Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ভারতের মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ মুসলিম অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছে বিশেষ আদালত





মালেগাঁও বিস্ফোরণ: ‘মকোকা’ আইনে এটিএসের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি ওয়াইসি


ভারতের মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ মুসলিম অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছে বিশেষ আদালত। ২০০৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শবেবরাতের দিন মালেগাঁওয়ের হামিদা মসজিদ চত্বরে চারটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে ৩৭ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ৯ মুসলিম ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন শাখা বা এটিএস। এদের মধ্যে সাবির আহমেদ নামে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়।

বিস্ফোরণের পরে এটিএসের পক্ষ থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইও এটিএসের পদক্ষেপকে সঠিক বলে মান্যতা দেয়। অভিযুক্তরা দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কারাগারে থাকার পরে ২০১১ সালে জামিন পায়। ২০১১ সালে এই মামালার তদন্তভার যায় জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ’র কাছে।

জামিনে থাকা অভিযুক্তরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করার আবেদন জানান। অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর বাদে সোমবার বিশেষ আদালতের পক্ষ থেকে ৯ জন অভিযুক্তকেই বেকসুর রেহাই দেয়া হয়।

প্রশ্ন উঠেছে এদের জীবনের ১০ বছর কি কিছুই নয়? ভবিষ্যতে কি তারা উন্নত জীবন যাপন করার জন্য কোনো উপায় খুঁজে পাবে কি? কোথাও কোনো নাশকতামূলক ঘটনা ঘটলেই কেন মুসলিমদের প্রথমেই টার্গেট করা হয়?

এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মজলিশ ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, যে এটিএস কর্মকর্তারা নিরীহ মুসলিম যুবকদের ফাঁসিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ‘মকোকা’ বা মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। এর পাশাপাশি তিনি কংগ্রেস এবং এনসিপিকে আদালতে রেহাই পাওয়া মুসলিম যুবকদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছেন। ওইসময় কংগ্রেস–এনসিপি জোট ক্ষমতায় ছিল। ওয়াইসি মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে এ নিয়ে ক্ষতিপূরণ দেয়ারও দাবি করেছেন।

আজ (মঙ্গলবার) পশ্চিমবঙ্গের ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এক প্রেস নোটে জানিয়েছেন, ‘মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের দশ বছর পরে বেকসুর মুক্তি আবারো প্রমাণ করল দেশের মুসলিম যুবকরা কতটা ষড়যন্ত্রের শিকার।’ তিনি বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে এই নিরীহদের আর কতদিন বলি করা হবে? আজও কত নিরীহ মুসলিম দেশের বিভিন্ন কারাগারে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এদেরও কি বেকসুর খালাস পেতে বার্ধক্য পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?’

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘কেন শাস্তি হবে না ওই সব এটিএস এবং সিবিআই কর্মকর্তাদের যারা সাম্প্রদায়িকতার চশমা পরে নিরীহ ওই যুবকদের দোষী সাব্যস্ত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, শারীরিক নির্যাতন করে মিথ্যা অপবাদ মাথায় নেয়ার জন্য বাধ্য করছিলেন?’ তিনি বেকসুর রেহাই পাওয়া ওই যুবকদের সামাজিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারকে দায়িত্ব নেয়ার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি করেছেন।#






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply