লকডাউনেও থেমে নাই ইংলিশ ক্রিকেটাররা
বোর্ডের দেয়া ফিটনেস গাইডলাইন মেনে অনুশীলন করছেন লকডাউনে থাকা ইংলিশ ক্রিকেটাররা। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে যে মানসিক চাপ থাকে তা এখন নেই। তাই শারীরিকভাবে যেকোনো সময়ের চেয়ে ফিট হয়ে উঠতে এটাই মোক্ষম সময়। এমনটাই মনে করেন ইসিবির স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং টিমের প্রধান রব আহমুন। প্রযুক্তির মাধ্যমে বাড়িতে বসেই খেলোয়াড়দের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি।
বেন স্টোকস চ্যাম্পিয়ন। সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নন তিনি। হোক বিশ্বকাপ ফাইনাল অথবা ফিটনেস চ্যালেঞ্জ।
গানের তালে তালে জিম সেশনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা করেছেন অনবরত। ৫ সপ্তাহ পর পৌঁছেছেন সন্তোষজনক অবস্থানে। টানা ৩ মিনিট ২৮ সেকেন্ড নির্দিষ্ট অনুশীলনের মধ্য দিয়ে সফল হয়েছেন ব্রিং স্যালি আপ চ্যালেঞ্জে।
অনির্দিষ্টকালের বিরতিতে ফিটনেস ঠিক রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বোর্ড খেলোয়াড়দের খাদ্যাভ্যাস ও অনুশীলন নিয়ে গাইডলাইন দিয়েছে। বোর্ডের তত্ত্বাবধানে উদ্যোগী হয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও।
লকডাউনের এই সময়ে ইসিবির পাঠানো কেটল বেল, মেডিসিন বল, লাফদড়ি নিয়েই অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা। তবে, প্রত্যেকের খেলার ধরন, ইনজুরির ইতিহাস আর পছন্দানুযায়ী কসরতের ধরন হচ্ছে ভিন্ন।
ইসিবির স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং টিমের প্রধান রব আহমুন বলেন, ইসিবি জিমি এন্ডারসন আর আদিল রশিদের ট্রেনিংয়ের ধরন এক হবে না। একইভাবে তাদের চেয়ে জেসন রয়েরটাও ভিন্ন। ট্রেনিং কেমন হচ্ছে, সপ্তাহ শেষে তা আমরা যাচাই করি।
স্মার্ট ওয়াচের মাধ্যমে ক্রিকেটাররা ছবি ও তথ্য পাঠালে, জিপিএস মনিটরের মাধ্যমে তা পর্যবেক্ষণ করছে বোর্ড। ম্যাচ ফিটনেস ধরে রাখাই মূল লক্ষ্য।
রব আহমুন বলেন, ইসিবি সাধারণ রানিং আর কন্ডিশনিংয়ের মাধ্যমে আপনি জিম সেশনের দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছাতে পারবেন। কিন্তু, এটা নিশ্চয়ই ম্যাচের জন্য যথেষ্ট নয়। পুরো ম্যাচে রানিং বিটুইন দ্য উইকেট কিংবা বোলিংয়ের জন্য ফিটনেস অনেক ভালো থাকা প্রয়োজন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, গড়ে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ কন্ডিশনিং ক্যাম্প করলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত হতে পারবে থ্রি লায়নরা। ইসিবির স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং টিমের বিশ্বাস এমনটাই।
রব আহমুন আরো বলেন, ইসিবি শুরুতে সাধারণ এরপর ধীরে ধীরে কঠিন স্প্রিন্ট সেশন রাখা হচ্ছে। ৩০ থেকে ৪০ মিটার গতিতে ৪০ মিনিট দৌঁড়ানোর পর, গতি কমতে থাকে। বোলারদের জন্য রয়েছে বাড়তি সেশন। নিয়মিত রানআপের তুলনায় দ্বিগুণ পথ দৌঁড়ে, কারো ছুঁড়ে দেয়া বল লাফিয়ে মুঠোবন্দি করতে হয় তাদের।
সারা বছর খেলা থাকায় এমন ট্রেনিংয়ের সুযোগ মেলে না। তাই লকডাউনের ফায়দাটাও শতভাগ কাজে লাগানোর তাগিদ ইসিবির।
Tag: games

No comments: