
টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে ধলেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। এরইমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় শতাধিত বসতভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলের জমি। তাই ভাঙন আতঙ্কে মানবেতরভাবে দিন কাটছে নদীপাড়ের মানুষের। তবে সরকারি অর্থ সহায়তা হাতে পেলেই ভাঙন ঠেকাতে কাজ শুরুর কথা জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
জাবেদা বেগম। গত কয়েকদিনের তীব্র নদী ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে এখন নি:স্ব তিনি। জাবেদা বেগমের মতো টাঙ্গাইলে কালিহাতির কদিম, হামজানী, দশকিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে বাসতভিটা হারিয়েছে এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার। বিলীন হয়েছে শত শত একর ফসলি জমি।
ভাঙনের হুমকির মুখে ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন আতঙ্কিত এলাকাবাসী। তবে সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর অবস্থায় দিন কাটলেও তাদের সহযোগিতায় এখনো কেউ এগিয়ে আসেনি।
শুষ্ক মৌসুমে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলেই এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে অবিলম্বে ভাঙন ঠেকাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলেই এই ভাঙন রোধের কাজ শুরু হবে।
অবশ্য সরকারি অর্থ সহায়তা পেলে ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নেসার উদ্দিন জুয়েল।
তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এরই মধ্যে আপদকালীন বরাদ্দের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করেছে। আশা করছি দ্রুতই আমরা বরাদ্দ পেয়ে যাব।
জেলার তিনটি গ্রামের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ নদীগর্ভে বিলীনের হুমকিতে আছে আরও প্রায় শতাধিক বাড়ি।
ধলেশ্বরীর ভাঙনে সর্বস্বান্ত শতাধিক পরিবার
Tag: others
No comments: