বাবা ইলেক্ট্রিশিয়ান, ছেলের বার্ষিক বেতন ৭০ লাখ
বাবা ইলেক্ট্রিশিয়ান, ছেলের বার্ষিক বেতন ৭০ লাখ
অভাবের অনটনের সঙ্গে যাদের নিত্ত বসবাস তারা বোঝে জীবন যুদ্ধের মানে কি। বড় হবার স্বপ্নটাই হয় বেঁচে থাকার মূল কারণ। ছোটবেলা থেকে যে কষ্ট তারা পেয়ে এসেছে, ভবিষ্যৎ জীবনে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য যথাযথ পরিশ্রম করে তারা।
এমনই এক মেধাবী ছাত্রের নাম মোহাম্মদ আমির আলী। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, তার বাবা পেশায় একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। অথচ ভারতের জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা এই ছাত্রের বার্ষিক প্যাকেজ ১ লক্ষ মার্কিন ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭০ লক্ষ রুপী। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী আমির টাকার অভাবে ঝারখান্ড এনআইটিতে সুযোগ পেয়েও করতে পারেনি আর্কিটেকচার কোর্স।
২০১৫ সালে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা ভর্তি হওয়ার পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সেখানেই একটি বিশেষ গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন তিনি। ইলেকট্রনিক ভেহিকেল চার্জ দেওয়ার নতুন পন্থা আবিষ্কার করেছিলেন তিনি।তার মতে এই ইলেকট্রনিক কার চার্জ করাটা ভারতের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তার আবিষ্কার করা থিওরি সফল হলে চার্জিং খরচ শূন্যে নেমে আসবে। তার প্রজেক্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।
পরে তা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনার একটি মোটরগাড়ি সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তারা এই প্রজেক্টের জন্যে এখন মোহাম্মদ আমীর আলীকে বার্ষিক ৭০ লক্ষ টাকা বেতনে চাকরি দিয়েছে। এদিকে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় জানাচ্ছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোন ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী এই প্রথম বারের মত এত বেতন পেলো।
এ বিষয়ে আমির আলীর বাবা ইলেক্ট্রিশিয়ান শামসাদ আলী জানান, “আমির ছোট বেলা থেকেই বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও বিদ্যুতের কাজ নিয়ে এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতো যা আমি ইলেক্ট্রিশিয়ান হয়েও উত্তর দিতে পারতাম না। আমি সবসময় তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে বলেছি। তার জন্য আমি আজ খুব খুশি। ”
এদিকে গবেষণা পত্র নিয়ে আমির বলেন, “ইলেকট্রিক গাড়ি আমার প্যাশন। ভারতে এই গাড়িগুলোর চার্জিং অবকাঠামোগত অভাব মূল সমস্যা। আমি যদি আমার গবেষণায় সফল হই তবে বৈদ্যুতিক যানবাহন চার্জের ব্যয় প্রায় শূন্য হয়ে যাবে।
No comments: