শ্রমিক সংগঠনের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী: ইলিয়াস কাঞ্চন
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা ইলিয়াস কাঞ্চনকে টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি তাকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। তবে এসব নিয়ে কোনও কিছু ভাবছেন না তিনি। ইলিয়াস কাঞ্চন বলছেন, সাধারণ শ্রমিকেরা কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন না। মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সময় সংবাদকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজে আইনটি বাস্তবায়নের পক্ষে সংসদে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন। তাই আইনটি হয়েছে। আর আমি বলব আমি নিজে এই আইনটি করিনি। আইনটি করেছে সংসদ। তাই এই আইনটির বিপক্ষে যারা কথা বলছেন তারা সেই সংসদ অবমাননা করছেন। আমরা দেখেছি যেই সরকার যখনই সড়কে শৃঙ্খলা আনতে চেষ্টা করেন, ঠিক তখনই স্বার্থান্বেষীমহল বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
সড়ক নিরাপত্তা আইন ২০১৮ কার্যকর হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে আশা করে তিনি বলেন, এই আইনটি কার্যকর হলে সড়কে বহুগুণে শৃঙ্খলা ফিরবে। কারণ এই আইনের জরিমানার হার বেশি হওয়ার কারণে প্রত্যেকে সচেতন থাকবেন। প্রত্যেকে কখনও তারা আইন অমান্য করবেন না। এখন যে আইন আছে সেই আইনে অর্থের পরিমাণ খুব কম। তাই জরিমানার অর্থ তারা খুব সহজেই দিতে পারছেন। তাই বর্তমান আইনটি কার্যকর হলে প্রত্যেক চালকরাই আইনের ভয়ে আইন অমান্য করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে ২২ অক্টোবর একটি ছবির শুটিং দেখতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন। ওই বছর ইলিয়াস কাঞ্চন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ঘোষণা দেন, সেই ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। সেই আন্দোলন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এখন জাতীয় আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। তার সংগঠনের কর্মকাণ্ড জাতিসংঘে পর্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছেন একুশে পদক।
No comments: