Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » রিপন// গাংনী উপজেলার বামন্দীতে আওয়ামী লীগ নেতা আহত ॥ বিএনপি প্রার্থীর প্রচার মাইক ভাংচুর





গাংনী  উপজেলার বামন্দীতে আওয়ামী লীগ নেতা আহত ॥ বিএনপি প্রার্থীর প্রচার মাইক ভাংচুর
   মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের নির্বাচনী মাঠে প্রচার মাইক ভাংচুর ও মোটর সাইকেল বহরে হামলা এবং পাল্টা প্রতিবাদের ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েছে । হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা বজলুল বশিদসহ কয়েকজন বিএনপি কর্মী। ভাংচুর করা হয়েছে প্রচার মাইক।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,  মঙ্গলবার   সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কয়েক যুবক মোটর সাইকেলযোগে বামন্দী বাজারে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের মোটর সাইকেল বহরে হামলা চালায়। বহরের পেছন দিকে মোটর সাইকেল চালক ও আরোহীদের লাঠিপেটা করে পালিয়ে যায় ওই যুবকরা। এসময় গাংনী থেকে মোটর সাইকেলযোগে বামন্দী বাজারে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন বামন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বাদিয়াপাড়া গ্রামের বজলুল বশিদ (৪২)। দৃর্বৃত্তদের লাঠির এলোপাথাড়ি আঘাতে বজলুল বশিদের মুখ ও মাথা রক্তাত্ব জখম হয়। আহত হন তার সঙ্গীয় তেরাইল গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী আশরাফ। আশরাফকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও বজলুল বশিদকে রাতেই গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বজলুল বশিদ জানান, তিনি গাংনী থেকে মোটর সাইকেলযোগে বামন্দী বাস স্ট্যান্ডের আগে পৌঁছালে বিএনপি প্রার্থীর মোটর সাইকেল বহরের দেখা পান। বহরটি বেরিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় তিনি মোটর সাইকেলের গতি কমিয়ে দেন। এসময় পেছন থেকে কয়েক যুবক তার উপর লাঠিপেটা করে পালিয়ে যায়।
এদিকে ওই কয়েক যুবক মোটর সাইকেল বহরে হামলার পর বামন্দী বাজারের ভেতরে বিএনপি প্রার্থী আমিরুল ইসলামের প্রচার মাইক ভাংচুর করে। মাইক বহন করা ভ্যান উল্টে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েন বামন্দী বাজারের ব্যবাসায়ীরা। দোকান বন্ধ করে দ্রুত যার যার মত সটকে পড়েন তারা।
মাইক ভাংচুর ও হামলার সময় বামন্দী ক্যাম্প পুলিশের একটি দল বামন্দী বাজারে থাকলেও তারা কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে বজলুল বশিদের উপর হামলার খবর পেয়ে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন তেরাইল বাজারে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বিশ^াসের কর্মী সমর্থকরা। তারা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে বামন্দীর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। কয়েক শ’ নেতাকর্মী তেরাইল থেকে পায়ে হেটে বামন্দী বাজারে পৌঁছে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তারা। পরে অবশ্য পুলিশের আশ^াসে তারা বাড়ি ফিরে যায়।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বিশ^াসের অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হবিবুর রহমান হবির লোকজন হামলার সঙ্গে জড়িত। তারা বিভিন্ন ভাবে আওয়ামী লীগ কর্মীদেরকে হুমকি-ধামকি ও মারধর করছে। তাদের গ্রেফতার দাবি জানিয়ে গতরাতেই তিনি পুলিশ সুপার ও ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।
বিএনপি প্রার্থী আমিরুল ইসলাম জানান, মোটর সাইকেল বহরে হামলার ঘটনায় তার কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তার কর্মী সমর্থকদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী) হবিবুর রহমান হবি। তিনি বলেন, হামলার সঙ্গে তার কোন কর্মী সমর্থক জড়িত নয়। বরং তার কর্মীরাই প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের হুমকিতে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। তিনিও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
তবে ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয় উল্লেখ করে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, উভয় পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। নির্বাচনী মাঠে কোন প্রকার বিশৃংখলা সহ্য করা হবে না। হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে রাতেই অভিযান চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে কাউকে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুশিয়ারী করেন তিনি।
 






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply