Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » কাতার ফেরত শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ারের স্বীকারোক্তি, অস্ত্র উদ্ধার




কাতার ফেরত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১টি একে ২২ রাইফেলসহ ৩টি অস্ত্র এবং ৩৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে বায়েজিদ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করা হয়। বায়েজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার জানান, রাতেই ঢাকা থেকে সারোয়ারকে চট্টগ্রাম এনে পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে সে পুলিশের কাছে তার অস্ত্রের মজুদ তুলে দেয়। এর মধ্যে একটি একে ২২ রাইফেল, ৩০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ এলজি এবং ৩ রাউন্ড কার্তুজ রয়েছে। তার অনুসারীদের কাছে আরো অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। শনিবার কাতার থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ারকে ঢাকা বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দুপুরে কাতার থেকে আসা একটি ফ্লাইট থেকে প্রথমে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। জানা যায়, বহদ্দারহাট এইট মার্ডার মামলার আসামী সাজ্জাদ দুবাই পালিয়ে থাকা অবস্থায় তার পক্ষে সন্ত্রাসী গ্রুপের দায়িত্ব নেয় সরোয়ার এবং ম্যাক্সন নামে দু’সন্ত্রাসী। সাজ্জাদের হয়ে তারা বায়েজীদ এবং অক্সিজেন এলাকায় নির্বিচারে চাঁদাবাজী করছিলো। দুবাই থেকে সাজ্জাদের নির্দেশনা অনুযায়ী চাঁদা না পেলে স্থানীয়দের বাড়িতে গুলি বর্ষণ এবং আগুন লাগিয়ে দিতো সরোয়ার ও ম্যাক্সনসহ সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা। ২০০০ সালের ১২ জুলাই নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে সাজ্জাদের নেতৃত্বে শিবির কর্মীদের ব্রাশফায়ারে ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মী নিহত হয়েছিলো। পরে এই মামলায় সাজ্জাদের সাজা হয়। কিন্তু ২০০১ সালের ৩ অক্টোবর গ্রেফতার হওয়া সাজ্জাদ বিগত বিএনপি ক্ষমতা থাকা অবস্থায় জামিনে মুক্ত হয়ে দুবাই পালিয়ে যায়। সাজ্জাদ বর্তমানে ভারতে গ্রেফতার অবস্থায় রয়েছে। এক ভারতীয় নারীকে বিয়ে করে দুবাই থেকে ভারতে চলেেএসেছিলো সাজ্জাদ। বিগত ২০১১ সালে বায়েজীদ থানা পুলিশ দু’টি একে ৪৭ রাইফেলসহ সরোয়ার এবং ম্যাক্সনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু ২০১৬ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে যায় তারা। তবে মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে থাকলেও তার অনুসারীরা নগরীর বায়েজীদ এলাকায় চাঁদাবাজী করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সরোয়ার এবং ম্যাক্সন মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফোন করে চাঁদা দাবী করতো। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, সরোয়ার আগেই কাতার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো। তারাই সরোয়ারকে বাংলাদেশগামী বিমানে তুলে দিয়েছিলো। সরোয়ারের বিরুদ্ধে নগরীর বায়েজীদ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছ পুলিশ। শনিবার রাতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply