করোনার থাবায় হুমকিতে ব্রাজিলের ফুটবল

করোনাভাইরাসের ফলে হুমকির মুখে ব্রাজিলের ফুটবল। এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। তিনি বলেন কোভিড সংক্রমণ রোধে যে লকডাউন চলছে, তাতে ছোট ক্লাবগুলোর পাশাপাশি দেওলিয়া হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে বড় ক্লাবগুলোও। তাই ঢালাও ভাবে লকডাউন না করে যে সব এলাকায় সংক্রম নেই সেখানে সবকিছু স্বাভাবিক করার পক্ষে মত দেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট।
ফুটবলটা ব্রাজিলিয়ানদের কাছে ধ্যান-জ্ঞান। অনেক ক্ষেত্রে তা উপাসনার মত। বিশ্বব্যাপী সাম্বার দেশটির যে পরিচিতি, তার অনেকটাই সাধিত হয়েছে এই খেলার কল্যাণে। তবে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের ছোবল থমকে দিয়েছে সব। স্থবির হয়ে আছে চর্ম গোলকটাও।
যারা ফুটবলের খবর রাখেন, তারা জানেন সান্তোস, ফ্লামেঙ্গো কিংবা পালমেইরাসের বনেদিয়ানা। শুধু ব্রাজিল নয়, যে ক্লাবগুলোর প্রভাব গোটা ল্যাতিন আমেরিকা জুড়েই। অনেক ক্ষেত্রে মহাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে পুরো পৃথিবীতেই সেগুলো সুপরিচিত। এর বাইরেও আছে মাঝারি ছোট আরো বহু নাম। যার সবগুলোই এখন অস্তিত্ব সংকটে।
ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো বলেন, 'করোনাভাইরাসের কারণে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের পরিস্থিতি ভীষণ নাজুক। বেশ কয়েকটি ক্লাব ইতোমধ্যেই দেওলিয়া হওয়ার পথে। দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব ও প্রাদেশিক চ্যাম্পিয়নশিপ যারা খেলে তাদের অবস্থা বেশি খারাপ। অথচ এখান থেকে প্রচুর ফুটবলার উঠে আসে। আর ফ্রামেঙ্গো ও পালমেইরাসের মত ক্লাবগুলো বিশাল ক্ষতির মুখে। কারণ তারা ম্যাচ খেলতে পারছে না। তাই টিভি স্বত্ব ও স্পন্সরশীপ থেকেও কোন অর্থ আসছে না।'
করোনার ভয়াল থাবায় ব্রাজিলের জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও, পুরো দেশের চিত্র এক রকম নয়। আর তাই চলমান পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বিশদভাবে ভাবছে দেশটির সরকার। সেক্ষেত্রে আক্রান্তের হার বিবেচনায় এনে সে মোতাবেক পরিকল্পনা সাজাতে চায় তারা।
ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো বলেন, 'কিছু কিছু প্রদেশ তাদের লকডাউনের সময়সীমা ৩০ দিন করেছে। আমি এর বিপক্ষে নই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ঢালাওভাবে এটা কতটুকু কাজে আসবে? কারণ আক্রান্তের সংখ্যা সব স্থানেই এক না। যেসব জায়গায় কোন কোভিড কেস নেই শুধু শুধু সেখানে অবরুদ্ধ করে লাভ নেই। তাতে ক্ষতিটাই বেশি হচ্ছে। আমি মনে করি এই বিষয়টি নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।'
এখন পর্যন্ত ব্রাজিলে কোভিড নাইনটিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার। ভাইরাসটির সংক্রমণে ইতোমধ্যেই মারা গেছে ২ হাজার ৩৪৭ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১৪ হাজারের উপরে।
No comments: