শুকনো মৌসুমের শুরুতেই সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের পথে যমুনায় দেখা দিয়েছে নাব্যতা সংকট
বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের পথে যমুনায় দেখা দিয়েছে নাব্যতা সংকট
প্রতি বছরের মতো শুকনো মৌসুমের শুরুতেই সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের পথে যমুনায় দেখা দিয়েছে নাব্যতা সংকট। ডুবোচরে প্রায়ই আটকা পড়ছে বন্দরমুখী পণ্যবাহী জাহাজ। জ্বালানি তেল ও সার বোঝাই জাহাজ সময়মতো বন্দরে ভিড়তে না পারায় বিপাকে ব্যবসায়ীরা।
উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি তেল ও সারের চাহিদার ৯০ ভাগই সরবরাহ হয় সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী তেল ডিপো ও নৌবন্দর থেকে। এখান থেকে প্রতিদিন ২৭ লাখ লিটার জ্বালানি তেল ও কয়েক হাজার বস্তা সারসহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করা হয় উত্তরের বিভিন্ন জেলায়। উত্তরাঞ্চলের সবেচ বড় এই নৌবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পথ যমুনা। কিন্তু নদীর বিভিন্ন জায়গায় জেগে উঠেছে ছোট-বড় চর। আছে বেশকিছু ডুবোচরও।
স্বাভাবিকভাবে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে নদীতে ১০ ফুট গভীরতা প্রয়োজন। কিন্তু বাঘাবাড়ী থেকে দৌলতদিয়া পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার নৌপথের অন্তত ১০টি পয়েন্টে পানির গভীরতা কমে ৭ থেকে ৮ ফুটে দাঁড়িয়েছে। সরু হয়ে গেছে নৌচ্যানেল। প্রায়ই আটকা পড়ছে বন্দরমুখী জাহাজ।
এ অবস্থায় জাহাজ থেকে ছোট নৌকায় বাঘাবাড়ী বন্দরে নেয়া হচ্ছে পণ্য। এতে ব্যবসায়ীদের বাড়তি খরচের পাশাপাশি সময়ও লাগছে বেশি। তাই দ্রুত নৌপথ খননের দাবি জানিয়েছেন জাহাজ-কর্মী ও বন্দর ইজারাদার।
বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের উন্নয়নে নদী খননের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার জন্য রাসায়নিক সার, জ্বালানি তেল ও কয়লাসহ বিভিন্ন সামগ্রী আসে বাঘাবাড়ী নৌবন্দর দিয়ে।
No comments: