Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ইরা‌নি হামলা নি‌য়ে সংবাদ স‌ম্মেল‌নে ট্রা‌ম্পের গলা কাঁপ‌ছি‌লো!




স্বভাবসুলভ ট্রাম্পকে দেখা গেল না ৮ জানুয়ারি সকালবেলার হোয়াইট হাউজের ভাষণে। তার বেশিভাগ ভাষণে কৌতুক অথবা শ্লেষমিশ্রিত যে টানটি দেখা যায় তার ছিটেফোঁটাও ছিলনা ট্রাম্পের সর্বশেষ এই ভাষণে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে এমন হামলার খবর নির্দ্বিধায় নজিরবিহীন ঘটনা। আর একারণেই কি ট্রাম্প বিষয়ের গভীরতা অনুধাবন করে এমন হিমশীতল কণ্ঠে কথা গুলো বলেছেন? প্রশ্ন থেকেই যায়। কুর্দ ফোর্স প্রধান কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুতে তিনি যেমন শব্দচয়ন করেছিলেন, যেই স্বরে তিনি দম্ভ প্রকাশ করেছিলেন সেই দম্ভ থেকে তাকে সরে আসতে দেখা যায় বুধবারের (৮ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে। এই সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ছিলেন অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে শান্ত, স্থির, স্থিতধী। খানিকটা কাঁপা কণ্ঠেই তিনি 'কোনো মার্কিন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি তা বলেছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনী যখন একের পর এক যুদ্ধংদেহী বক্তব্য দিচ্ছেন তার জবাবে এই দুইদেশের মধ্যে উদ্ভূত বিষম পরিস্থিতিতে ট্রাম্প 'যুদ্ধ নয় একসঙ্গে পথ চলার' আহ্বানও জানান। তবে কি যুদ্ধের দামামা থেকে সরে আসতে চাইছেন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সৈন্যবাহিনীর নেতা? এদিন ট্রাম্প বলেন, ইরানের ছোড়া মিসাইলের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ইরানি মিসাইল হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়নি। কারণ পূর্বেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। এ জন্য চৌকস ও দক্ষ সেনাদের ধন্যবাদ। ইরানকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকানদের জীবন হুমকির মধ্যে ফেলেছিল, এমন একজনকে আমরা গত সপ্তাহে হত্যা করেছি। সে হিজবুল্লাহসহ সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দিত। রাস্তার পাশে বোমা পুঁতে রেখে অনেক সৈন্যকে হত্যা করেছে। সোলাইমানির নির্দেশে বাগদাদে মার্কিন অ্যাম্বাসিতে হামলা হয়। সে আরো বড় হামলার পরিকল্পনা করেছিল কিন্তু আমরা তাকে প্রতিহত করে দিয়েছি। ট্রাম্প আরো বলেন, ইরানকে বুঝতে হবে তাদের সন্ত্রাসের রাজত্ব আর মেনে নেয়া হবে না। ন্যাটোকে আমি আহ্বান জানাব, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আরো সম্পৃক্ত হতে হবে। ট্রাম্প উল্লেখ করেন তার শাসনামলে মার্কিন সমরসজ্জা আরো শক্তিশালী হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের মিসাইলগুলো বড় ও শক্তিশালী। তবে আমরা তা ব্যবহার করতে চাই না। ট্রাম্প জানান, আইএসের ধ্বংস যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের জন্য মঙ্গলজনক ছিল। ইরানিরা ভালো ভবিষ্যতের যোগ্য। তাদের শাসকরা তা বুঝতে পারলে একসঙ্গে পথ চলতে আপত্তি নেই তার। ইরানের হামলার দাবির প্রেক্ষিতে এমন একটি যুদ্ধে কী ধরণের সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে এসব কিছু বলার পর ট্রাম্প খোলা রেখেছেন 'একসঙ্গে পথচলার পথ'। এমতবস্থায় ট্রাম্প কি পিছু হটছেন নাকি সমঝোতা করতে চাইছেন ইরানের সঙ্গে সেটিই এখন দেখবার বিষয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply