Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » আমরা তার শিশু সন্তান না', ঘরে থাকতে বলায় যুক্তরাষ্ট্রে গভর্নরের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন




আমরা তার শিশু সন্তান না', ঘরে থাকতে বলায় গভর্নরের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন ' যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ১০ হাজার ২৭২ জন করেনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছে ৩৭ হাজার ১৭৫ জন। মৃত্যু আর আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় দেশটির বেশ কিছু শহর এবং অঙ্গরাজ্যে জনসাধারণের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু মিশিগান অঙ্গরাজ্যে জারি করা ‘স্টে অ্যাট হোম’ অর্ডারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে সেখানকার জনগণ। কোভিড-১৯ যতই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করুক না কেনো তারা কোনো ধরণের লকডাউন মানতে রাজি নয়। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এ আন্দোলনও ছিলো ভিন্ন রকমের। আন্দোলনকারীরা নিজেদের গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তারা মিশিগান রাজ্যের রাজধানী ল্যানসিংয়ের কয়েক মাইল রাস্তা গাড়ি দিয়ে ব্লক করে রাখেন। এর মধ্যমে তারা ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার সরকারের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা চালায়। আন্দোলনের অংশ নেয়া এক নারী বলেন, আমাদের রাজ্যটাকে খুলে দেয়ার সময় এসে গেছে। আমরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছি না, চুল কাটাতে পারছি না। আমরা ক্লান্ত। সবকিছু খুলে দেয়ার এখনি সময়। অসুস্থদের চিকিৎসা দেয়া হোক। যে অসুস্থ হবে ঘরে থাকবে। কিন্তু যে কাজ করতে পরছে তাকে কাজ করতে দেয়া হোক। আমাদের ব্যবসাগুলো খোলা দরকার। এই আন্দোলনের নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন গ্রিডলক’। এটির আয়োজন করেছে ডেভোস পরিবারের ঘনিষ্ঠ সংগঠন কনজারভেশন কোয়ালিশন এবং মিশিগান ফ্রিডম ফান্ড। আন্দোলনকারীদের নিজ নিজ গাড়িকে থেকে রাস্তা বন্ধ করে রাখতে বলা হয়। বিক্ষোভে ‘তাকে বন্দি করে রাখো’ এবং ‘আমরা আরেকজনের ইচ্ছায় চলবো না’ বলে স্লোগান দেয়া হয়। এক আন্দোলনকারী বলেন, আমার চারবার বাইপাস করা হয়েছে। আমার স্ট্রোক হয়েছে। তারপরেও আমি লোক সমাগমের মধ্যে যেতে ভয় পাচ্ছি না। বিষয়টা হল- আপনি নিজের খেয়াল কীভাবে রাখবেন। আমরা তার (গভর্নরের) শিশু সন্তান না। একটা ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এই ভাইরাস থাকবেই। আমরা আসলে সবাই এটা থেকে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করছি। তবে এই আন্দোলনের ফলে মিশিগানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চরম অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

র হেল্থকেয়ার কর্মী জেমস স্মিথ বলেন, আমি আমার কাজ করতে পারছি না। আমি মানুষকে সাহায্য করতে পারছি না। কারণ তোমরা হাসপাতালের প্রত্যেকটা প্রবেশপথ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছ। মেডিকেল কর্মীদের হাসপাতালের প্রবেশে বাধা দেয়। জেমস স্মিথ বলেন, যদি তোমার বাবা-মা, তোমাদের শিশু সন্তান হতো অসুস্থ হতো তাহলে কি হতো! কারণ তোমরা বাইরে বের হতে চাচ্ছো। গাড়ির জানালা খুলে দিচ্ছো যাতে তোমাদের সন্তান, পরিবারের সদস্যরা জানালা দিয়ে হাত বের করতে পারে। এমন বিষয়ের সমর্থক করছো যার সঙ্গে তোমাদের কোন স্বার্থ জড়িত না। হুইটমার যে নির্দেশগুলো দিয়েছে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তার নির্দেশনায় রাজ্যের মধ্যেই ভ্রমণ এবং বন্ধুদের বাড়িতে যাতায়াতও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া গার্ডেন শপের মতো ব্যবসাও বন্ধ করা হয়েছে। এমএসএনবিসি’র হোস্ট জয় রেইড গভর্নরের কাছে জনগণের আন্দোলন নিয়ে জানাতে চান। গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার বলেন, এটা আসলে ‘স্টে অ্যাট হোম’ অর্ডারের বিষয় না। এটা একটা রাজনৈতিক র‍্যালি, রাজনৈতিক বক্তব্য। বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এবং সেরা অনুশীলনের ওপর ভিত্তি করেই ‘স্টে অ্যাড হোম অর্ডার’ জারি করা হয়েছে। অল্প সংখ্যক মানুষের একটা দল রাস্তায় নেমে এসেছে কোনো মাস্ক ছাড়াই। তারা খোলা হাতে শিশুদের ক্যান্ডি দিচ্ছে। তারা আমাদের একটি হাসপাতালে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া রোধে ‘স্টে অ্যাড হোম অর্ডার’ জরুরি। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গভর্নর হুইটমারকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে তার প্রচেষ্টাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। তিনি বলেন, মিশিগানের ওই নারীকে কল করবেন না। এতে কোনো কিছুর পরিবর্তন হবে না। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্যমতে, মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ৩০ হাজার ২৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। অঙ্গরাজ্যটিতে মারা গেছেন ২ হাজার ২২৭ জন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply