ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে আইন করা হলেও অধিকাংশ ভোক্তাই জানেন না এর সুফল সম্পর্কে। তবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মহাপরিচালকের দাবি প্রায় ৩০ শতাংশ লোক জানেন এ আইন সম্পর্কে। লোকবলের অভাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ক্যাব বলছে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে বাড়াতে হবে বাজার তদারকি।
ক্রেতাদের অধিকার আদায়ে ২০০৯ সালে করা হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন। একই বছর এই আইন বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠা করা হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ধীরে ধীরে এ অধিদপ্তরের বিস্তৃতি ছড়িয়েছে ৬১ জেলায়। বেড়েছে অভিযোগ প্রাপ্তি ও নিষ্পত্তির সংখ্যাও। তবে বাজার ঘুরে দেখা যায় এখনো অধিকাংশ ভোক্তাই জানেন না তার অধিকার সম্পর্কে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের দাবি ৩০ শতাংশ ভোক্তা জানেন তার অধিকার সম্পর্কে।
ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা ক্যাবের মতে, আইন সম্পর্কে সচেতন করতে অধিদফতরটির রয়েছে দুর্বলতা।
ক্যাব এর সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেউ যেন মালামাল বেশি দামে বিক্রি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ভোক্তাদের অধিকার আদায়ে সুনির্দিষ্ট অন্তত আটটি অভিযোগের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।
অর্থনীতির ভাষায় অর্থ দিয়ে যিনি কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করেন তিনিই ভোক্তা। অথচ পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৯০ শতাংশ ভোক্তাই জানেন না পণ্য ক্রয়ে তার অধিকার কি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোক্তার অধিকার আদায়ে সবার আগে সচেতন হতে হবে তার নিজেকেই।
No comments: