Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ৪০ বছরে আজকের এই করোনা!




অদেখা ক্ষুদ্র এক শত্রুর বিপক্ষে লড়ছে গোটা বিশ্ব। এখন পর্যন্ত এ অণুজীবের বিরুদ্ধে পেরে উঠছে না মানব সভ্যতা। কিভাবে এলো এ করোনাভাইরাস? বা কিভাবেই এত শক্তিশালী হয়ে পুরো মানব সভ্যতা ধ্বংসের মুখে ফেলে দিতে সক্ষম হলো? এ নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাস রাতারাতি এত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেনি। বাদুড় বা বনরুই জাতীয় প্রাণী থেকে ছড়িয়ে প্রাথমিক অবস্থায় এই ভাইরাস অন্তত ৪০ বছর ধরে শক্তি বৃদ্ধি করেছে। এই শক্তি পরবর্তীতে মানুষ থেকে মানুষের সংক্রামিত হওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। যার ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা খুব সহজ নয়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে অন্তত ৪০ বছর সময় লেগেছে ভাইরাসটির। অধিকাংশ বিজ্ঞানরা মনে করেন, নোভেল করোনা ভাইরাস এসেছে বাদুড় থেকেই। আবার অনেকের মত, শুধু বাদুড় নয়, বনরুইও এই ভাইরাসের অন্যতম বাহক। কারণ বাদুড় ও বনরুইয়ের শরীরে এমন ভাইরাল জিন মিলেছে, যার সঙ্গে সার্স-কভ-২ এর সাদৃশ্য রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রত্যেক ভাইরাসেরই একটা স্বাভাবিক উৎস বা রিজার্ভার থাকে। সেটা যে কোনো প্রাণী হতে পারে। এবার সেই প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের সংস্পর্শে আসা এবং মানুষের শরীরে নতুন বাহক কোষ খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। মানুষের শরীরে যদি ভাইরাস ঢুকেও পড়ে, তা হলেও ক্রমাগত এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ট্রান্সমিশন এত দ্রুত সম্ভব নয়। বাদুড়ের থেকে ভাইরাস যখন মানুষের শরীরের সংস্পর্শে আসবে, সে তখন চেষ্টা করবে নতুন বাহক কোষ খুঁজে বের করার। মানুষের দেহকোষের প্রোটিন যদি ভাইরাসের পছন্দ হয়, তা হলে ভাইরাল প্রোটিন তার সঙ্গে জোট বেঁধে কোষের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এটা হলো এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে ভাইরাসের ছড়ানোর প্রথম ধাপ। মানুষ থেকে মানুষের ছড়ানোর কয়েকটা পর্যায় আছে। প্রথমত, মানুষের শরীরে একবার ঢুকে পড়তে পারলে ভাইরাস গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। মানুষের শরীরের সব অঙ্গকে কিন্তু ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে না। কারণ সব দেহকোষে সে তার পছন্দের বাহক প্রোটিন খুঁজে পায় না। তাই দেখা যায়, কোনো ভাইরাস হয়তো ফুসফুসকে আক্রান্ত করে, আবার কোনো ভাইরাস কিডনি বা হৃদযন্ত্রকে সংক্রমিত করে। দ্বিতীয়ত, যে অঙ্গকে ভাইরাস তার নিশানা বানায় সেখানে সে তার প্রতিলিপি তৈরি করতে থাকে। অর্থাৎ সংখ্যায় বাড়তে থাকে। এবার তার কাজ হয় নতুন বাহক কোষ খুঁজে বের করা। এর জন্য এক মানুষের শরীর থেকে অন্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু করোনাভাইরাস এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এটি নিজেকে সময়ের সঙ্গে বদলে নিয়েছে। অর্থাৎ নতুন নতুন বাহক খুঁজে বের করার জন্য ভাইরাসটি জিনের গঠন বদলে ফেলছে খুব তাড়াতাড়ি। নতুন তৈরি হওয়া এই ভাইরাল জিন অনেক বেশি শক্তিশালী ও সংক্রামক। তার সংক্রমণের ক্ষমতাও অনেক বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন, বন্যপ্রাণীদের আরও কাছাকাছি চলে আসা, জঙ্গল ধ্বংস করে নগর সভ্যতার বিকাশ, খাদ্যাভ্যাসে বদলসহ নানা কারণ রয়েছে সংক্রামক ভাইরাসদের মানুষের আরও কাছাকাছি চলে আসার। সচেতনতার অভাব ও অসংযমী জীবনযাত্রাই এই মহামারীর অন্যতম বড় কারণ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply