Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগজির নিখোঁজ রহস্যের ছাপ পড়েছে সৌদি সম্মেলনে




ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগজির নিখোঁজ রহস্যের ছাপ পড়েছে সৌদি সম্মেলনে

  •  
ছবির কপিরাইটEPA
Image captionজামাল খাসোগজি, যার ভাগ্য এখন অনিশ্চিত।
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির রহস্যজনক অন্তর্ধানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা এখন রিয়াদে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য একটি বিশাল বিনিয়োগ সম্মেলন বর্জন করতে শুরু করেছেন।
ব্রিটেনের বাণিজ্যমত্রী লিয়াম ফক্স এবং ফরাসি ও ডাচ অর্থমন্ত্রীরা ঘোষণা করেছেন, তারা সৌদির ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন না।
এই বিনিয়োগ সম্মেলনকে 'ডাভোস ইন দ্য ডেজার্ট' অর্থাৎ মরুভূমির ডাভোস উন্নয়ন সম্মেলন বলে অভিহিত করা হয়।
একে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির একটি শোকেস ইভেন্ট বলে ধরা হয় একে।
কিন্তু বিশ্বের বাণিজ্য, মিডিয়া বা প্রযুক্তি জগতের বহু দিকপালই এখন এই সম্মেলন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
ওদিকে, নিখোঁজ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তুরস্কের কাছ থেকে তথ্য প্রমাণ চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেট, যেখানে ঢোকার পর নিখোঁজ হয়েছেন জামাল খাসোগজি।ছবির কপিরাইটOZAN KOSE
Image captionইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেট, যেখানে ঢোকার পর নিখোঁজ হয়েছেন জামাল খাসোগজি।

 

তুরস্কের গোয়েন্দাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের অডিও রেকর্ডিং এর সূত্রে তুরস্কের মিডিয়াগুলো দিনের পর দির ক্রমাগত খবর দিয়ে চলেছে যে, মি. খাসোগজিকে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটের মধ্যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন সেই প্রমাণ চাইছেন, এবং একইসাথে মন্তব্য করেছেন কোন অডিও রেকর্ডিং রয়েছে কিনা, তা তার জানা নেই।
তবে জামাল খাসোগজিকে যে হত্যা করা হয়েছে, এ নিয়ে তুরস্কের সরকারের মনে কোন সন্দেহ নেই।
তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সেটা না বললেও, আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কাছে বেনামিতে সেই হত্যাকাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ তুলে দেয়া হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, সৌদি সরকারেরই পাঠানো একটি ঘাতক দল ইস্তাম্বুলে গিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
এমনকি যে সংবাদপত্রে মি. খাসোগজি নিয়মিত কলাম লিখতেন, সেই ওয়াশিংটন পোস্টও তার একটি কলাম বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে বলেছে, এটাই জামাল খাসোগজির শেষ লেখা।
কিন্তু সৌদি আরব এখনও বলে চলেছে, তারা এসব কিছুই জানেনা। মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে রিয়াদে পাঠিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নির্ভরযোগ্য মিডিয়ার খবরে জানা গেছে, তার কাছেও সৌদি বাদশাহ সালমান এবং তার ক্ষমতাধর ছেলে তাদের পুরনো অবস্থানই তুলে ধরেছেন যে মি. খাসোগজির সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই।
তুর্কী তদন্তকারীরা সৌদি কনসুলেট থেকে বের হয়ে আসছেন।ছবির কপিরাইটOZAN KOSE
Image captionতুর্কী তদন্তকারীরা সৌদি কনসুলেট থেকে বের হয়ে আসছেন।
মি. পম্পেও রিয়াদ থেকে বুধবার আঙ্কারায় গিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাথেও কথা বলেছেন।
মি. পম্পেও আসছেন জেনেই হয়তো বুধবারই তুরস্কের অনেকগুলো মিডিয়ায় মি খাসোগজিকে কীভাবে সৌদি কনসুলেটের মধ্যে নৃশংস হত্যা করা হয়েছে, তার বিস্তারিত বর্ণনাসহ রিপোর্ট ছাপা হয়েছে।
অনেক পর্যবেক্ষক তাই বলছেন, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক টানাপড়েন আয়ত্তে রাখতে, জনমনে উদ্বেগ-ক্ষোভ কমাতে সৌদি আরব এবং তুরস্ককে নিয়ে যে চেষ্টা আমেরিকা করছে, তাতে তেমন কোন সুবিধা হচ্ছেনা।
রিয়াদ এবং আঙ্কারা থেকে মি. পম্পেও তেমন কোন ইতিবাচক বার্তা নিয়ে যেতে পারেননি।
আর সেই কারণেই হয়তো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন তুরস্কের কাছে হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ চাইছেন।
তবে তুরস্কের সরকারপন্থী একটি সংবাদপত্র লিখেছে, তুরস্ক এই মুহূর্তে সেই প্রমাণ আমেরিকার হাতে তুলে দিতে চাইছে না।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply