২ থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় বাড়ল
একাদশ শ্রেণিতে সরকারি-বেসরকারি সব কলেজে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ঈদের ছুটির কারণেই এ সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
১০টি শিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ে গঠিত 'আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটি বুধবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, দুই দফায় কলেজগুলোতে ভর্তির সময় বেঁধে দেওয়া হলেও ঈদের ছুটির কারণে ২ থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত তৃতীয় ধাপে ভর্তির বাড়তি সময় দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান জানান, এর আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই দফায় কলেজে ভর্তি হওয়া যেত। প্রথম দফায় ২২ জুন শেষ হবে এই কার্যক্রম। দ্বিতীয় দফায় আগামী ২৮ ও ২৯ জুন কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে। তবে ঈদের কারণে সময় তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৪ জুলাই তৃতীয় দফায় কলেজে টাকা জমা দিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে।
বিভিন্ন কলেজে মনোনীতদের তালিকা কলেজে ভর্তির সরকারি ওয়েবসাইটে (http://www.xiclassadmission.gov.bd) পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে; তাদের মধ্যে শীর্ষ ফল জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। এবার মাধ্যমিকে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন পাস করলেও তাদের মধ্যে ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৮ জন শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কোনো আবেদনই করেনি।
গত ৯ থেকে ২৬ মে অনলাইনে ও টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএসে আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা। যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে, তাদেরকেও এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হয়েছে। ২৭ থেকে ২৯ মে শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়। পুনঃনিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হয়েছে তারা ৩০ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পান।
৫ জুন প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়। প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ৬ জুন থেকে থেকে ৮ জুন এর মধ্যে সিলেকশন নিশ্চিত (যে কলেজের তালিকায় নাম আসবে ওই কলেজেই যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন-তা এসএমএসে নিশ্চিত করা) করতে হয়েছে। মাইগ্রেশনের আবেদন (অপশন প্রদান) এবং নতুন আবেদন করা হয় ৯ থেকে ১০ জুন। গত ১৩ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে এবং ১৮ জুন তৃতীয় পর্যায়ের ভর্তি ফল প্রকাশ করা হয়।
এ বছর মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ছাড়াও ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবেন।
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। অনলাইনের (www.xiclassadmission.gov.bd) পাশাপাশি টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএস করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, এবছর একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে ১৫৩ কলেজের মধ্যে ১০টিতে একজন শিক্ষার্থীও আবেদন করেনি। বাকি ১৪৩টিতে ১০ জনের কম শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। বাকি আরও দুই শতাধিক কলেজ ২০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিটরা।
আগামী ১ জুলাই ভর্তির পর ভুঁইফোড় এসব কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। ১০ জনের কম শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়া প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হবে। এরপর আগামী বছর ভর্তির অনুমতি বাতিল করা হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, প্রথম দফায় আবেদনে ৮টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১৭টি কলেজ, মাদরাসা বোর্ডের ৫৫টি মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের ৭১টি প্রতিষ্ঠানে মাত্র এক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে।
