Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বেগুনের ব্যবহার ও গুণাগুণ




বেগুনের ব্যবহার ও গুণাগুণ বেগুন এক প্রকারের ফল যা সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেকের ধারণা এই উদ্ভিদের প্রজাতিগুলির উদ্ভব ভারতে হয়েছিল, যেখানে এটির ব্যাপক বৃদ্ধি হতে থাকে। আবার অনেকের মতে এর বৃদ্ধি আফ্রিকাতেও হতে পারে।বেগুনের ব্যবহার ও গুণাগুণ সদ্য ফলে পরিণত হওয়া বেগুন ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন রান্নায় বেগুনের ফল ব্যবহার করা হয়। বেগুনের তরকারি পিত্তনাশক, জ্বর কমায়, খিদে বাড়ায় এবং পরিপাক করা সহজ। বেগুন ভর্তা, বেগুন পোড়া, এবং বেগুনী বানাতে এর ব্যবহার রয়েছে। বিশেষত বাংলাদেশে ইফতারের জন্য বেগুনী একটি জনপ্রিয় খাবার। বেগুনের ভর্তা অনেক জনপ্রিয়। এটি গ্রামবাংলার অনেক সুস্বাদু খাবার। বেগুন গাছ প্রায় ৪০ থেকে ১৫০ সেমি দীর্ঘ হয়। পাতাগুলো ঘন এবং প্রায় ১০ থেকে ২০ সেমি দীর্ঘ ও ৫ থেকে ১০ সেমি প্রশস্ত হয়। বুনো বেগুন গাছ আরো বড় হতে পারে। বেগুনের ফুল সাদা হতে গোলাপী বর্ণের হয়। পাঁচটি পাপড়ি থাকে। বেগুনের ফল বেগুনী বা সাদা বর্ণের হয়। ফল অনেকটা লম্বাটে, নলাকৃতি, ডিম্বাকার হয়ে থাকে। ফলের ভিতরে অনেকগুলো নরম বীজ থাকে। বীজতলা তৈরি বেগুনের চাষাবাদ প্রধানত পলি মাটিতে বেশি হয়। বেগুন চাষের জন্য প্রথমে বীজতলায় চারা তৈরি করে মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। বীজতলা তৈরির সময় কয়েকটি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন- বীজতলায় যেন পানি বা জল না জমে। ঐ স্থানে সব সময় আলো-বাতাস থাকে। বীজতলার কাছাকাছি সেচের ব্যবস্থা থাকলে ভালো। রোগমুক্ত সবল চারা পেতে হলে বীজতলার মাটি শোধন করে নিতে হবে। চারা উৎপাদন বেগুন চাষের জন্য চারা উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শীতকালীন বেগুন চাষের জন্য শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি হতে আশ্বিন মাস এবং বর্ষাকালীন বেগুন চাষের জন্য চৈত্র মাস পর্যন্ত বীজ বপন করা যায়। বালি, কমপোষ্ট ও মাটি সমপরিমাণে মিশিয়ে বীজতলা তৈরি করতে হয়। সবল চারা পাওয়ার জন্য প্রথমে একটি বীজতলায় বীজ বুনতে হয়। গাছ গজানোর ৮-১০ দিন পর চারা তুলে দ্বিতীয় বীজতলায় রোপণ করতে হয়। এতে চারা সুগঠিত হয়। অতিরিক্ত পানিতে বা জলে বীজ নষ্ট হয়ে যায়। জমি তৈরি ও চারা রোপণ বেগুন বেশ কয়েক মাস ধরে মাঠে থাকে। তাই ভালো ফলন পেতে জমি ভালোভাবে তৈরি করতে হবে। সাধারণত মাঠের জমি তৈরির জন্য ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। ৩৫-৪৫ দিন বয়সের চারা রোপণের উপযোগী হয়। এ সময়ে চারাতে ৫-৬ টি পাতা গজায় এবং চারা প্রায় ১৫ সে.মি. লম্বা হয়। চারা তোলার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শেকড় নষ্ট না হয়। চারা তোলার ১-২ ঘণ্টা আগে বীজতলায় পানি বা জল দিয়ে মাটি ভিজিয়ে নিলে শেকড় নষ্ট হয় না। বীজতলায় চারা তৈরি করে ৫-৬ সপ্তাহ বয়সের চারা ৭৫ সে.মি. দূরত্বে সারি করে ৬০ সে.মি. দূরে দূরে লাগাতে হয়। বেগুনের জাতের গাছের আকার অনুয়ায়ী এ দূরত্ব ১০-১৫ সে.মি. কম-বেশি করা যেতে পারে। ১মিটার আকারের বীজতলায় প্রায় ৮-১০ গ্রাম বীজ বপন করতে হয়। চারার বয়স ৩৫-৪০ দিন হলে মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। সার প্রয়োগ কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে বেগুন চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরন অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশী যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশেপাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদি স্তূপ করে রেখে পচা সার তৈরি করা সম্ভব। রোগ-বালাই প্রভাব ফিউজিয়াম ছত্রাক দ্বারা বেগুনের ঢলে পড়া রোগ হয়। গাছের গোড়া ও শেকড় বিবর্ণ হয়ে যায়। এ রোগ হলে পাতা নেতিয়ে পড়ে ও গাছ ঢলে পড়ে। পরবর্তীতে গাছ মারা যায়। প্রতিকার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে পোকা দমন না হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণের অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে। সেচ ও নিষ্কাশন শীতকালীন ও আগাম লাগানো বর্ষাকালীন ফসলের জন্য বেগুনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। বেলে মাটিতে ১০-১৫ দিন পরপর সেচ দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। বর্ষাকালীন ও বারমাসী বেগুনের ক্ষেত্রে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। চাষের সময় পরিচর্যা গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য মাঝে মাঝে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে। জমিতে আগাছা দেখা দিলে মাঝে মাঝে তা পরিষ্কার করতে হবে। খড়কুটো অথবা শুকনো কচুরিপানা দিয়ে মাটি ঢেকে দিলে মাটিতে রস অনেক দিন থাকবে। বয়স্ক গাছে ফল উৎপাদন কমে গেলে গাছের প্রধান কাণ্ড গোড়ার দিকে ২০ সে.মি. রেখে গাছের বাকি অংশ কেটে দিতে হবে। এরপর সার ও সেচ দিলে কাণ্ডের কেটে দেওয়া জায়গা থেকে দ্রুত শাখা-প্রশাখা বেরিয়ে ফল দেওয়া শুরু করবে। বেগুন সংগ্রহ খাওয়ার উপযোগী বেগুন ক্ষেত থেকে তোলার সময় সাবধানে সংগ্রহ করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে গাছের গায়ে যেন আঘাত না লাগে বা ক্ষত সৃষ্টি না হয়। গাছ থেকে তোলা বেগুন কাঁচা পাতা অথবা খড়ের উপর রাখতে হবে যেন বেগুনে আঘাত না লাগে; এটা অতি প্রয়োজনীয়। উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ এক বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করলে গড়ে প্রায় ১০০-১২০ মণ বেগুন পাওয়া যায়। বিপণন বেগুন ফসল সংগ্রহের পর ঠান্ডা ও খোলা জায়গায় কয়েক দিন সংরক্ষণ করা যায়। তাই সংগ্রহের পরপরই ঝুড়িতে বা বস্তায় বাজারে পাঠান যেতে পারে। তবে বস্তায় বেশিক্ষণ রাখা ঠিক নয়। বেগুন, কাঁচা প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান শক্তি ১০৪ কিজু (২৫ kcal) শর্করা ৫.৮৮ g চিনি ৩.৫৩ g খাদ্য আঁশ ৩ g স্নেহ পদার্থ ০.১৮ g প্রোটিন ০.৯৮ g ভিটামিন পরিমাণদৈপ%† থায়ামিন (বি১) ৩%০.০৩৯ মিগ্রা রিবোফ্লাভিন (বি২) ৩%০.০৩৭ মিগ্রা নায়াসিন (বি৩) ৪%০.৬৪৯ মিগ্রা প্যানটোথেনিক

অ্যাসিড (বি৫) ৬%০.২৮১ মিগ্রা ভিটামিন বি৬ ৬%০.০৮৪ মিগ্রা ফোলেট (বি৯) ৬%২২ μg ভিটামিন সি ৩%২.২ মিগ্রা ভিটামিন ই ২%০.৩ মিগ্রা ভিটামিন কে ৩%৩.৫ μg খনিজ পরিমাণদৈপ%† ক্যালসিয়াম ১%৯ মিগ্রা লৌহ ২%০.২৩ মিগ্রা ম্যাগনেসিয়াম ৪%১৪ মিগ্রা ম্যাঙ্গানিজ ১১%০.২৩২ মিগ্রা ফসফরাস ৩%২৪ মিগ্রা পটাশিয়াম ৫%২২৯ মিগ্রা জিংক ২%০.১৬ মিগ্রা অন্যান্য উপাদান পরিমাণ পানি ৯২ g Link to USDA Database entry একক μg = মাইক্রোগ্রাম • মিগ্রা = মিলিগ্রাম IU = আন্তর্জাতিক একক †প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। উৎস: ইউএসডিএ ফুডডাটা সেন্ট্রাল উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে,গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply