বেড়েই চলেছে নদ-নদীর পানি, তীব্র হচ্ছে ভাঙন
দেশের বেশকিছু জেলায় নদ-নদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি ভাঙন তীব্র হচ্ছে। এতে আরও অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। বন্যা পূর্বভাস কেন্দ্র জানায়, ২০টি নদ-নদীর ৩০টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে পানি।
পানি বাড়ছে ঢাকার আশপাশের অঞ্চলে। ধামরাই, গাজীপুর, দোহারে পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষেত।
সিরাজগঞ্জে যমুনার ভাঙন ও নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে, প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এছাড়া রাজবাড়ীর তিনটি পয়েন্টে পদ্মার পানি বাড়ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৯ হাজার পরিবার।
বাঁধের বেহাল দশা গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে। বোঁচাদহ গ্রামের উত্তরপাড়ায় বাঁধ ভেঙে ৩টি ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম এখন পানির নিচে।
তিস্তা, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও পানিবন্দী ৬ উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়ন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় তাদের এই দুর্ভোগ।
পানি কমেছে কুড়িগ্রামে। তবে এখনও বিপৎসীমার উপরে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি। ২১ দিনে পানিতে ডুবে মারা গেছে ২১ জন। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তার কথা জানান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
বাঁধ ভাঙায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে নাটোরের সিংড়ায়। তবে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বগুড়ায় যমুনার পানি কমলেও এখনও জলাবদ্ধ অন্তত সোয়া লাখ মানুষ।
আরও অবনতি হয়েছে দেশের মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি। শরীয়তপুরে ৪৮টি ইউনিয়নের ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। মাদারীপুরে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় ইউপি ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ঝুঁকিতে বিভিন্ন স্থাপনা। ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন ৪ ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী মানুষ।
রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরে পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৭টি জেলার ২০ টি নদীর ৩০ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে বইছে।
No comments: