তা আসলে দুটি গ্যালাক্সির কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে রয়েছে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল। সেগুলো সূর্যের চেয়ে প্রায় এক কোটি গুণ ভারী। এই ব্ল্যাকহোলগুলো চারপাশের গ্যাস ও ধূলিকণা প্রচণ্ড গতিতে গ্রাস করছে। তাই পেঁচার চোখ দুটি জ্বলছে উজ্জ্বলভাবে। শুধু অদ্ভুত আকারের কারণেই এই আবিষ্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি বিজ্ঞানীদের জন্য একটি প্রাকৃতিক গবেষণাগারের মতো। আর পেঁচার ঠোঁটের মতো জায়গাটি হলো দুই গ্যালাক্সির সংঘর্ষস্থল। এই অঞ্চলে জমে আছে অনেক গ্যাস। এই গ্যাস থেকে জন্ম নেবে নতুন নক্ষত্র। সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট শক ওয়েভ এই গ্যাসকে চাপ দিচ্ছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্ল্যাকহোল থেকে বের হওয়া শক্তিশালী চার্জিত কণার স্রোত বা জেট। এই দুইয়ের সম্মিলিত প্রভাবে সেখানে শুরু হয়েছে ব্যাপক নক্ষত্র তৈরির প্রক্রিয়া। নক্ষত্র তৈরির আঁতুড়ঘর বলতে পারেন একে। সৌরজগতে নতুন আন্তঃনাক্ষত্রিক অতিথির আগমন তবে দুটি গ্যালাক্সির আকারই বেশ ছোট। প্রতিটির ব্যাস প্রায় ২৬ হাজার আলোকবর্ষ। মানে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির চার ভাগের এক ভাগ। এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন বছর আগে। কিন্তু এধরনের সংঘর্ষ কয়েকশো মিলিয়ন বছর ধরে চলতে থাকে। তাই এই প্যাঁচার চেহারা আরও অনেক দিন দেখা যাবে। বারবার প্যাঁচা বলছি কারণ বিজ্ঞানীরা তেমনই একটা নাম দিয়েছে। কসমিক আউল বা মহাকাশীয় প্যাঁচা। সংঘর্ষে জড়ানো এই দুটি ছায়াপথ বিশেষ ধরনের। শুধু অদ্ভুত আকারের কারণেই এই আবিষ্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি বিজ্ঞানীদের জন্য একটি প্রাকৃতিক গবেষণাগারের মতো। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারছেন, কীভাবে প্রাচীন মহাবিশ্বে গ্যালাক্সিগুলোতে এত দ্রুত নক্ষত্র তৈরি হয়েছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ আগেও নানা অদ্ভুত আকৃতির গ্যালাক্সি ও মহাকাশীয় বস্তু আবিষ্কার করেছে। কোনোটা প্রশ্ন চিহ্নের মতো, কোনোটা আবার দেখতে বিড়ালের লেজের মতো। আর এখন যুক্ত হলো প্যাঁচা আকৃতি। গবেষকেরা এখন এই নতুন গ্যালাক্সিকে আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। তাঁরা জানতে চান, কীভাবে এমন নিখুঁত প্রতিসম কাঠামো তৈরি হতে পারে। কেমন পরিস্থিতে ধাক্কা লাগলে সংঘর্ষ হতে পারে এমন দুটি রিংয়ের মতো গ্যালাক্সির। সূত্র: লাইভ সায়েন্স






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply