Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে সবুজ পাহাড়




আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে সবুজ পাহাড় শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় ২ যুগেও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি পাহাড়ে। ফলে পাহাড়ি-বাঙালিদের মাঝে ফিরেনি আস্থা। বরং বেড়েছে সংঘাত। স্থানীয়দের কারো কারো মতে, চুক্তি বাস্তবায়নে সদিচ্ছার ঘাটতি আর সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণে দূর হচ্ছে না সংকট। আর সাধারণের মতে, আধিপত্য বিস্তারেই সবুজ পাহাড় হচ্ছে রক্তে রঞ্জিত। দীর্ঘ ২ যুগের সংঘাতের অবসান দরকার। তাই ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সাক্ষরিত হয় পার্বত্য শান্তিচুক্তি। বহুল আলোচিত এই চুক্তির পর অনেক কিছুই বদলেছে পাহাড়ে। কিন্তু দুই দশক পর এসেও বিশ্লেষণ আর হিসাব নিকাশ চলছে, আসলে কতটা শান্তির জনপদ হতে পেরেছে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি আর বান্দরবান? তবে মানুষ শান্তি চাইলেও বাস্তবে তেমন পরিস্থিতি নেই পাহাড়ে। কেননা চুক্তির আগে-পরে সবপক্ষই রক্তপাতে না জড়ানোর কথা বললেও বাস্তবে এই ২২ বছরে সংঘাতে ঝড়ে গেছে তাজা প্রাণ। মেটেনি ভূমির বিরোধ। কাটেনি মানুষের আস্থার সংকট। পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা বকুল বলেন, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় ২ যুগেও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি পাহাড়ে। চুক্তি করা হয়েছে সেই সাথে দেয়া হয়েছে নানা প্রতিশ্রুতি। তবে কোনটিই কার্যকর হয়নি। খাগড়াছড়ির সমাজকর্মী মোহাম্মদ রফিক বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের অনেক বেশী আন্তরিক হতে হবে। খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া বলেন, শান্তিচুক্তি কতখানি বাস্তবায়ন হয়েছে তার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা উভয় পক্ষেরই দায়িত্ব। হিসাব করছেন রাজনীতিবিদরাও। যাতে এখনও দূরত্ব কমেনি চুক্তির বড় দুই পক্ষ ক্ষমতাসীন দল আর জনসংহতি সমিতির। উঠছে, পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উত্থানের কথাও। রাঙামাটি জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যারা শান্তির জন্য কাজ করছে তারাই মূলত অশান্তির মধ্যে আছে। রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেন, বর্তমান সরকারের অসাম্প্রদায়িক নীতি পূর্ণরুপে বাস্তবায়িত হলে শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের আঞ্চলিক দলগুলির সাথে সরকার এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির যদি সুসম্পর্ক বজায় থাকে তবে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অনেক খানি সহজ হবে। শুধুমাত্র সংঘাতের কারণে বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্বেও পাহাড়ে পর্যটন খাতের বিকাশ আর উন্নয়নের সুফল পুরোপুরি দৃশ্যমান হচ্ছেনা বলেও মত স্থানীয় পর্যবেক্ষদের।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply