সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে রুটিন ভ্রমণ পরিহারের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি অপরিহার্য ক্ষেত্রেও বিদেশ ভ্রমণ ব্যয় অর্ধেক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। নির্দেশনাটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রতি অর্থবছরে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ বাবদ ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এ অর্থ অনেক সময় অনেক প্রতিষ্ঠান যৌক্তিকভাবে খরচ করতে পারে না। সেজন্য কোনো এক উছিলায় সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে করোনার কারণে ব্যয় কমানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পরিপত্র অনুসারে এই বছর ভ্রমণের এই সুযোগ থাকছে না। কারণ সরকার এ অর্থবছরে রুটিন ভ্রমণ পরিহারের নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে অপরিহার্য ক্ষেত্রেও বিদেশ ভ্রমণ ব্যয় অর্ধেক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকারের অগ্রাধিকার খাতসমূহে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে ২০২০-২১ অর্থবছরে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে ভ্রমণ ব্যয় খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে- শুধু জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় ভ্রমণখাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা যাবে, তবে সরকারি ভ্রমণের ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থের ৫০ শতাংশ বরাদ্দ স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ অর্ধেক ব্যয় দেয়া হবে। পাশাপাশি সকল প্রকার রুটিন ভ্রমণ পরিহার করতে হবে।’
এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
No comments: