জনগণের আশা পূরণকারীই হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জয়ী
নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন। ১৯৭৩ সালের পর এই আসনটি ৪বার বিএনপির, একবার জাতীয় পার্টির ও একবার ছিলো জামায়াতের দখলে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এমপি নির্বাচিত হলে আসনটি পায় আওয়ামী লীগ। দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের কারণে এই আসনে পরের নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তন করে সাবেক পৌর মেয়র গোলাম মোস্তফাকে মনোয়ন দেয় তারা।
নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলার দুটি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনটির জনসংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে এই আসনে সরকার দলীয় প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা দেখা গেলেও তেমন একটা চোখে পড়েনা বিএনপির প্রচারণা।
তারপরও বিএনপির এই নেতার দাবি, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত তারা।
গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি এ. কে. এম. মাসুম বলেন, 'বাংলাদেশের জাতীয়বাদী দল যেহেতু গণমানুষ নিয়ে রাজনীতি করে, এবং রাজনীতিটা হচ্ছে একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয়বাদী দল জনগণের মাঝেই আছে।'
এই দুই মেয়াদে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এমন দাবি করলেও বর্তমান এমপিকে মনোনয়ন না দেয়া হলে আসনটি হাত ছাড়া হতে পারে বলে আশংকা এই আওয়ামী লীগ নেতার।
গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাঃ মামুনুর রশিদ বলেন, 'এলাকার রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সরকার করেছে। সেজন্য আমরা খুবই আশাবাদী মানুষ আমাদেরই ভোট দেবে।'
তবে ভোটাররা চান তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি যেন কাজ করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে।
কয়েকজন সাধারণ মানুষ বলেন, 'জনগণের যে চাহিদা-আসা পূরণ করবে। তাকেই তো ভোট দেব।'
'যারা এদেশের জন্য কাজ করবে তাকেই ভোট দেব আমরা।'
আগামী নির্বাচনে এই আসনে আলহাজ্ব আমিনুল ইসলামসহ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৩ জন। আর আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান এমপিসহ মনোনয়ন প্রত্যাশী ৭জন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭৯ হাজার ১শ ৩৮ জন।
No comments: