ভ্যাট অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার ব্যবহারে আগ্রহ কম

বাধ্যতামূলক হলেও ভ্যাট অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার ব্যবহারে আগ্রহ নেই দেশি কোম্পানিগুলোর। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরের হিসাবে, এ সফটওয়্যার ব্যবহারে আবেদন করেছে মাত্র বিশটি প্রতিষ্ঠান। তবে তা ব্যবহার না করায় আপাতত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না এনবিআর। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সফটওয়্যারটি ব্যবহার না হলে ভ্যাট ফাঁকির সুযোগ থেকেই যাবে। সফটওয়্যার ব্যবহারে জটিলতা ও খরচ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আগ্রহ নেই, বলছেন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। পর্যায়ক্রমে না করে একসঙ্গে সব প্রতিষ্ঠানের জন্য এই নির্দেশনা জারির সমালোচনাও করছেন তারা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ সফটওয়্যার ব্যবহারে এনবিআর ও ব্যবসায়ী, দুপক্ষেরই লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে। বলছেন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া না হলে কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করা যাবে না। বছরে লেনদেন পাঁচ কোটি টাকা কিংবা তার বেশি এমন কোম্পানির ভ্যাট ও অন্যান্য লেনদেনের হিসাব সংরক্ষণে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে গত জুনে নির্দেশনা জারি করে এনবিআর। অনলাইনে কোম্পানির হিসাব খতিয়ে দেখতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে যেমন ভ্যাট ফাঁকির ঝুঁকি কমবে তেমনি কমে আসবে ব্যবসায়ীদের হয়রানি। প্রযুক্তি খাতের ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে সফটওয়্যার তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে কোনো কোম্পানি চাইলে নিজেরাও তৈরি করতে পারবে। এনবিআরের হিসাবে, ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে এ সফটওয়্যার ব্যবহারে অনুমতি চেয়েছে মাত্র ২০টি কোম্পানি। যার বেশির ভাগই বহুজাতিক। এনবিআরের হিসাবে, বছরে পাঁচ কোটি টাকা লেনদেন করে দেশে এমন প্রতিষ্ঠান আছে অন্তত দশ হাজার।