কবুতর পালন ও চিকিৎসা
কবুতর পালন ও চিকিৎসা: প্রাথমিক তথ্য

আমাদের দেশে বিভিন্ন গৃহপালিত পাখির মধ্যে কবুতর সর্বাধিক জনপ্রিয়। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কবুতর পালন করা হয়- এর বাহ্যিক সৌন্দর্য্যগত দিকগুলোর কারণে। প্রাচীনকালে কবুতর পালন করা হতো চিঠি আদান প্রদানের কাজে। শোনা যায় প্রাচীনকালে রাজা বাদশাহ তাঁদের বিভিন্ন ধরনের বার্তা প্রেবণের জন্য বেছে নিতেন কবুতরকে। এছাড়া, সারা পৃথিবী জুড়ে কবুতরকে ধরা হয় শান্তির দূত হিসেবে। এই কারণে,বিভিন্ন গঠনমূলক কাজে ধর্মাধর্ম নির্বিশেষে কবুতরকে খাঁচামুক্ত করে উদ্বোধন করা হয়।

সবচেয়ে বড় কথা, কবুতর পালন করার জন্য অতিরিক্ত বা বাহুল্য কোন খরচ হয় না। কবুতরকে সহজেই পোষ মানানো যায়। বাড়ির যেকোন কোণ বা আঙিনা অথবা বাড়ির ছাদ কিংবা কার্নিশের মত ছোট বা অল্প জায়গাতে ও কবুতর পালন করা যায়। এমনকি ছাদের সাথে ঝুড়ি ঝুলিয়ে ও কবুতর পালন করা যায়।এই কারণে, শহরে কী গ্রামে অনেক বাড়িতেই কবুতর পালন করা যায়।

কবুতরের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু এবং বলকারক বিশেষজ্ঞরা বলেন, কবুতরের মাংসে সাধারণ অন্যান্য পাখির মাংসের চাইতে প্রোটিনের পরিমান বেশি। ফলে আমিষের পাশাপাশি প্রটিনের বাড়তি চাহিদা পূবণের জন্য ও কবুতরের মাংস খাওয়া হয়ে থাকে। বানিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করে অনেকেই অল্প সময়ে এটাকে লাভ জনক ব্যবসা হিসেবে দাঁড়া করাতে পেরেছেন। কবুতর সাধারণভাবে জোড়ায় বেঁধে বাস করে। প্রতি জোড়ায় একটি পুরুষ এবং একটি স্ত্রী কবুতর থাকে। এরা ১২ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। যতদিন বেঁচে থাকে_ ততদিন এরা ডিমের মাধ্যমে বাচ্চা প্রজনন করে থাকে।ডিম পাড়ার পর স্ত্রী ও পুরুষ উভয় কবুতরই পর্যায়ক্রমে উক্ত ডিমে তা দিয়ে থাকে। কবুতরের কোন জোড়া হঠাৎ ভেঙে গেলে সেই জোড়া তৈরি করতে কিছুটা বেগ পেতে হয়।নতুন জোড়া তৈরি করার জন্য স্ত্রী ও পুরুষ কবুতরকে একঘরে কিছুদিন রাখতে হয়।
কবুতর বা পায়রা বা কপোত বা পারাবত এক প্রকারের জনপ্রিয় গৃহপালিত পাখি। এর মাংস মনুষ্যখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। প্রাচীন কালে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদান করা হত। কবুতর ওড়ানোর প্রতিযোগিতা প্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি প্রচলিত আছে। গৃহপালিত কবুতরের বৈজ্ঞানিক নাম Columba livia domestica। সব গৃহপালিত কবুতরের উদ্ভব বুনো কবুতর (Columba livia) থেকে।

পরিচ্ছেদসমূহ

১ খাদ্য
২ জীবনকাল, প্রজনন
৩ রোগ ব্যাধি
৪ ধরন/জাত
৫ তথ্যসূত্র
৬ আরো দেখুন
৭ বহিঃসংযোগ

খাদ্য

কবুতরের খাবার হছে গম, চাউল, কাউন, ধান, খুদ, চিনা সরিষা, ডাবলি, রেজা, বাজরা, বিভিন্ন বিজ ইত্যাদি খায় । মুরগির জন্য তৈরি খাবারও কবুতর খায়। খাবারের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি দিতে হয়। ২×২ ফুট স্থানের মধ্যে দুটি কবুতর থাকতে পারে। কবুতরের বাসস্থান কুকুর, বিড়াল, বেজী ইত্যাদি প্রাণী থেকে দূরে রাখতে হয়। কবুতরের ঘরে যাতে পানি না আসে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।
বাড়ীর দেয়ারে বসে রোদ পোহাচ্ছে একদল কবুতর।
জীবনকাল, প্রজনন

জঙ্গলী কবুতর ৫ বছর এবং গৃহপালিত কবুতর ১০-১৫ বছর বাঁচে। ৫-৬ মাস বয়স হলে স্ত্রী কবুতর ডিম দেয়। গড়ে প্রতি প্রতি মাসে এক বার ডিম দেয়। বাচ্চা ২৫/২৬ দিন বয়স হলে খাবার উপযুক্ত হয়। এ সময় বাচ্চা সরিয়ে ফেললে মা কবুতর নতুন করে ডিম দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
রোগ ব্যাধি

পাখি হিসেবে মুরগি/হাঁসের রোগগুলো এর মধ্যে দেখা দিয়ে থাকে। সাধারণত: ককসিডিওসিস বা পাতলা চুণ যুক্ত পায়খানা, সালমোনেলা, রাণীক্ষেত পি এমভি/নিউ ক্যাসল ডিজিজ, কৃমি, ক্যাংকার বা মুখে ঘা, ক্রণিক রেসপিরেটরি ডিজিজ সি আর ডি, পক্স, বার্ড ফ্লু ইত্যাদি রোগ হতে দেখা যায়। প্রায় সব রোগের জন্যই বিভন্ন কোম্পানির ঔষধ পাওয়া যায়। তাছাড়া পশু সম্পদ গবেষণাগার হতে রাণীক্ষেত , পক্স ইত্যাদির টিকা বা প্রতিষেধক পাওয়া যায়।
ধরন/জাত

জাত বা ধরন গুলো কোন নির্দিষ্ট কিছু নয়। বিভিন্ন রং, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, চোখ ইত্যাদি এর উপর ভিত্তি করে নামকরণ বা জাত ঠিক করা হয়। এছাড়া ক্রস ব্রিডিং -এর মাধ্যমেও নতুন জাত তৈরি হয়ে থাকে। সচরাচর লভ্য জাতগুলো হলোঃ

হোমার (উড়াল প্রতিযোগিতায় ব্যবহার হয়)- হোমিং পিজিয়ন থেকে
গোলা (দেশী কবুতর)
লাক্ষা (সৌখিন, লেজগুলো দেখতে ময়ুরের মত ছড়ানো) - ভারত থেকে এসেছে
সিরাজী (সৌখিন ) - লাহোর নামে পাওয়া যায়
গিরিবাজ - (উড়ানোর জন্য বিখ্যাত)
কাগজি (সমস্ত শরীর সাদা কিন্তু সমস্ত চোখ কালো)
চিলা
গোররা (শরীর সাদা কালো মিশ্রণ, যেমন মাথা সাদা, পিঠ কালো, ডানা সাদা)
চুইনা (সমস্ত শরীর সাদা কিন্তু সমস্ত চোখ কালো নয়)
রান্ট
প্রিন্স
পটার (গলার নিচটা ফুটবলের মতো)
ফ্রিল ব্যাক
জ্যাকোবিন
স্ট্রেসার
মডেনা
মুসল দম (সমস্ত শরীর কালো কিন্তু দম বা লেজ গুলো সাদা)
নোটন (মাটিতে ডিগবাজি দেয়)
কিং

কবুতর পালনের বিভিন্ন সুবিধা সমুহ
কবুতর পালন করলে অসুবিধার চেয়ে সুবিধার পরিমাণ বেশি। পরবর্তীতে কবুতর পালনের বিভিন্ন সুবিধাসমূহ উল্লেখ করা হলো।

(১) সাধারনত একটি ভাল জতের কবুতর বছরে ১২ জোড়া ডিম প্রদানে সক্ষম হয়ে থাকে। এই ডিম গুলোর প্রায় প্রতিটি থেকেই বাচ্চা পাওয়া যায়। এই বাচ্চা পরবর্তী ৪ সপ্তাহের মধ্যেই খাওয়া বা বিক্রির উপযোগী হয়।

(২) গৃহপালিত অন্যান্য পাখির মধ্যে কবুতরকে পোষ মানানো বা লালন করা যায়।

(৩) খুবই অল্প জায়গায় কবুতর লালন পালন করা যায়। এমনকি ঝোলানো ঝুড়িতেও কবুতর পালন করা সম্ভব। লালন পালনে কম জায়গা লাগে বলে কবুতর পোষায় খরচের পরিমাণ একেবারেই কম।

(৪) বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কবুতর নিজের খাবার নিজেই খুঁজে নিয়ে থাকে। এই কারণে কবুতরের খাবারের জন্য বাড়তি যত্ন বা খরচ খুব একটা হয় না বললেই চলে।

(৫) কবুতরের থাকার জায়গার জন্য বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আঙিনা, বা ছাদের ওপর কাঠের ঘর তৈরি করে অনায়াসেই কবুতর পালন করা যায়। প্রমাণ সাইজের ঝুড়িতে করে ও কবুতর পালন করা যায়।

(৬) একটি পূণাঙ্গ বয়সের কবুতর ডিম দেবার উপযোগী হতে ৫ থেকে ৬ মাস মসয় লাগে। এই অল্প সময় অতিক্রান্ত হবার পর থেকেই কবুতর বছরে প্রায় ১২ জোড়া ডিম প্রদানে সক্ষম। ২৬ থেকে ২৮ দিন বয়সেই কবুতরের বাচ্চা খাবার উপযোগী হয়ে থাকে বা এই বাচ্চাকে বাজারজাত করা যায়। সাধারণত কবুতরের বাচ্চা রুগীর পথ্য হিসেবেও অনেকে বেছে নেন।

(৭) কবুতরের ডিম থেকে মাত্র ১৮ দিনেই বাচ্চা সাধারণ নিয়মে ফুটে থাকে। এই বাচ্চা আবার পরবর্তী ৫ থেকে ৬ মাস পরে নিজেরাই ডিম প্রদান শুরু করে।ফলে কবুতর বংশ পরম্পরায় প্রাকৃতিক নিয়মে নিজেরাই বাড়াতে থাকে নিজেদের সংখ্যা।

(৮) কবুতরের মাংস প্রচুর চাহিদা রয়েছে।কারণ, কবুতরের মাংস খুবই সুস্বাদু ও বলকারক। তাছাড়া, বাজারের অন্যান্য মাংসের যোগান থেকে কবুতর কিছুটা সস্তাতে ও পাওয়া যায়।

একটি খুব ভালো প্রজাতির কবুতর লালন করলে পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে সেই জোড়া থেকে কয়েক জোড়া কবুতর পাওয়া খুব বেশি আর্শ্চযজনক বিষয় নয়। এই কবুতরকে একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে ধরা যেতে পারে। কারণ, কবুতর লালন-পালনের খরচ খুব একটা নেই। এমনকি কবুতরের রোগ ব্যাধি কম হয়। কবুতরের থাকার জায়গা নির্বাচনে ও অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না। এই কারণে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে কবুতর পালন অবশ্যই লাভজনক।

ধারাবাহিক ভাবে কবুতর তার বংশবৃদ্ধি করে বলে অনেকেই আজকাল কবুতর পালনের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।মুরগির মাংসের বিকল্প হিসেবে কিংবা অতিথি পাখির বিকল্প হিসেবে অনেকেই কবুতরের মাংস বেছে নিয়ে থাকেন।
লেখক: আবদুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিচালক, বংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট।
কবুতর প্রতিপালন ব্যবস্থাপনা: বিস্তারিত তথ্য

ভূমিকা
ইতিহাস থেকে জানা যায় বহু আদিকাল থেকে মানুষ কবুতর পালন করে আসছে। সে সময় মানুষ দেব-দেবীকে সন্তুষ্ট করার জন্য কবুতর উৎসর্গ করতো। এছাড়াও এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সংবাদ প্রেরণ, চিত্ত বিনোদন ও সুস্বাদু মাংসের জন্য কবুতরের বহুল ব্যবহার ছিল। বর্তমানে আমাদের দেশেও প্রধানত মাংস ও চিত্ত বিনোদনের জন্য কবুতর পালন করা হয়ে থাকে।

কবুতর প্রতিপালনের প্রয়োজনীয়তা
কবুতর প্রতিপালন এখন শুধু শখ ও বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং তা এখন একটি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। কবুতর বাড়ি ও পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা ছাড়াও অল্প খরচে এবং অল্প ঝামেলায় প্রতিপালন করা যায়। কবুতরের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু এবং বলকারক হিসেবে সদ্যরোগমুক্ত ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত উপযোগী। রোগীর পথ্য হিসেবে কবুতরের মাংস ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। আমাদের দেশে বর্তমানে অনেকে বাণিজ্যিকভিত্তিতে কবুতর পালন করছেন।

কবুতর প্রতিপালনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব
বাংলাদেশে সাধারণত কবুতরকে মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়। কবুতরের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু, বলকারক ও রোগীর পথ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় যা সাধারণ মানুষের নিকট অতি প্রিয়।
১। ন্যুনতম ব্যয়ে প্রতিপালন:
হাঁস-মুরগীর তুলনায় কবুতর পালন মোটেও ব্যয়বহুল নয়। স্বল্প পুঁজি, অল্প খরচ ও সীমিত স্থানে অতি সহজে কবুতর পালন করা যায়।
২। কবুতরের ঘর নির্মাণে ন্যুনতম ব্যয়:
গ্রামাঞ্চলে অত্যন্ত সাধারণ পদ্ধতিতে পারিবারিকভাবে কবুতর প্রতিপালন করা যায়। বাড়ির চালের বাড়তি অংশে কাঠ বা বাঁশের ঘর বা খোপের মতো করে দিলে এখানে আপনাআপনি কবুতর এসে বাসা বাঁধে এবং বংশবৃদ্ধি করে। এতে তেমন খরচ নেই বললেই চলে। এভাবে কবুতর প্রতিপালন করে অনেক পরিবার যেমন তাদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে তেমনি অন্যভাবে নিয়মিত কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। বাণিজ্যিকভাবে কবুতর প্রতিপালনেও সীমিত ব্যয় হয়। এদের ঘরের অধিকাংশই কাঠ ও বাঁশের তৈরি হয়ে থাকে। সর্বোপরি এজন্য খুব কম জায়গার প্রয়োজন হয়।
৩। ডিম ফোটার হার:
কবুতরের ক্ষেত্রে ডিম ফোটার হার ৯৮%, যা মুরগির ক্ষেত্রে প্রায়শ ৮০-৮৫% হয়ে থাকে। এদের ডিম ফোটানোর জন্য ইনকিউবেটর বা এজাতীয় কোনো ব্যয়বহুল যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না।
জেনারেশন বিরতি
স্বল্প বয়সে এদের পুনরুৎপাদন শুরু হয়। তাই একজন উৎপাদনকারী অল্প সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান হতে পারে। একটি কবুতর সাধারণত বছরে ১০-১২ জোড়া বাচ্চা দেয়। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ১৬-১৮ দিন সময় লাগে।

কবুতরের জাত
বহুবিচিত্র ধরনের নানা জাতের কবুতর রয়েছে। আমাদের দেশে ২০ টিও অধিক জাতের কবুতর আছে বলে জানা যায়। নিম্নে প্রধান কয়েকটি জাত সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

১। গোলা
এই জাতের কবুতরের উৎপত্তিস্থল পাক-ভারত উপমহাদেশ। আমাদের দেশে এ জাতের কবুতর প্রচুর দেখা যায় এবং মাংসের জন্য এটার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। ঘরের আশেপাশে খোপ নির্মাণ করলে এরা আপনাআপনি এখানে এসে বসবাস করে। এদের বর্ণ বিভিন্ন সেডযুক্ত ধূসর এবং বারড-ব্লু রংয়ের। এদের চোখের আইরিস গাঢ় লাল বর্ণের এবং পায়ের রং লাল বর্ণের হয়।
২। গোলী
গোলা জাতের কবুতর থেকে গোলী জাতের কবুতর ভিন্ন প্রকৃতির। এ জাতের কবুতর পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের কলকাতায় বেশ জনপ্রিয় ছিল। এদের লেজের নীচে পাখার পালক থাকে। ঠোঁট ছোট হয় এবং পায়ে লোম থাকে না। এদের বর্ণ সাদার মধ্যে বিভিন্ন ছোপযুক্ত।
৩। টাম্বলার
এসব জাতের কবুতর আকাশে ডিগবাজী খায় বলে এদের টাম্বলার বলে। আমাদের দশে এই জাতটি গিরিবাজ নামে পরিচিত। এদের উৎপত্তিস্থল পাক-ভারত উপমহাদেশ। মনোরঞ্জনের জন্য আমাদের দেশে এদের যথেষ্ট কদর রয়েছে।
৪। লোটান
লোটন কবুতরকে রোলিং (rolling) কবুতরও বলা হয়। গিরিবাজ কবুতর যেমন শূন্যের উপর ডিগবাজী খায়, তেমন লোটন কবুতর মাটির উপর ডিগবাজী খায়। সাদা বর্ণের এই কবুতরের ঘুরানো ঝুঁটি রয়েছে। এদের চোখ গাঢ় পিঙ্গল বর্ণের এবং পা লোমযুক্ত।
৫। লাহোরী
আমাদের দেশে এই কবুতরটি শিরাজী কবুতর হিসেবে পরিচিত। এদের উৎপত্তিস্থল লাহোর। এদের চোখের চারদিক থেকে শুরু করে গলার সম্মুখভাগ, বুক, পেট, নিতম্ব, পা ও লেজের পালক সম্পূর্ণ সাদা হয় এবং মাথা থেকে শুরু করে গলার পিছন দিক এবং পাখা রঙ্গীন হয়। সাধারণত কালো, লাল, হলুদ, নীল ও রূপালী ইত্যাদি বর্ণের কবুতর দেখা যায়।
৬। কিং
কিং জাতের কবুতরের মধ্যে হোয়াইট কিং এবং সিলভার কিং আমেরিকাসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিং জাতের কবুতর প্রদর্শনী এবং স্কোয়াব (ঝয়ঁধন বাচ্চা) উৎপাদনে ব্যবহার হয়। এছাড়াও রয়েছে ব্লু রেড এবং ইয়েলো কিং। এই জাতের কবুতর মূলত প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত হয়।
৭। ফ্যানটেল
এটি অতি প্রাচীন জাতের কবুতর। ফ্যানটেল জাতের কবুতরের উৎপত্তি ভারতে। এ জাতের কবুতর লেজের পালক পাখার মত মেলে দিতে পারে বলে এদেরকে ফ্যানটেল বলা হয়। এদের রং মূলত সাদা তবে কালো, নীল ও হলুদ বর্ণের ফ্যানটেল সৃষ্টিও সম্ভব হয়েছে। এদের লেজের পালক বড় হয় ও উপরের দিকে থাকে। পা পালক দ্বারা আবৃত থাকে। এ জাতের কবুতর প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত হয় এবং দেশ বিদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
৮। জ্যাকোবিন
এই কবুতরের মাথার পালক ঘাড় অবধি ছড়ানো থাকে যা বিশেষ ধরনের মস্তকাবরণের মত দেখায়। এদের উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে এদের আদি জন্মস্থান ভারত বলেই ধারণা করা হয়। এই কবুতর সাধারণত সাদা, লাল, হলুদ, নীল ও রূপালী বর্ণের হয়। এদের দেহ বেশ লম্বাটে। চোখ মুক্তার মত সাদা হয়।
৯। মুকি
এ জাতের কবুতরের গলা রাজহাঁসের মত পিছন দিকে বাঁকানো এবং কম্পমান অবস্থায় থাকে। মুকি জাতের কবুতরের উৎপত্তি ভারতে বলে ধারণা করা হয়। এদের উভয় ডানার তিনটি উড়বার উপযোগী পালক সাদা হয় যা অন্য কোনো কবুতরে দেখা যায় না। এ জাতের কবুতরের মাথা সাদা, বুক খুব একটা চওড়া নয় তবে উঁচু ও বেশ কিছুটা সামনের দিকে বাড়ানো থাকে। সাদা, কালো এবং নীল বর্ণের এই কবুতরের পায়ে লোম থাকে না।

কবুতরের প্রজনন, ডিম উৎপাদন ও ডিম ফুটানো
হাঁস-মুরগির মতো যে কোনো মর্দা কবুতর মাদী কবুতরের সাথে হজে জোড়া বাঁধে না। এদেরকে এক সাথে এক সপ্তাহ রাখলে জোড়া বাঁধে। মুরগীর ন্যায় কবুতরের জননতন্ত্রে ডিম উৎপন্ন হয়। তবে ডিম্বাশয়ে একসাথে সাধারণত মাত্র দু'টি ফলিকুল তৈরি হয়।
এ কারণে প্রতিটি মাদী কবুতর দু'টি ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার ৪০-৪৪ ঘন্টা পূর্বে ডিম্ব স্খলন হয় এবং ডিম পাড়ার কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা পূর্বে তা নিষিক্ত হয়। অর্থাৎ যে ১৬-২০ ঘন্টা পর্যন্ত ডিম ডিম্বনালীতে থাকে সে সময়ে তা নিষিক্ত হয়ে থাকে।
ডিম পাড়ার পর থেকে মর্দা ও মাদী উভয় কবুতর পর্যায়ক্রমে ডিমে তা দিতে শুরু করে। মাদী কবুতর প্রায় বিকেল থেকে শুরু করে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ডিমে তা দেয় এবং বাকী সময়টুকু অর্থাৎ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মর্দা কবুতর তা দিয়ে থাকে। তা দেয়ার পঞ্চম দিনেই ডিম পরীক্ষা করে উর্বর বা অনুর্বর ডিম চেনা যায়। বাতির সামনে ধরলে উর্বর ডিমের ভিতর রক্তনালী দেখা যায়। কিন্তু অনুর্বর ডিমের ক্ষেত্রে ডিমের ভিতর স্বচ্ছ দেখাবে। সাধারণত ডিম পাড়ার ১৭-১৮ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এভাবে একটি মাদী কবুতর সাধারণত ১২ মাসে ১০-১২ জোড়া বাচ্চা উৎপাদন করতে পারে। জন্মের প্রথম দিন থেকে ২৬ দিন বয়স পর্যন্ত কবুতরের বাচ্চার ক্রমবর্ধমান অবস্থা থাকে। প্রথমে সারা দেহ হলুদ পাতলা বর্ণের লোম দ্বারা আবৃত থাকে।

এই সময় নাক ও কানের ছিদ্র বেশ বড় দেখায়। প্রায় ৪-৫ দিন পর বাচ্চার চোখ খোলে বা ফুটে। পনের দিনে সমস্ত শরীর পালকে ছেয়ে যায়। প্রায় ১৯-২০ দিনে দু'টো ডানা এবং লেজ পূর্ণতা লাভ করে ও ঠোঁট স্বাভাবিক হয়। এই ভাবে ২৬-২৮ দিনে কবুতরের বাচ্চা পূর্ণতা লাভ করে। কবুতর সাধারণত ২০-৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
পিজিয়ন মিল্ক
কবুতরের খাদ্যথলিতে পিজিয়ন মিল্ক উৎপাদিত হয়। এই খাদ্য থলিতে দু'টি অংশ বা লোব (ষড়নব) থাকে। ডিমে তা দিতে বসার প্রায় অষ্টমদিন থেকে "পিজিয়ন মিল্ক" উৎপাদনের প্রস্তুতি শুরু হয়। এন্টিরিত্তর পিটুইটারী গ্রন্থির প্রোল্যাকটিন (Prolactin) হরমোনের প্রভাবে এই ' পিজিয়ন মিল্ক' উৎপন্ন হয়। এ কারণে কবুতর ছানার জন্য কোনো বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয় না। কারণ প্রায় ৭ দিন পর্যন্ত ছানা তার মাতা-পিতার কাছ থেকে প্রকৃতি প্রদত্ত খাবার পেয়ে থাকে। এটিকে পিজিয়ন মিল্ক বা কবুতরের দুধ বলা হয়। পিজিয়ন মিল্ক হলো পৌষ্টিক স্তরের কোষের মধ্যে চর্বির গুটিকা (globules of fat) যা পিতা মাতা উভয়ের খাদ্য থলিতে যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ হয়। পিজিয়ন মিল্ক কবুতর ছানার জন্য একটি আদর্শ খাবার। এতে ৭০% পানি, ১৭.৫% আমিষ, ১০% চর্বি এবং ২.৫% বিভিন্ন খনিজ পদার্থ থাকে। মাতাপিতা উভয় কবুতরের খাদ্য থলির অভ্যন্তরীণ আবরণ থেকে পিজিয়ন মিল্ক উৎপন্ন হয়। কবুতরের জিহ্বা লম্বা ও সরু। মুখ গহ্বরের নীচের অংশ বেশ প্রশস্ত হয় যা ছানাকে খাওয়ানোর উপযোগী। মাতা ও পিতা কবুতর ছানার মুখের মধ্যে মুখ প্রবেশ করিয়ে খাবার সরাসরি অন্ননালীতে পৌছে দেয়।

কবুতরের ঘর
আমাদের দেশে বিশেষত গ্রামে টিন বা খড়ের চালা ঘরের কার্ণিশে মাটির হাড়ি অথবা টিন বেঁধে রেখে কবুতর পালনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া কাঠের তৈরি ছোট ছোট খোপ তৈরি করেও কবুতর পালা হয়ে থাকে। মজার ব্যাপার হলে, কয়েক জোড়া কবুতরের ঘর করে এক জোড়া কবুতর পালন করলে কয়েক দিনের মধ্যে বাকী ঘরগুলোতে নতুন জোড়া কবুতর এসে বাসা বাঁধে। কবুতর পোষা খুব সহজ এবং লাভজনক তা বলাই বাহুল্য। অল্প-পরিসরে যা বাণিজ্যিকভিত্তিতে কবুতর পালনের জন্য অবশ্যই সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। নিম্নে কবুতরের ঘর বা খোপ তৈরির বিশেষ ব্যবস্থাসমূহ আলোচনা করা হলো।

স্থান নির্বাচনঃ কবুতরের খামারের জন্য উঁচু ও শুষ্ক সমতল ভূমি থাকা প্রয়োজন।
ঘরের উচ্চতাঃ কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, বেজী ইত্যাদি যেন কবুতরের ঘর নাগালে না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ঘর উঁচু করতে হয়। এ উদ্দেশ্যে কাঠ বা বাঁশের খুঁটি পুঁতে তার উপর ঘর নির্মাণ করা যেতে পারে।
ঘরের পরিসরঃ প্রতি এক জোড়া কবুতরের জন্য একটি ঘর থাকা প্রয়োজন। এক জোড়া কবুতর যাতে ঘরের ভিতর স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে ফিরতে পারে তা লক্ষ্য রেখে ঘর নির্মাণ করতে হবে।
স্বাস্থ্য সম্মত ব্যবস্থাঃ কবুতরের ঘর বা খোপ এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে যেন সেখানে পোকা-মাকড়, কৃমি, জীবাণু ইত্যাদির উপদ্রব কম থাকে এবং ঘর সহজেই পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা যায়।
সূর্যালোকঃ ঘরে যাতে সূর্যের পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ সূর্যের আলো যেমন পাখির দেহে ভিটামিন-ডি সৃষ্টিতে সাহায্যে করে তেমনি পরিবেশও জীবাণুমুক্ত রাখে।
বায়ু চলাচলঃ কবুতরের ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। কারণ দূষিত বাতাস বা পর্যাপ্ত আলো বাতাসের অভাবে পাখির স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে।

কবুতরের খাদ্য
হাঁস-মুরগির ন্যায় কবুতরের খাদ্যে শ্বেতসার, চর্বি, আমিষ, খনিজ ও ভিটামিন প্রভৃতি থাকা প্রয়োজন। কবুতর তার দেহের প্রয়োজন এবং আকার অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। প্রতিটি কবুতর দৈনিক প্রায় ৩০-৫০ গ্রাম পর্যন্ত খাবার গ্রহণ করে থাকে। কবুতর প্রধানত গম, মটর, খেশারী, ভুট্টা, সরিষা, যব, চাল, ধান, কলাই ইত্যাদি শস্যদানা খেয়ে থাকে। মুক্ত অবস্থায় পালিত কবুতরের জন্য সকাল-বিকাল মাথা পিছু আধ মুঠ শস্যদানা নির্দিষ্ট পাত্রে
খাদ্য উপাদান

পরিমাণ (%)

ভুট্টা

৩৫

মটর

২০

গম

৩০

ঝিনুকের গুঁড়া/চুনাপাথর চূর্ণ/অস্থিচূর্ণ

০৭

ভিটামিন/এমাইনো এসিড প্রিমিক্স

০৭

লবণ

০১

মোট = ১০০

রেখে দিলে প্রয়োজন মত তারা খেতে পারবে। বাণিজ্যিকভিত্তিতে কবুতর উৎপাদনের জন্য নিম্নে প্রদত্ত খাদ্য মিশ্রণ ব্যবহার করা উত্তম।

কবুতরের খাদ্য তালিকা
এই সাথে কবুতরের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। এক পাত্রে কবুতরের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার ও অন্য পাত্রে প্রয়োজন মত পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি রাখতে হবে।
কবুতরের শারীরবৃত্তিক তথ্যাদি
* দেহের তাপমাত্রা = ৩৮.৮-৪০০ সে
* দৈহিক ওজন = (ক) হালকা জাতঃ ৪০০-৪৫০ গ্রাম
(খ) ভারী জাতঃ ৪৫০-৫০০ গ্রাম
* পানি পান = (ক) শীতকালঃ ৩০-৬০ মিলি প্রতিদিন
(খ) গ্রীষ্মকালঃ ৬০-১০০ মিলি প্রতিদিন
* খাদ্য গ্রহণ = ৩০-৬০ গ্রাম প্রতিদিন (গড়)
* ডিম ফুটানোর সময়কাল = ১৭-১৮ দিন।
কবুতরের গুরুত্বপূর্ণ রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
রোগের নাম

কারণ

লক্ষণ

চিকিৎসা

প্রতিরোধ

সালমেনেলোসিস/ প্যারাটইফোসিস

সালমোনেলা টাইফিমিউরিয়াম

শ্লেষ্মাযুক্ত আঠালো, ফেনা ও দুর্গন্ধযুক্ত ডায়রিয়া দেখা দেয়। দেহ ক্রমাগত শুকিয়ে যায়। ভারসাম্য হীনতা ও পক্ষাঘাত পরিলক্ষিত হয়।

এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। এই সাথে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে।

১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
২। টিকা প্রদান করতে হবে।

১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
২। টিকা প্রদান করতে হবে।

পাসটিউরেলা মালটোসিডা

ডাইরিয়া, জ্বর (৮২-৮৩০ ঈ) কোন লক্ষণ ব্যতীত ২৪-৪৮ ঘন্টা মধ্যে কবুতর মারা যায়

এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। এই সাথে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে।

১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
২। টিকা প্রদান করতে হবে।

করাইজা অথবা আউল'স হেড

হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা

সর্দি, চোখের পাতাদ্বয় ফুলে প্যাঁচার মাথার ন্যায় দেখায়, অক্ষিঝিলি্ল প্রদাহের ফলে চোখ দিয়ে (muco-purulent) পদার্থ নির্গত হয়।

এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। এই সাথে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে।

১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
২। টিকা প্রদান করতে হবে।

মাইকোপ্লাজমোসিস

মাইকোপ্লাজমা কলাম্বিনাম

সর্দি, চোখ ও নাক দিয়ে প্রথমে পানি এবং পরে muco-purulent পদার্থ নির্গত হয়। মুখ ও কন্ঠ অত্যধিক প্রদাহে স্ফীত থাকে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। শ্বাসকষ্ট হয়।

টিয়ামুলিন, টাইলোসিন এনরোফ্লুক্সসিন, স্পাইরামাইসিন, লিনকোমাইসিন গ্রুপের ঔষধ

১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
২। টিকা প্রদান করতে হবে।

ক্ল্যামাইডিওসিস অথবা অরনিথোসিস

ক্ল্যামাইডিয়া সিটাসি

চোখ ও নাক দিয়ে পানি পড়ে, স্বাস্থ্যহানি ঘটে এবং রোগ ভোগের পর মরা যায়

ক্লোরটেট্রাসাইক্লিন, টাইলোসিন, লিনকোমাইসিন, স্পাইরামাইসিন ইত্যাদি

১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
২। টিকা প্রদান করতে হবে।

নিউক্যাসল অথবা প্যারামিক্সো ভাইরাস-১

প্যারামিক্সো ভাইরাস টাইপ-১

সবুজ রংয়ের ডায়রিয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, মুখ হাঁ করে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে। ভারসাম্যহীনতা, মাথা ঘোরা, পাখা ও পায়ের পক্ষাঘাত ইত্যাদি।

এন্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন, ইমিউনো স্টিমুলেটর

* জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
* টিকা প্রদান করতে হবে।

ডিফথেরো স্মল পক্স (বসন্ত রোগ)

বোরেলিয়া কলাম্বরী ভাইরাস

পালকহীন ত্বক বিশেষ করে চোখ, ঠোঁটের চারপাশে এবং পায়ে ক্ষত বা পক্স দেখা যায়

এন্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন এ এবং সি, ইমিউনো স্টিমুলেটর, টপিক্যাল আইওডিন

* জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।

পরজীবী রোগ

আইমেরিয়া, এসকারিস, ক্যাপিলারিয়া, ট্রাইকোমোনা

দুর্বলতা, খাদ্য গ্রহণে অনীহা, শুকিয়ে যাওয়া, ডাইরিয়া (মলে রক্ত থাকে ককসিডিয়া), পুষ্টিহীনতা ও অবশেষে মৃত্যু ঘটে।

কৃমিনাশক, ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স, এমাইনো এসিড

* জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।

অপুষ্টিজনিত ও বিপাকীয় রোগসমূহ

ভিটামিন এ এর ঘাটতি

দেহে ক্ষত হয়, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায় এবং অক্ষিঝিলি্লর প্রদাহ দেখা দেয়, ক্ষুধা কমে যায়, দৈহিক বৃদ্ধি ও পালকের গঠণ ব্যাহত হয়, উৎপাদন ও হ্যাচাবিলিটি হ্রাস পায়

২০০ আই ইউ প্রতিদিনের প্রয়োজন

নিয়মিত ভিটামিন, প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান অথবা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান করতে হবে।

ভিটামিন ডি এর ঘাটতি

অস্থি নরম ও বাঁকা হয়ে যায়, ডিম উৎপাদন ও হ্যাচাবিলিটি হ্রাস পায়, ডিমের খোলস পাতলা হয়।

৪৫ আই ইউ প্রতিদিনের প্রয়োজন

ভিটামিন ডি ও মিনারেল প্রিমিক্স প্রদান, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার (কডলিভার অয়েল, ফিস মিল) প্রদান করতে হবে।

ভিটামিন ই

এনসেফালোম্যালাশিয়া রোগ হয়, পক্ষাঘাতের ফলে চলতে অসঙ্গতি দেখা দেয়। বুক ও পেটের নীচে তরল পদার্থ জমে, ইডিমা হয়। ডিমের উর্বরতা কমে যায়।

১ মিগ্রা

সেলিনিয়াম সহ ভিটামিন ই প্রদান করতে হবে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার (শস্য দানা, গম, চাউলে কুড়া, শুটকি মাছ) খাওয়াতে হবে।

ভিটামিন কে

রক্তক্ষরণের কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

------

ভিটামিন কে প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান। ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান (সবুজ শাকসবজি ও মাছের গুঁড়া)।

ভিটামিন বি১

পা, ডানা ও ঘাড়ে পক্ষাঘাত হয়। ঘাড়ের পক্ষাঘাতের ফলে ঘাড় পেছন দিকে করে আকাশের দিকে মুখ করে থাকে, চলনে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়।

০.১ মিগ্রা

ভিটামিন বি১ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান (চাউলের কুড়া, গমের গুঁড়া, শাক সবজি)

ভিটামিন বি২

ছানার পা পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়। পরে নখ বা আঙ্গুল বাঁকা হয়ে যায়। ছানার দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

০.১২ মিগ্র

ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল (সবুজ শাক সবজি, ছোলা, খৈল, আলফা-আলফা, ঈষ্ট)

ভিটামিন বি৬

ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়। ছানার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। প্যারালাইসিস ও পেরোসিস হতে পারে।

০.১২ মিগ্রা

ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল (শস্য, মাছের গুঁড়া, আলফা-আলফা, ঈষ্ট ইত্যাদি)

ভিটামিন বি১২

বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও রক্তশূন্যতা দেখা দেয় ডিমের উর্বরতা হ্রাস পায়।

০.২৪ মিগ্রা

ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও মিনারেল প্রদান। ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান (যকৃত, মাংস ফিসমিল ইত্যাদি)

ফলিক এসিড

রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও পালক কম গজায়।

০.০১৪ মিগ্রা

ফলিক এসিড সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও সাথে ম্যানগানিজ (সহ) প্রদান করতে হবে। ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান (যকৃত, ঈষ্ট)

ম্যানটোথেনিক এসিড

বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও চর্ম রোগ হয়। পা ও চোখের চারিপাশে নেক্রোসিস হয়। ডিমের উর্বরতা হ্রাস।

০.৩৬ মিগ্রা

প্যানটোথেনিক এসিড সমৃদ্ধ ভিটামিন প্রদান (চীনাবাদাম, আখের গুড়, ঈষ্ট, চাউলের কুড়া, গমের ভূষি ইত্যাদি)

বায়োটিন

পেরোসিস, ডিমের উর্বরতা হ্রাস ও চর্ম প্রদাহ দেখা দেয়।

০.০০২ মিগ্রা

বায়োটিন সমৃদ্ধ ভিটামিন ও খাদ্য প্রদান।

খনিজ পদার্থ (সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন, ম্যানগানিজ, কপার এন্ড কোবাল্ট, আয়রন

হাড় গঠন ও বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ডিমের খোসা নরম হয়। রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। পেরোসিস ও প্যারালাইসিস হয়।

-----

পাখিকে নিয়মিত ভিটামিন, খনিজ সমৃদ্ধ প্রিমিক্স ও খাদ্য প্রদান করতে হবে।

এমাইনো এসিড
আমিষ বিভিন্ন প্রকার এমাইনো এসিড সরবরাহ করে যা দেহ গঠনের জন্য অত্যাবশ্যক। যে সব এমাইনো এসিড পাখির দেহে সংশ্লেষণ হয় না তাকে অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিড বলে। সুতরাং পাখিকে এমাইনো এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য (শুটকি মাছের গুড়া, সরিষা, তিল ও চীনাবাদামের খৈল) সরবরাহ করতে হবে।

অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিডের নাম
মথিওনিন
লাইসিন
ভ্যালিন
লউসি
আইসো-লিউসিন
ফিনাইল অ্যালানিন
ট্রিপটোফেন
আরজিন
হিসটিডিন
ফ্রিওনিন

প্রতিদিনের প্রয়োজন
০.০৯ গ্রাম
০.১৮ গ্রাম
০.০৬ গ্রাম
০.০৯ গ্রাম
০.০৫৫ গ্রাম
০.০৯ গ্রাম
০.০২ গ্রাম

আয় ও লাভ
এক জোড়া কবুতর থেকে বছরে প্রায় ১২ জোড়া বাচ্চা বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির সৌখিন কবুতর উৎপাদন করতে পারলে তা থেকে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করা যায়। কবুতর সাধারণত ৪ সপ্তাহ বয়সে বিক্রির উপযুক্ত হয়। এদের পালক ও বিষ্ঠা বিক্রি করেও অর্থ রোজগার করা যায়।

উপসংহার
কবুতরের সাধারণত মুরগির থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। এক জোড়া কবুতরের গড় উৎপাদন ক্ষমতা ৫-১২ বছর অথচ সেখানে মুরগির মাত্রা ১-১২ বছর হয়ে থাকে।
এ সমস্ত দিক বিবেচনা করে এটা সহজেই বলা যায় যে কবুতর পালন একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। মুরগির ন্যায় যদি কবুতরকে পারিবারিকভিত্তিতে ব্যাপকভাবে পালন করা যায় তাহলে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অনেক বেশি সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়। অবশ্য এই উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চালানোর প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া বিশেষ প্রয়োজন।
কবুতর জাত
November 1, 2013 Leave a comment

1471339_604447189592626_1322740062_n 1487454_608018069235538_200578210_n 1518212_609267215777290_1795423220_n 1524937_609574242413254_617364095_n 1544489_609717245732287_1474814492_nকবুতর জাত Aachen Lacquer Shield Owl Pigeon Aachen-Lacquer-Shield-Owl-1

HUNGARIAN GIANT HOUSE PIGEON img-61
Large, broad and long body; large shell crest; heavily muffed; strikingly luxuriant plumage. This breed exists in the main colours and with numerous types of marking.ORIGIN : HUNGARY
FRENCH MONDAIN
img-62

Large, broad and deep-breasted body, short and blocky; predominantly clean-legged, but may also occur lightly stockinged; horizontal carriage; head small in relation to body; the large proportion of cown feathers makes the breed appear full of strength. In addition to the main colours blue, black, red, yellow and white, there are grizzled, black checkered and red checkered.ORIGIN : FRANCE
CAUCHOIS
img-63

Large, rather long breed with fairly upright posture. Suggestion of weak globe. Great variety of colours. Laced, barred and selfcoloured. All with or without half moon marking on the front of the neck.ORIGIN : FRANCE
MALTESE
img-64
Hen-like, tall, erect figure, very long, evenly slender neck; short back with horizontal posture; short tail at right angle to back; long shanks and legs’ close-feathered. Colours: white, red, yellow, brown, blue with black bars, dilute brown, spangled in blue and brown, coloured head with white, with and without rose wing. Preferably pure and intense colour.ORIGIN : ITALY
GERMAN MUFFED MAGPIE POUTER
img-66

Large, tall upright carriage; long neck; broad crop; waistline clearly visible; back not too broad, tapering off towards the tail; long legs but not standing wide; heavily muffed; full vulture feathers. Colours : black, red, yellow, blue. Magpie marking with white upper head and coloured snip.ORIGIN : GERMANY
HANA POUTER
img-67

Large cropper long legs with erect station; long neck with pearshaped crop; waist well set off against the breast dense muffing of medium length on feet and shanks. Colours : main colours without bars, with white bars, white-scaled : blue with black bars, spangled in blue, red and yellow; main colours with white tail. Except for white tails. Strasser marking with coloured muffing.ORIGIN : CZECHOSLOVAKIA
GHENT POUTERPowerful, broad, compact body; front of body erect; rear body rather short, almost horizontal; long neck with very large head; without waist formation. Long widely placed legs with dense, plate-shaped muffing; long broad vulture feathers. Colours : selfs in all main colours, also in the important dilutes. Heart design in the same colours; Dominican black, red, yellow, dilute blue; tigered and checkered in red, black, yellow; blue tails. ORIGIN : BELGIUM
Powerful, broad, compact body; front of body erect; rear body rather short, almost horizontal; long neck with very large head; without waist formation. Long widely placed legs with dense, plate-shaped muffing; long broad vulture feathers. Colours : selfs in all main colours, also in the important dilutes. Heart design in the same colours; Dominican black, red, yellow, dilute blue; tigered and checkered in red, black, yellow; blue tails.
ORIGIN : BELGIUM
OLD GERMAN CROPPER
Very large, long body; preferably long neck; large oval or round crop; front part of medium height, trunk horizontal; back arched and long; corresponding length of wings; broad tail; short legs. Colours : white, black, red, yellow, blue with black bars, silver, various dilute colours and spangled colours. Coloured heads with white in the case of black; tigered and checkered : also whitewinged in the main colours. ORIGIN : GERMANY
Very large, long body; preferably long neck; large oval or round crop; front part of medium height, trunk horizontal; back arched and long; corresponding length of wings; broad tail; short legs. Colours : white, black, red, yellow, blue with black bars, silver, various dilute colours and spangled colours. Coloured heads with white in the case of black; tigered and checkered : also whitewinged in the main colours.ORIGIN : GERMANY
FRILLBACK

Sturdy, broad-breasted field pigeon type of medium-high station; plain-headed; white colour also with crest. Eye orange or red. Legs stockinged; white with crest sparingly muffed. Plumage : Every former of the wing shield should form a closed like curl. Colours : black, white grizzled in blue, red and yellow. ORIGIN : SOUTH EAST EUROPE
Sturdy, broad-breasted field pigeon type of medium-high station; plain-headed; white colour also with crest. Eye orange or red. Legs stockinged; white with crest sparingly muffed. Plumage : Every former of the wing shield should form a closed like curl. Colours : black, white grizzled in blue, red and yellow.ORIGIN : SOUTH EAST EUROPE
MOOKEE
Medium-sized, erect front of the body with narrowing back sloping steeply; long, narrow shape of head with slightly vaulted forehead; peak-crested. Dark eyes. S-shaped neck with dense mane; displays tremulous motion when excited. All main colours. The marking comprises a white cap and the first two primaries of the wings in white. The remaining plumage is coloured. ORIGIN : INDIA
Medium-sized, erect front of the body with narrowing back sloping steeply; long, narrow shape of head with slightly vaulted forehead; peak-crested. Dark eyes. S-shaped neck with dense mane; displays tremulous motion when excited. All main colours. The marking comprises a white cap and the first two primaries of the wings in white. The remaining plumage is coloured.ORIGIN : INDIA
BERNBURG TRUMPETER
STARGARD SHAKER
Long, graceful figure with almost horizontal posture. Small flat head with long forehead and beak; long, thin neck bent backwards, which in excitement id often pushed backwards in trembling (shaking) motion. Legs above medium length; also muffed. Colours : all main colours as well as soft grizzled. Intense colours are required. ORIGIN : GERMANY
Long, graceful figure with almost horizontal posture. Small flat head with long forehead and beak; long, thin neck bent backwards, which in excitement id often pushed backwards in trembling (shaking) motion. Legs above medium length; also muffed. Colours : all main colours as well as soft grizzled. Intense colours are required.ORIGIN : GERMANY
LAHORE
Large powerful, broad-breat not unduly long pigeon; legs of medium length, heavily stockinged. Colours : black, red, yellow, blue with black bars, blue without bars, blue spangled, dilute blue spangled, dilute blue with dark bars. Marking forehead, top of the head, neck, back of the tail back and the entire wings are coloured, the remaining plumage is white. ORIGIN : INDIA
Large powerful, broad-breat not unduly long pigeon; legs of medium length, heavily stockinged. Colours : black, red, yellow, blue with black bars, blue without bars, blue spangled, dilute blue spangled, dilute blue with dark bars. Marking forehead, top of the head, neck, back of the tail back and the entire wings are coloured, the remaining plumage is white.
SAXON POUTER
Erect, slender body; long neck with pear-shaped crop; good waistline; back sloping steeply; long legs with visible thighs; heavily muffed with long foot feathers; long vulture feathers. Colours : selfs in white, black, red, yellow, blue with black bars or without bars; white-barred in the main colours as well as isable; blue spangled dilute with dark bars, spangled dilutes. ORIGIN : GERMANY
Erect, slender body; long neck with pear-shaped crop; good waistline; back sloping steeply; long legs with visible thighs; heavily muffed with long foot feathers; long vulture feathers. Colours : selfs in white, black, red, yellow, blue with black bars or without bars; white-barred in the main colours as well as isable; blue spangled dilute with dark bars, spangled dilutes.
ORIGIN : GERMANY
CLEAN-LEGGED MAGPIE POUTERSlender yet sturdy shape; erect posture; very long neck with pearshaped crop well set off; approx two-thirds of the length in front of and one-third behind the legs; not too broad in the shoulders; long, straight leg position. Colours : black, red, yellow, blue. All colours and pure. Magpie marking with head. ORIGIN : GERMANY
Slender yet sturdy shape; erect posture; very long neck with pearshaped crop well set off; approx two-thirds of the length in front of and one-third behind the legs; not too broad in the shoulders; long, straight leg position. Colours : black, red, yellow, blue. All colours and pure. Magpie marking with head.ORIGIN : GERMANY
BAVARIAN POUTERSlightly above medium size; upright posture long neck; pearshaped crop with pronounced waist; back and tail form a sloping line; long legs; straight position; dense muffing of medium length on feet and shanks. Colours : black, red, yellow, blue with black and white bars, blue spangled, blue (white-scaled), blue without bars, various dilutes. Marking : only the head and bib (covering only the upper crop), wing shield and tail are coloured the remaining plumage, including 7 to 10 wing feathers, is white. ORIGIN : GERMANY
Slightly above medium size; upright posture long neck; pearshaped crop with pronounced waist; back and tail form a sloping line; long legs; straight position; dense muffing of medium length on feet and shanks. Colours : black, red, yellow, blue with black and white bars, blue spangled, blue (white-scaled), blue without bars, various dilutes. Marking : only the head and bib (covering only the upper crop), wing shield and tail are coloured the remaining plumage, including 7 to 10 wing feathers, is white.
ORIGIN : GERMANY
VOORBURG SHIELD CROPPERMedium-sized cropper; slender, erect figure; long neck, slightly bent backwards; ball-shaped crop well set off against the breast (waist); back and tail of medium length; legs above medium length, insertion below the middle of the body; close-fitting plumage. Colours : selfs in all the usual colours, with bars or spangled. Marking : white ground colour; wing shields, including down feathers, coloured. ORIGIN : NETHERLANDS
Medium-sized cropper; slender, erect figure; long neck, slightly bent backwards; ball-shaped crop well set off against the breast (waist); back and tail of medium length; legs above medium length, insertion below the middle of the body; close-fitting plumage. Colours : selfs in all the usual colours, with bars or spangled. Marking : white ground colour; wing shields, including down feathers, coloured.ORIGIN : NETHERLANDS
SCHMALKALDEN MOORHEADSturdy, long field pigeon shape; low in station. Dark eyes. Relatively long neck with the characteristic feather construction comprising chain, mane and hood, starting from the side split. Muffs and vulture feathers large and dense. Colours : black. Intense colour. Moorhead marking. ORIGIN : GERMANY
Sturdy, long field pigeon shape; low in station. Dark eyes. Relatively long neck with the characteristic feather construction comprising chain, mane and hood, starting from the side split. Muffs and vulture feathers large and dense. Colours : black. Intense colour. Moorhead marking.

GERMAN LONG-FACED TUMBLERElegant body shape, very erect; tall station; long narrow shape of head running in a straight line from the tip of the beak to the top of the head and gently curving from there to the back of the neck. The iris is white with a small pupil; narrow, delicate cere, fiery red in colour except for selfs. Long straight beak, carried almost horizontally; long thin neck, narrow rounded breast; sloping back ; close-fitting plumage. Numerous colours occur with white-tailed, white-flighted/white-tailed magpied. ORIGIN : GERMANY
Elegant body shape, very erect; tall station; long narrow shape of head running in a straight line from the tip of the beak to the top of the head and gently curving from there to the back of the neck. The iris is white with a small pupil; narrow, delicate cere, fiery red in colour except for selfs. Long straight beak, carried almost horizontally; long thin neck, narrow rounded breast; sloping back ; close-fitting plumage. Numerous colours occur with white-tailed, white-flighted/white-tailed magpied.ORIGIN : GERMANY
OLD HOLLAND POUTER
Largest cropper with legs of medium length; long neck, large crop merging with the body; posture more horizontal than vertical; heavily muffed: luxuriant close-fitting plumage. Colours : all main colours in selfs, also in heart design, tailed, tigered and checkered. ORIGIN : NETHERLANDS
Largest cropper with legs of medium length; long neck, large crop merging with the body; posture more horizontal than vertical; heavily muffed: luxuriant close-fitting plumage. Colours : all main colours in selfs, also in heart design, tailed, tigered and checkered.ORIGIN : NETHERLANDS
POMERANIAN POUTER
Very large, broad and strong pigeon with erect posture; long neck;large crop with greatest distention in the upper part, merging with the breast without waist formation; powerful, long and widestanding legs; heavily muffed feet and shanks (vulture feathers). Colours : all the main colours in heart design; white with blue and black tail, tigered and checkered in black, red, yellow, blue; self in white and black. ORIGIN : GERMANY
Very large, broad and strong pigeon with erect posture; long neck;large crop with greatest distention in the upper part, merging with the breast without waist formation; powerful, long and widestanding legs; heavily muffed feet and shanks (vulture feathers). Colours : all the main colours in heart design; white with blue and black tail, tigered and checkered in black, red, yellow, blue; self in white and black.ORIGIN : GERMANY
SWING POUTERLong, elegant yet powerful body shape. Pure pearl-coloured iris;pure colour of beak; long neck curved slightly backwards; pearshaped crop well set off; straight, sloping line of back; free medium-high leg position. Colours : selfs in black, red, yellow, white, blue, blue spangled. Intense, glossy colours. ORIGIN : GERMANY, CZECHOSLOVAKIA
Long, elegant yet powerful body shape. Pure pearl-coloured iris;pure colour of beak; long neck curved slightly backwards; pearshaped crop well set off; straight, sloping line of back; free medium-high leg position. Colours : selfs in black, red, yellow, white, blue, blue spangled. Intense, glossy colours.ORIGIN : GERMANY, CZECHOSLOVAKIA
EXHIBITIN HOMERWedge-shaped powerful, but by no means plump body; raised breast region; very long head; the crown forms a straight line without crease from the tip of the wattle to just behind the eyes. Eyes pearl-coloured. Neck carried upright with gullet ell presented. Colour and marking: all colours without white marking (not grizzied or checkered). ORIGIN : ENGLAND
Wedge-shaped powerful, but by no means plump body; raised breast region; very long head; the crown forms a straight line without crease from the tip of the wattle to just behind the eyes. Eyes pearl-coloured. Neck carried upright with gullet ell presented. Colour and marking: all colours without white marking (not grizzied or checkered).
ORIGIN : ENGLAND
GERMAN BEAUTY HOMERShort sturdy form; stylish wedge-shaped body carried almost horizontally; legs of medium length; seen from above, the head is widest above the eyes and tapers towards the tip of the beak in the shape of a wedge. The beak of medium length forms a slightluy curved line with the forehead which continues without interruption across the curved crown to the back of the neck. Colours: All main colours, whereby the descent from carrier pigeons and related breeds calls for concessions to the general colour requirements. Nevertheless, attention should be paid to pure colours. ORIGIN : GERMANY
Short sturdy form; stylish wedge-shaped body carried almost horizontally; legs of medium length; seen from above, the head is widest above the eyes and tapers towards the tip of the beak in the shape of a wedge. The beak of medium length forms a slightluy curved line with the forehead which continues without interruption across the curved crown to the back of the neck. Colours: All main colours, whereby the descent from carrier pigeons and related breeds calls for concessions to the general colour requirements. Nevertheless, attention should be paid to pure colours.ORIGIN : GERMANY
CHINESE OWLA relatively short, preferably broad-breasted body, low in station,is the determining feature of the breed. The neck and breast structure of the feathers give this pigeon the appearance of a shuttle-cock when observed from the front. The structure comprises a collar, mane, cushion, crown, cover, bouquet and pantaloons. The plumage is broad-maned, soft and amply developed. Colours: white, black, blue, blue spangled, dilute blue,dilute blue spangled, red, red spangled, yellow, yellow spangled, dilute yellow; grizzled in blue; tigered in black, red, yellow, white shield and coloured tail marking in the main colours. ORIGIN : NORTH AFRICA - SPAIN
A relatively short, preferably broad-breasted body, low in station,is the determining feature of the breed. The neck and breast structure of the feathers give this pigeon the appearance of a shuttle-cock when observed from the front. The structure comprises a collar, mane, cushion, crown, cover, bouquet and pantaloons. The plumage is broad-maned, soft and amply developed. Colours: white, black, blue, blue spangled, dilute blue,dilute blue spangled, red, red spangled, yellow, yellow spangled, dilute yellow; grizzled in blue; tigered in black, red, yellow, white shield and coloured tail marking in the main colours.ORIGIN : NORTH AFRICA – SPAIN
BRUNNER POUTER
LILLE POUTER
Smaller than the French Pouter; long neck with egg-shaped crop;back steeply sloping downwards, slightly arched; preferably with long, thin legs; close-fitting plumage. Colours: blue, black, red,yellow, white. Selfs in these colours, white-barred, tigered. Intense colours. ORIGIN : FRANCE
Smaller than the French Pouter; long neck with egg-shaped crop;back steeply sloping downwards, slightly arched; preferably with long, thin legs; close-fitting plumage. Colours: blue, black, red,yellow, white. Selfs in these colours, white-barred, tigered. Intense colours.ORIGIN : FRANCE
FELEGYHAZER TUMBLERBarely medium-sized,compact body; well-rounded head with medium-wide, moderately high forehead; peak shell crest. Eyes dark in the case of magpie-marked and white, otherwise pearlcoloured. Strong,flesh-coloured beak of medium length, forming an obtuse angle with the forehead; short solid neck; broad, prominent breast; short legs. Colours: solid white, black, blue, red,yellow. agpie-marked in the four main colours. In the latter the head marking consists of a wide snip or coloured spot in the middle of the crown. ORIGIN : HUNGARY
Barely medium-sized,compact body; well-rounded head with medium-wide, moderately high forehead; peak shell crest. Eyes dark in the case of magpie-marked and white, otherwise pearlcoloured. Strong,flesh-coloured beak of medium length, forming an obtuse angle with the forehead; short solid neck; broad, prominent breast; short legs. Colours: solid white, black, blue, red,yellow. agpie-marked in the four main colours. In the latter the head marking consists of a wide snip or coloured spot in the middle of the crown.ORIGIN : HUNGARY
NUREMBERG SWALLOWLong, sturdy field pigeon shape; short-legged; head oblong rather than round; shell crest to the fore; slightly downwards sloping back; dense muffing of almost medium length. Coloures: black, red, yellow, blue with black bars or without bars; dilute blue spangled; dilute in red and yellow. Intense colours; grease quills.Swallow marking with small coloured fleck between eyes and beak angle directed downwards. ORIGIN : GERMANY
Long, sturdy field pigeon shape; short-legged; head oblong rather than round; shell crest to the fore; slightly downwards sloping back; dense muffing of almost medium length. Coloures: black, red, yellow, blue with black bars or without bars; dilute blue spangled; dilute in red and yellow. Intense colours; grease quills.Swallow marking with small coloured fleck between eyes and beak angle directed downwards.ORIGIN : GERMANY
Archangel
Archangel
The Archangel is a breed of fancy pigeon, notable for the metallic sheen of its feathers. Archangels, along with other varieties of domesticated pigeons, are all descendants from the Rock Pigeon (Columba livia). It is kept as an ornamental or fancy breed, valued for its unusual appearance. Archangels are small, weighing about 12 oz. They have unfeathered legs and dark orange eyes. They may or may not be crested. The body of the bird is bronze or gold with wings that are either black, white, or blue.ORIGIN : Yugoslavia
Begad of NuremnergBegad of Nuremnerg
This is an alphabetical list of pigeon breeds. Pigeons and doves are members of the bird family Columbidae. Doves tend to be smaller birds and pigeons larger ones, although this distinction is not consistently applied.
ORIGIN : Germany
Carrier pigeonCarrier pigeon
A Carrier pigeon is a Homing Pigeon (specifically a domesticated Rock Pigeon, Columba livia) that has been used to carry messages. Using pigeons to carry messages is generally called “pigeon post.” Most homing or racing type varieties can be used to carry messages. There is no specific breed actually called “Carrier pigeon,” so a Carrier pigeon is any variety that is used to carry messages. Carrier pigeons that were the basic Racing Homer were used to carry messages in World War I and World War II and are nowadays used for pigeon racing. Thirty-two pigeons were presented with the Dickin Medal.
ORIGIN : Germany
Cauchois pigeonCauchois pigeon
The Cauchois is an Old French breed, originating in the Caux de Normandie, bred from Croppers, Mondain, Carneau and Field Pigeons. Cauchois is larger than the average pigeon, but not as big as the Runt and not as heavy as the Gros Mondain. Cauchois are lively pigeons and weighs about 700 to 800 grams, and is fairly long in body with an upright posture. It has a full breast and body, with or without a white half moon “bavette”, on the upper front part of the neck/breast (half moon marking, bib of white feathers).ORIGIN : France

Dragoon pigeonDragoon pigeon
The Dragoon is a breed of fancy pigeon developed over many years of selective breeding. Dragoons, along with other varieties of domesticated pigeons, are all descendants from the Rock Pigeon (Columba livia). The Dragoon was one of the breeds used in the development of the Racing Homer. A very old breed of British origin, referred to by Moore (1735).ORIGIN : France

Fantail
Fantail
The Fantail is a popular breed of fancy pigeon. It is characterised by a fan-shaped tail composed of 30 to 40 feathers, abnormally more than most members of the pigeon family, which usually have 12 to 14 feathers. The breed is thought to have originated in India, China or Spain. There are several subvarieties, such as the English Fantail, the Indian Fantail, and the Thai Fantail.
ORIGIN : France
HungarianHungarian
An early breeder and promoter of Hungarians was Harry C. Weber of Hagerstown, MD. He had them as early as early as 1906. A few years later, Mr. Warren Jaquet imported others from Vienna, Austria. These imports included all colors, yellows, blues, duns, blacks, reds, blue checks, and sliver and white bars. Hungarians are a very unusually shaped and marked pigeon. They are rare, and very few of them are seen even in the larger shows.ORIGIN : Austria

King
King
The King is a breed of pigeon developed over many years of selective breeding primarily as a utility breed. Kings along with other varieties of domesticated pigeons are all descendants from the Rock Pigeon (Columba livia). The breed is known for large size and suitability for squab production. ORIGIN : USA
Polish_lynxPolish_lynx
Short study body; breast board and deep ; a slight air crop is permissible to accentuate these featuers. Colours; Blue, black, red, yellow with white or coloured wings; self-coloured with white barsaand laced
ORIGIN : Poland
Stargard Shaker
Stargard Shaker
The Zitterhall (German: Zitterhals, sg. ‘trembling neck pigeon’, Zitterhälse, pl. ‘trembling necks’), also called Stargard Shaker (German name: Stargarder Zitterhals, French name: Trembleur de Stargard), is a breed of fancy pigeon developed over many years of selective breeding.[1] Originally developed in Pomerania. Zitterhals have curved swan-like necks that tremble or shake in a way similar to Fantail pigeons. A Zitterhals pigeon was one of the champions at the 2007 NPA Grand Nationals.ORIGIN : German
Romanian Naked neck
Romanian Naked neck
Medium-Sized body of barley shape of head; pearlcolored eyes; beak of medium length, slightly lowered; the neck is sightly bent beckwards. Unfeatherd from the mddle of the neck to below the head.ORIGIN : Romania
Starling pigeons
Starling pigeons
The Starling is a breed of fancy pigeon developed over many years of selective breeding. Starlings, along with other varieties of domesticated pigeons, are all descendants from the Rock Pigeon (Columba livia).ORIGIN : Germany

Sponsor

Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা

গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

কবুতর পালন ও চিকিৎসা কবুতর পালন ও চিকিৎসা: প্রাথমিক তথ্য

By: Administrator on Tuesday, April 26, 2016

Mujibnagar Khabor's Admin

No comments:

Leave a Reply

জনপ্রিয় পোস্ট

English

merer

জেলা সংবাদ

Pages