Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা





ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করেছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৩শ ৮৪ কোটি টাকা ৮০ লাখ টাকা।

গুলশান-২ ডিএনসিসি নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বাজেট ঘোষণা করেন ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক।

এসময় মেয়র ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের ১ হাজার ২৩১ কোটি ২৬ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট ঘোষণা করেন। যা মোট বাজেটের ৬০ শতাংশ।
   
ডিএনসিসির নতুন অর্থ বছরের বাজেটে নিজস্ব উৎস থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ আয়ের টার্গেট ধরা হয়েছে ৪৮৫ কোটি টাকা। যা মোট রাজস্ব আয়ের ৫০ ভাগ। আর বাজার সালামি বাবদ ১২০ কোটি টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৬০ কোটি টাকা, সম্পত্তি হস্তান্তর বাবদ ১৮০ কোটি টাকা আয়ের টার্গেট ধরেছে।

উন্নয়ন অনুদান হিসেবে ১৫০ কোটি টাকার সরকারি বরাদ্দ এবং সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প থেকে ১ হাজার ২৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এবারের বাজেটে হোল্ডিংট্যাক্স বাড়ানো হচ্ছে না।

ডিএনসিসি বাজেট বক্তৃতায় খাত ভিত্তিক ব্যয় বরাদ্দও উল্লেখ করেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, মশক নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি, পানি ও বিদ্যুত্সহ অন্যান্য খাতে ৪৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ের টার্গেট নির্ধারণ করেছে।

সড়ক ও ফুটপাতের উন্নয়নে ১৮০ কোটি টাকা, ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে ২৭৮ কোটি টাকা, বাজার নির্মাণ ও উন্নয়ন খাতে ৪২ কোটি ৩০ লাখ টাকা, কবরস্থান, শ্মশানঘাট ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শেষকৃত্যের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে ২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পার্ক ও খেলার মাঠের উন্নয়ন খাতে ৮ কোটি টাকা, পরিবেশ উন্নয়ন খাতে ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৬০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় মশক নিয়ন্ত্রণ, মশার ঔষধ ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

নতুন অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়নখাতে সর্বমোট ১ হাজার ৮২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ৭৬ শতাংশ।

বাজেট ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ড্রেনেজ সিস্টেম অকেজো, খাল-জলাধার ভরাটসহ বহুবিধ কারণে রাজধানীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ডিএনসিসি নিজস্ব সামর্থ নিয়ে প্রচষ্টো চালাচ্ছে। তবে এটা একা ডিএনসিসির কাজ নয়। এমন অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যেখানে ডিএনসিসির অর্থ ব্যয় করার কোন সুযোগ নেই। এসময় তিনি ঢাকা ওয়াসার ড্রেনেজ বিভাগ নিয়ে নেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে জানান।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ডিএনসিসির এক নম্বর সমস্যা হচ্ছে ল্যান্ডফিল ব্যবস্থাপনা। আগে থেকে অব্যবস্থাপনার কারণে ল্যান্ডফিলের করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সেটা সমাধানের প্রচষ্টো চালাচ্ছি। আমরা ডিএনসিসির আমিন বাজার ল্যান্ডফিলকে পরিবেশ বান্ধব করে গড়ে তুলতে নিরলস প্রচষ্টো চালাচ্ছি।

মেয়র আনিসুল হক এছাড়া তার বিগত দুই বছরের বেশি সময়ে দায়িত্বপালন সময়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।

এসময় মশক নিধন, জলাবদ্ধতা নিরসনসহ সার্বিক বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেন। এ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে সাংবাদিকদের কাছ থেকে পরামর্শও গ্রহণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম এম সালেহ ভূঁইয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর আব্দুর রাজ্জাক, সচিব দুলাল কৃষ্ণ সাহা প্রমুখ।
  






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post