দুদকের দায়ের করা ২১৬৮টি মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন
করোনার কারণে থেমে আছে দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থপাচারসহ ২ হাজার ১৬৮টি মামলা এখন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। ভার্চুয়াল কোর্টে গুরুত্বপূর্ণ মামলার জামিন শুনানি হলেও করোনায় প্রায় ৪ মাস ধরে থমকে আছে এসব মামলার বিচার প্রক্রিয়া।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন, নিয়মিত আদালত চালু হলে দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে।
ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানসহ সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে প্রভাবশালী বেশ কিছু ব্যক্তি গ্রেপ্তার আছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য ফাঁকি, অর্থপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। বেশ কিছু মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজনের মামলার জামিন শুনানি হয়েছে উচ্চ আদালতে।
করোনায় উচ্চ আদালত বন্ধ আছে প্রায় চার মাস। ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে চলছে জামিন শুনানি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার কাজ। তাই থমকে আছে দুর্নীতি মামলার বিচার প্রক্রিয়া।
দুদকের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে:
উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দুই হাজার ১৬৮ টি। এরমধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে ১ হাজার ৭শ ৪৯ টি। আর আপিল বিভাগে বিচারধীন ৪শ ২৮ টি মামলা। হাইকোর্ট বিভাগে মামলা নিষ্পত্তির হার ৬ দশমিক ছয় দুই শতাংশ এবং আপিল বিভাগে ২ দশমিক এক শূন্য শতাংশ।
তবে রুপপুরের বালিশ কান্ড, ফারর্মাস ব্যাংক, পর্দা কেলেঙ্কারির মামলার কিছু জামিন আবেদন শুনানি হয়েছে ভার্চুয়াল হাইকোর্টে।
এই প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানায়, দুদকের এখনো অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ মামলা পেন্ডিং আছে, যেমন মানি লন্ডারিং এর মামলা, সাম্প্রতিক ক্যাসিনো বিরোধী মামলা, এর মধ্যে অনেক গুলির স্টে পেয়েছেন অনেক গুলির স্টে পাননি।
উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বড় পুকুরিয়া, গ্যাটকো, নাইকো মামলা।
এই প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানায়, খালেদা জিয়ার দুটো মামলা আপিল বিভাগে পেন্ডিং, একটি মামলা হাইকোর্টে পেন্ডিং। এছাড়াও গ্যাটকো, নাইকো, বড়পুকুড়িয়ার মামলা ট্রায়ালে আছে।
দুদকের এই আইনজীবী জানান, নিয়মিত বেঞ্চ চালু হলে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির উদ্যেগ নেয়া হবে।
No comments: