Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » রূপকথার চেয়ে কম ছিল না প্রণববাবুর যাত্রাপথ




শুরু থেকেই আমাকে স্নেহ করতেন। আর প্রণববাবুর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং ব্যক্তিত্ব প্রথম থেকেই আমাকে খুব আকৃষ্ট করত। ফাইল চিত্র। ভারতের রাজনীতির সর্বোচ্চ অলিন্দে যাঁদের ঘোরাফেরা করতে দেখেছি, তাঁদের মধ্যে যোগ্যতমদের তালিকায় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম আমাকে রাখতেই হবে। আজ প্রণব মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে লিখতে গিয়ে যখন তাঁর গোটা রাজনৈতিক জীবনটার দিকে তাকাচ্ছি, তখন সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে ধরা দিচ্ছে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাপথটা। বিরাট মাপের জননেতা ছিলেন বা এক ডাকে লাখ লাখ লোক জমিয়ে দিতে পারতেন, এ রকম কথা প্রণব মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে কেউই বোধহয় বলবেন না। কিন্তু একটা দীর্ঘ যাত্রাপথ যে ভাবে অতিক্রম করে তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ পর্যন্ত পৌঁছে তবে থেমেছিলেন, সেটা অনেকের কাছেই ঈর্ষণীয়। জনভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে সম্ভব হয়েছিল সেটা? সম্ভব হয়েছিল শুধু পরিশ্রমে আর আনুগত্যে। ১৯৬৯ সাল থেকে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পথচলা শুরু। আমরাও তখন সক্রিয় রাজনীতিতে, তবে সেটা ছাত্র রাজনীতি। বছর তিনেক পরে, মানে ১৯৭২ সালে প্রণববাবু বাংলা কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসে এলেন। তখন থেকেই আমি ওঁর পরিচিতের বৃত্তে ঢুকে পড়েছিলাম। শুরু থেকেই আমাকে স্নেহ করতেন। আর প্রণববাবুর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং ব্যক্তিত্ব প্রথম থেকেই আমাকে খুব আকৃষ্ট করত। আগেই বললাম যে, শুরু থেকেই আমি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্নেহের পাত্র ছিলাম। সেই স্নেহ কী ভাবে বর্ষিত হয়েছিল, আজ আর তা বলতে কোনও দ্বিধা নেই। ১৯৭৩ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রথম বার দেশের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান। তখন উপমন্ত্রী পদ ছিল। এখন আর সে পদ নেই, উঠে গিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রিসভায় প্রণববাবুর প্রবেশ ঘটেছিল ওই পদ দিয়েই। আর সে বছরই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে আমারও পদপ্রাপ্তি। আমাকে তিনি একটা সরকারি কোম্পানির ডিরেক্টর পদে বসিয়ে দিয়েছিলেন। খুব খারাপ সময়েও ইন্দিরা গাঁধীকে ছেড়ে যাননি প্রণববাবু। ফাইল চিত্র। যাই হোক, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক যাত্রাপথের কথায় আসি আবার। খুব কম সময়ের মধ্যে দ্রুত উত্থান ঘটতে দেখছিলাম তাঁর। ১৯৭৩ সালে উপমন্ত্রী, ১৯৭৪ সালে রাষ্ট্রমন্ত্রী, আর ১৯৭৫ সালে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী— বছর দুয়েকের মধ্যে এই ভাবে হু হু করে ক্ষমতাবান হয়ে উঠছিলেন প্রণববাবু। এর পরে এল জরুরি অবস্থা এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী ও তাঁর পুত্র সঞ্জয় গাঁধীর আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠলেন তিনি। এমনিতেই জরুরি অবস্থা গোটা দেশে নিন্দিত হচ্ছিল। যত দিন যাচ্ছিল, ইন্দিরাজি ততই বিতর্কের চক্রব্যূহে জড়িয়ে যাচ্ছিলেন। সঞ্জয় গাঁধী সম্পর্কে জনমানসে আরও সাংঘাতিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছিল। সেই সময়টাতেই ইন্দিরা গাঁধী আর সঞ্জয় গাঁধীর খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পক্ষে আদৌ ইতিবাচক হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করাই বাহুল্য। কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায় যে সে সময়েই ক্ষমতার সর্বোচ্চ অলিন্দে ঘোরাফেরা শুরু করে দিয়েছিলেন, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। আরও পড়ুন: ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ থেকে ‘মিস্টার ইনডিসপেনসেবল’ জননেতা হিসেবে কতটা সফল ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, তা নিয়ে আজ অনেকে অনেক কাটাছেঁড়া করতেই পারেন। সে কাটাছেঁড়া খুব অবান্তর, এমন কথাও বলব না। তবে জরুরি অবস্থার সময়ে ইন্দিরা-সঞ্জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছনো এবং তার পরেও ওই পরিবারের প্রতি আনুগত্যে অটল থাকাই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পরবর্তী উত্থানকে আরও সুনিশ্চিত করেছিল। জরুরি অবস্থার পরে যে নির্বাচন হয়েছিল দেশে, ১৯৭৭-এর সেই নির্বাচন শুইয়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। সেই বিরাট পরাজয়ের পরে অধিকাংশ বড় বড় কংগ্রেস নেতা ইন্দিরাজিকে ছেড়ে যেতে থাকলেন। কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায় ছেড়ে গেলেন না। পরে বছর অর্থাৎ ১৯৭৮ সালে কংগ্রেস ভাগ হয়ে গেল। কেউ নেই ইন্দিরাং গাঁধীর পাশে। রাজনৈতিক পণ্ডিতরা ভবিষ্যদ্বাণী করতে শুরু করেছে যে, রাজনৈতিক সন্ন্যাস ছাড়া আর কোনও পথ নেই ইন্দিরার সামনে। কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায় তখনও সিদ্ধান্তে অটল, তিনি তখনও ইন্দিরা গাঁধীর পাশে। আমি খুব কাছের ছিলাম প্রণববাবুর, কিন্তু তখন আমাদের সঙ্গেও তাঁর মতভেদ হল। তিনি আমাদের সঙ্গে এলেন না। তাঁর মনে হয়েছিল, আমরা তাঁকে অসম্মান করব। তার প্রশ্নই ছিল না। প্রণব মুখোপাধ্যায়কে বরাবর সম্মান করে এসেছি। তাঁকে অসম্মান করার কথা ভাবতেই পারিনি কখনও। প্রণব মুখোপাধ্যায় বিরাট রাজনীতিক ছিলেন। কিন্তু সর্বোচ্চ রাজনীতিক হয়ে বাকিদের সবার মাথার উপরে ছাতা হয়ে থাকার মতো রাজনীতিক তিনি বোধহয় ছিলেন না— আমাদের রাজনৈতিক সহকর্মীদেরই কারও কারও মত ছিল এ রকম। প্রণববাবু কোনও বড় ছাতার তলায় থেকে রাজনীতি করতেই বরং বেশি স্বচ্ছন্দ ছিলেন বলে তাঁরা মনে করতেন। তাই ১৯৮০ সালেই দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন যিনি, পরবর্তী তিন-সাড়ে তিন দশক সক্রিয় রাজনীতিতে বিচরণ করার পরেও সেই প্রণববাবু ওই সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড পর্যায়েই থেকে গিয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে তাঁকে দেশের অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব দেন ইন্দিরা। দ্বিতীয় মনমোহন মন্ত্রিসভাতেও প্রণব অর্থমন্ত্রী ছিলেন, রাষ্ট্রপতি পদে বসার আগে পর্যন্ত। ফাইল চিত্র। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত ইন্দিরা গাঁধীর যে দুঃসময়, সে সময়টাতেও ইন্দিরাজির প্রতি আনুগত্যে অবিচল থাকার পুরস্কারটাই ১৯৮০ সালে পেয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ১৯৮০-তে ক্ষমতায় ফিরেই প্রণবকে ইন্দিরা ক্যাবিনেট মন্ত্রী করেছিলেন। একাধারে দেশের অর্থমন্ত্রী এবং রাজ্যসভার নেতা। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরাজি নিহত হওয়ার আগে পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড তিনিই। কিন্তু ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুর পরে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ঘোর দুর্দিন শুরু হয় কংগ্রেসে। রাজীব গাঁধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম দিকে তিনি কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হন। আলাদা দল গড়ে নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত জনভিত্তির ওজন কতটুকু, সে সময়েই সম্ভবত আরও ভাল ভাবে তা তিনি বুঝে গিয়েছিলেন। তাই কংগ্রেসে ফেরার চেষ্টাও শুরু করে দিয়েছিলেন অচিরেই। রাজীব গাঁধীর নেতৃত্বাধীন সেই কংগ্রেসে ফেরার পথ খুব সহজ ছিল না প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্য। অন্তত বছর চারেক তাঁকে কংগ্রেসের বাইরেই থাকতে হয়েছিল সে সময়ে। ১৯৮৯ সালে বহু কষ্ট করে তাঁকে কংগ্রেসে ফিরতে হয়। দলে ফিরতে পারলেও আগের সেই সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অবস্থান থেকে তিনি তখন অনেক দূরে। আমরাও অনেকেই ভেবেছিলাম যে, আগেকার গৌরবময় স্থান ফিরে পাওয়া প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পক্ষে হয়তো আর সম্ভব হবে না। কিন্তু ভারতের রাজনীতি বার বার এমন অপ্রত্যাশিত বাঁক নিয়েছে যে, অনেক বড় বড় দূরদ্রষ্টার করা হিসেবও ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। রাজীব গাঁধীর আচম্বিত মৃত্যু ছিল তেমনই এক ঘটনা। ১৯৯১ সালে রাজীব গাঁধী যদি নিহত না হতেন, তা হলে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক যাত্রাপথ কোন দিকে এগতো, তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় রয়েছে। রাজীবের মৃত্যুর পরে দলে ও সরকারে নরসিংহ রাওয়ের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয় এবং সেই নরসিংহ-যুগ শুরু হতেই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুনরুত্থান শুরু হয়ে যায়। প্রথমে তিনি যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান পদ পান। তার পরে বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী হন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার বাইরে ছিল কংগ্রেস। ফলে প্রণব মুখোপাধ্যায়ও ক্ষমতার বাইরে। কিন্তু কংগ্রেসে তিনি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই ছিলেন। ২০০৪ সালে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ। মনমোহন সিংহের সেই মন্ত্রিসভাতেও প্রণববাবু নাম্বার-টু হয়ে ওঠেন। প্রথমে তিনি ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। পরে হন অর্থমন্ত্রী। তবে ক্ষমতা বা কর্তৃত্বের মাপজোখে একটানা দু’নম্বরে। ২০১২ সালে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে চলে গিয়ে সক্রিয় রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার আগে পর্যন্তই তিনি থেকে গিয়েছিলেন ওই অবস্থানে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে এসে, একের পর এক ধাপ পেরিয়ে, দেশের সর্বোচ্চ পদে তাঁর বসাটা রূপকথার চেয়ে কম কিছু ছিল না। ফাইল চিত্র। রাষ্ট্রপতিত্ব আর একটা নতুন পর্ব ছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জীবনে। রাষ্ট্রপতি পদে অনেককেই দেখেছে ভারত। কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো সর্বোচ্চ স্তরের ক্ষমতাধর রাজনীতিককে রাষ্ট্রপতি পদে বসতে খুব একটা দেখা যায়নি। ফলে দেশের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে শুধুমাত্র নিয়মতান্ত্রিক শীর্ষ পদাধিকারী হয়ে থেকে যাননি প্রণববাবু। তিনি রাষ্ট্রপতি পদে বসে প্রকৃত অর্থেই দেশের এবং রাজনীতির অভিভাবক হয়ে উঠেছিলেন। ২০১২ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তার আগে পর্যন্ত যে প্রায় সাড়ে চার দশক তিনি দেশের রাজনীতিতে অতিক্রম করেছিলেন এবং ক্ষমতার অলিন্দে তাঁর যে রকম উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল, তাতে রাষ্ট্রপতি পদে গিয়ে সক্রিয় রাজনীতি থেকে প্রস্থানই ছিল তাঁর জন্য যোগ্যতম পথ। তা ছাড়া বীরভূমের একটা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে এসে একের পর এক ধাপ পেরিয়ে পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ পদে বসা কোনও রূপকথার চেয়ে কম কিছু ছিল না। ভারতের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে নিজের মেয়াদ সসম্মানেই পূর্ণ করেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তার পরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে প্রস্থান করেছিলেন। তাঁর সে প্রস্থানকে মহাপ্রস্থান বলাই বোধহয় ভাল হবে। কংগ্রেসি রাজনীতিতে বরাবর যা গুরুত্ব পেয়ে এসেছে, সেই পারিবারিক গরিমা কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছিল না। যদিও তাঁর বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। কিন্তু দেশের নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা অন্যান্য অনেক কংগ্রেসি মহারথীদের ক্ষেত্রে যে পারিবারিক আভিজাত্যই ছিল সবচেয়ে বড় সম্বল, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে কিন্তু তা ছিল না। খুব কাছ থেকে দেখার কারণে আমি জানি, তাঁর সাফল্যের পিছনে ছিল তাঁর অসাধারণ স্মৃতিশক্তি, তাঁর মেধা এবং তাঁর পরিশ্রম করার ক্ষমতা। যখন যে দায়িত্বই পেয়েছেন, সেটাকেই সর্বোচ্চ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতি পদে চলে যাওয়ার আগে শেষ তিন বছর, অর্থাৎ ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তাঁকে লোকসভার নেতা হিসেবে দেখেছি আমি। তাঁর বাগ্মিতায় মুগ্ধ হয়েছি। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যিনি, তিনিও প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সম্মান করতেন, নানা বিষয়ে তাঁর উপদেশ নিতেন। এক কথায় যদি বলি, তা হলে ভারতীয় জনজীবনে প্রণব মুখোপাধ্যায় ছিলেন প্রবল ভাবে প্রতিষ্ঠিত একটা নাম। এত কিছুর পরেও শিকড়কে ভোলেননি কখনও। দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে এত বছর বিচরণ করেও খাঁটি বাঙালিই থেকে গিয়েছিলেন শেষ দিন পর্যন্ত। সেই ধুতি-পাঞ্জাবিই ছিল প্রিয় পোশাক। পুজোর সময়ে বীরভূমে নিজের গ্রামের বাড়িতে ফিরে পারিবারিক দুর্গোৎসবে তন্ত্রধারক হওয়াই ছিল তাঁর জীবনের নিয়ম। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর সে অর্থে আর সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন না। কিন্তু তবু যেন থেকে গিয়েছিলেন রাজনীতির অভিভাবক হয়ে। তাই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের চলে যাওয়া ভারতীয় রাজনীতিতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করল। (লেখক লোকসভার তৃণমূল সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী)






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply