নাইজেরিয়ায় ২০ সৈন্যসহ ৪০ জনকে হত্যা
নাইজেরিয়ায় দুটি সন্ত্রাসী হামলায় গুলি চালিয়ে ২০ সৈন্যসহ অন্তত ৪০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় থানা ও জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
শনিবার (১৩ জুন) দেশটির উত্তর অঞ্চলের বর্ন রাজ্যের একটি আবাসিক এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে রয়টার্সের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, শনিবারের এ হামলার মাত্র একদিন আগে দেশটির আরেকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। গুবিও এলাকার ওই হামলায় অন্তত ৮১ জন নিহত হয়েছিল।
দুজন মানবিক সহায়তাকর্মী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, হামলাকারীরা ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। তাদের কাছে রকেট লঞ্চারও ছিল। হামলার পর তারা স্থানীয় ভাষায় লিফলেট বিতরণ করে। লিফলেটে সরকারি বাহিনী জাতিসংঘের সহায়তামূলক কার্যক্রমে জনসাধাণকে সমর্থন না দেয়ার জন্য সতর্ক করা হয়।
হামলাকারীরা সেখানে সরকারি কর্মীদের হত্যার জন্য খুঁজে তথাকে। কিন্তু তেমন কাউকে পায়নি। তবে অন্তত ২০ জন সেনা সদস্যকে হত্যা করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সেকানে হত্যাকাণ্ড চলে।
এলোপাতাড়ি এ হামলায় কয়েকশ’ সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন। অনেকে ক্রসফায়ারে পড়ে নিহত ও আহত হয়েছেন।
হামলার মধ্যে সন্ত্রাসীরা সেখানে অবস্থিত পুলিশ কার্যালয় (থানা) ও জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার স্থাপনা পুড়িয়ে দেয়। এর পর তারা পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে প্রবেশ করে বলে জানিয়েছে সেখানকার সরকার পক্ষের সংস্থা ‘সিভিলিয়ান জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স’ (সিজেটিএফ) এর সদস্যরা।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে নাইজেরার সেনা দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি বলে খবরে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নাইজেরিয়ার তিলাবেরি অঞ্চলে সাধারণ গ্রামবাসীর ওপর বন্দুকধারী চরমপন্থিদের হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছিল।
আতিলাবেরির গভর্নর তিদজানি ইব্রাহিম কাতিয়েলার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছিল, একদল বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে করে গাদাবো ও কোইরা তেগুইয়োসহ বেশকিছু গ্রামে হামলা চালায়। সে সময় তারা গ্রামবাসীদের ভেগে যেতে বলে ও দোকানপাট, গবাদি পশু লুট করে।
গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত তাদের চালানো বিভিন্ন হামলায় ১৭০ সেনা নিহত হয়েছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও নাইজেরিয়াসহ আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে করোনা মহামারির সুযোগে ইসলামি চরমপন্থিদের আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠার ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়েছেন।
চরমপন্থীদের দাপটে ২০১৭ সাল থেকেই মালি, বুরকিনা ফাসো ও বেনিন সীমান্তবর্তী তিলাবেরি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করে রেখেছে নাইজেরিয়া সরকার
No comments: