চাহিদা বাড়ায় তুলার উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ
বিশ্বব্যাপী তুলার চাহিদা ও উৎপাদনের সঠিক তথ্যের অভাবে বিপাকে পড়ছেন দেশীয় আমদানিকারকরা। এজন্য উৎপাদন ও চাহিদার অবাধ তথ্য প্রবাহের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে দুই দিনের আন্তর্জাতিক কটন সামিটে তারা এ আহ্বান জানান। এসময় অর্থমন্ত্রী জানান চাহিদা পূরণে তুলার বিকল্প আবিষ্কারে জোর দিচ্ছে সরকার।
তুলা আমদানিতে বিশ্বে এক নম্বর বাংলাদেশ। বছরে চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ বেল। যার মাত্র আড়াইভাগ দেশে উৎপাদিত হয়। বাকিটা আমদানি হয় ভারত, আফ্রিকা, আমেরিকাসহ অনেক দেশ থেকে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দরের ওঠানামার কারণে বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ীরা। এজন্য তুলার উৎপাদন বাড়াতে সরকারে প্রতি আহ্বান জানান তারা।
তবে জমি স্বল্পতার কারণে তুলা উৎপাদন বাড়ার সুযোগ দেখছেন না নীতিনির্ধারকরা। তাই বিকল্প হিসেবে পাট থেকে তুলার মূল উপাদান ভিসকস বাণিজ্যিক উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘোড়াশালে নির্মিত এ কারখানায় চলতি বছর উৎপাদন শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে চিনিশিল্পের দুরাবস্থায় ক্ষোভ জানান অর্থমন্ত্রী। বলেন, অনেক বিনিয়োগ করেও লাভের মুখ দেখছে না এ শিল্প।
বস্ত্র আইনের খসড়া অনুমোদনের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে তোলা হবে বলেও জানান বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী।
No comments: