Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » করোনা মোকাবিলায় জাপানি দৈনিকে বেক্সিমকোর সাফল্য গাঁথা




  করোনা মোকাবিলায় জাপানি দৈনিকে বেক্সিমকোর সাফল্য গাঁথা
 

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস
করোনভাইরাসের প্রকোপ যেখানে দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনকে ব্যাহত করেছে, সেখানে বেক্সিমকো গ্রুপ তাদের উৎপাদন সক্ষমতা দেখিয়েছে এই মহামারিতে। জাপানভিত্তিক দৈনিক নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ করোনা মহামারিতে মানুষের সেবায় বেক্সিমকোর অবদান, করোনা সংশ্লিষ্ট সামগ্রী উৎপাদন এবং অন্যান্য সফলতা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছে।

এতে বলা হয়েছে, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রেমডেসিভির গোত্রীয় একটি সংস্করণ বিশ্বে প্রথম উৎপাদন এবং রপ্তানি করেছে। করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ এবং অন্যান্য ব্যবহৃত সামগ্রী উৎপাদনে বেক্সিমকো অনন্য।

বেক্সিমকো টেক্সটাইল এবং পোষাক তৈরি খাত বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এমারেজন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির নির্দেশনা মেনে গত মে মাসে বেক্সিমকো ৬৫ লাখ মেডিক্যাল গাউন রপ্তানি করেছে। অন্যান্য টেক্সটাইল সামগ্রীর মতই পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই উৎপাদন অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিষ্ঠানের কর্তারা পরিকল্পনা করছেন।

নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ জানিয়েছে, রেমডেসিভির গোত্রের বেক্সিমকোর উৎপাদনটির নাম দেয়া হয়েছে বেমসিভির। দেশের বেসরকারি চিকিৎসাসেবায় বেক্সিমকো প্রতি ভায়াল(শিশি) বেমসিভির মাত্র ৫৬ ডলারে সরবরাহ করছে। যেখানে যেকানে গিলিয়ড গত মাসে রেমডিসিভিরের ৬ ভায়াল তিন হাজার ১২০ ডলার নির্ধারণ করে।

গিলিয়ড যেখানে যেখানে ভারতের চিপলা, জুবিলান্ট লাইফ সাইন্সেস, মাইলান এবং ডা. রেড্ডির ল্যাবরেটরিসহ পাকিস্তানের ফিরোজসনস এর সাথে রেমডেসিভির উৎপাদনের অনমুদোন নিয়ে চুক্তি করছে, সেখানে বিক্সমকো এবং দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কোনো লাইসেন্স নেই। ফলে তারা দেশের সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে রেমডেসিভির উৎপাদন করছে।

গত মাস থেকে বেক্সিমকো নাইজেরিয়া, আজারবাইজান, ফিলিপাইন, ভেনেজুয়েলা এবং পাকিস্তানে স্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ২৫ হাজার বায়াল বেমসিভির রপ্তানি করেছে।

বেক্সিমকো ফর্মার প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) রাব্বুর রেজা বলেন, আমরা ৩০টি দেশের সঙ্গে কাজ করছি। প্রতিমাসে আমরা ৮০ হাজার ভায়াল বেমসিভির উৎপাদন করছি। আগামী আগস্টে এই উৎপাদন দ্বিগুন করার চেষ্টা চলছে।

উৎপাদনের অনুমতি পাওয়ার পর বেক্সিমকো সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে বেমসিভির সরবরাহ করেছে। করোনা চিকিৎসায় এটি খুবই কার্যকর ওষুধ। করোনায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির খুবই কার্যকরী বলে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সরকার এটি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে।

বেক্সিমকো করোনায় শুধু বেমসিভিরই দেয়নি। সংক্রামক রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ফুজিফিল্মের অ্যান্টিভাইরাল অ্যাভিগানের অনুকরণে ওষুধ বাজারজাত করেছে। এর বাণিজ্যিক নাম দেয়া হয়েছে ভিরাফ্লু। কোভিসিন ব্রান্ড নামের অধীনে তারা হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন উৎপাদন করছে। এছাড়া আইভারমেকটিনের অনুকরণে ইভেরা উন্নীত করেছে। করোনার চিকিৎসায় এটিও কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

এছাড়াও বেক্সিমকো যে শীর্ষস্থানীয় ওষুধ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সে বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। পামাপাশি বেক্সিমকো গ্রুপের সফলতার নানাদিক তুলে ধরাসসহ দেশের কল্যাণে বেক্সিমকোর অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

১৯৭০ সালে দুই ভাই আহমেদ সোহাইল ফয়সালুর রহমান এবং সালমান ফজলুর রহমানের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে বেক্সিমকো। তারা প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে এনার্জি, ব্যাংক, তথ্য-প্রযুক্তি, আবাসন এবং গণমাধ্যমে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন। বেক্সিমকো তাদের প্রতিষ্ঠানে ৬৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। এটি একদিনে যেমন দেশের বেকারত্ব দূর করণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে, তেমনি দেশের অর্থনীর চাকা গতিশীল করছে।

সালমান এফ রহমান বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন সংসদ সদস্যও।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply