Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » অনেক পাল্টে গেছি, মানুষ আমাকে আর ভুল করতে দেখবে না’




 অনেক পাল্টে গেছি, মানুষ আমাকে আর ভুল করতে দেখবে না’

সাকিব আল হাসান স্বীকার করে নিচ্ছেন যা করেছেন, বড্ড ভুলই করেছেন। যে কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। দীপ দাশগুপ্তর উপস্থাপনায় ক্রিকইনফোর সিরিজ ক্রিকেটবাজিতে সাকিব বলেছেন, দেশের অন্য ক্রিকেটাররা যেন তার ভুল থেকে শিক্ষা নেন।

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরও সেটা গোপন করার মতো তিনটি অভিযোগে সাকিবকে দুবছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। যার একবছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। সাজার সব শর্ত মেনে চললে চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর মাঠে ফিরবেন।

‘নিজেকে নিজের কাছে সৎ হতে হবে। অন্যের কাছে মিথ্যা বলা কিংবা কিছুই হয়নি এমন ভাব নিয়ে চলা যাবে না। যা হওয়ার হয়ে গেছে। মানুষ ভুল করবেই। কেউই শতভাগ শুদ্ধ নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ভুলটা থেকে বের হয়ে আসা। অন্যরা এই ভুলটা যেন না করে সে বিষয়ে সতর্ক হতে বলতে পারেন। তাহলে তারা হয়তো একই ভুল করবে না।’

‘এটা অন্যকারো জীবনেও হতে পারত। আমি হয়তো তাকে দেখে শিখতে পারতাম। কিন্তু এটা আমার জীবনেই হয়েছে। মানুষজন আমাকে দেখে শিখুক। প্রথমদিন থেকেই সৎ থাকতে চেয়েছি। কেউ যখন আমাকে জিজ্ঞেস করেছে তাদের কাছে কিছু লুকাতে চাইনি। সোজাসাপ্টা থাকতে চেয়েছি। ভুল করেছি। আমার মতো খেলোয়াড়ের এমন হওয়া ঠিক হয়নি। এর জন্য ক্ষমা চাইছি, সামনে তাকাতে চাইছি। চাই সবাই আমাকে দেখে শিখুক, যেন তারা এমন ভুল আর না করে।’

খেলোয়াড়ি জীবনে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন সাকিব। ২০০৯ সালে প্রথমবার অধিনায়ক হয়ে বোর্ড প্রধান, নির্বাচক ও গণমাধ্যমের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন। মূলত সে কারণেই ২০০৯-১০ সালে তাকে পুরোপুরিভাবে অধিনায়কত্ব দেয়া হয়নি। সাকিব মনে করেন সেই অভিজ্ঞতাই তাকে মানুষ হিসেবে পাল্টে যেতে সাহায্য করেছে।


‘মনে করি বিতর্ক আমার জীবনে পরিপূরক। খুব অল্প বয়সেই আমার জীবনে দায়িত্ব চেপেছে। তাই ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। মাত্র ২১ বছর বয়সে অধিনায়ক হয়েছি। অনেক ভুল করেছি। মানুষজন আমাকে নিয়ে অনেককিছু চিন্তা করে। জানি আমার ভুলটা কোথায়, আবার কিছু জায়গায় আমাকে ভুলও বোঝা হচ্ছে। উপমহাদেশে বিতর্ক অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

‘অবশ্যই যতটা সম্ভব আমার ভুলগুলো কমাতে চেষ্টা করবো। আমি এখন বিবাহিত, দুটি মেয়ে আছে। এখন খেলা আর জীবন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখি। ২০ বছর বয়সী সাকিবের চেয়ে আমি এখন অনেক শান্ত। অনেক পাল্টে গেছি। মানুষ এখন আমাকে আর আগের মতো ভুল করতে দেখবে না। আমার দুই মেয়ে আমার জীবন সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে।’

২০১১ সালে সম্পূর্ণভাবে নেতৃত্ব পাওয়া সাকিবের দলে ছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে মাশরাফীর চোটের কারণে প্রথমবারের মতো দলকে নেতৃত্ব দেন সাকিব। ২০১১ সালে বিশ্বকাপের আগে পাকাপাকিভাবে নেতৃত্ব পেলেও মাত্র ৭ মাস পর জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারের পর সরিয়ে দেয়া হয় তাকে।

নেতৃত্বে সিনিয়রের কাছ থেকে কখনোই সমস্যার সম্মুখীন হননি বলে জানিয়েছেন সাকিব, ‘কখনোই সিনিয়র ক্রিকেটারদের থেকে সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। এটা কখনোই সমস্যা ছিল না। আমরা জয় পাওয়ার জন্য তখন লড়াই করছিলাম, সুতরাং আমাদের তখন চিন্তা ছিল জয় পাওয়া






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply