ওয়েলসকে ৩-০ গোলে হারাল ইংল্যান্ড
ওয়েম্বলিতে সৌরভ ছড়িয়েছে নতুনরা। তারুণ্যনির্ভর ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে ওয়েলস। দারুণ জয়ে নেশন্স লিগের আগে নিজেদের প্রস্তুতিটা ভালোভাবে সেরে নিল থ্রি লায়নরা।
ওয়েম্বলিতে দুই প্রতিবেশীর লড়াই। মাঠের উত্তাপ উপভোগের সুযোগ কেড়ে নিয়েছে করোনা নামক অদৃশ্য শত্রু। তাই টিভি পর্দাই ভরসা সমর্থকদের। ম্যাচের শুরুতে জ্যাক চার্লটনসহ ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের চার সদস্য যারা পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন এ বছরে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওয়েলস বধে নামে ইংল্যান্ড।
শেষ পাঁচ ম্যাচেই ওয়েলসকে হারানোর সুখস্মৃতি আছে ইংলিশদের। তবে, উয়েফা নেশন্স লিগে ইংলিশদের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থায় আছে ওয়েলস।
আসরের আগে প্রীতি ম্যাচে গ্যারেথ সাউথগেটের তারুণ্যনির্ভর দলের সঙ্গে সমানতালেই লড়াই করেছে গিগসের ওয়েলস। শুরুটায় ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি দু'দলের কোনো ফুটবলারই।
অবশেষে ২৬ মিনিটে দর্শকবিহীন ওয়েম্বলির রাতের আকাশ আলোকিত করে তোলেন ২৩ বছরের এক তরুণ। নাম তার কালভার্ট লুইন। ২০১৬ সালে শেফিল্ড ইউনাইটেড ছেড়ে এভারটনে পাড়ি জমিয়েছিলেন স্বপ্ন পূরণের আশায়। সাউথগেট হীরা চিনতে ভুল করেননি। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েই সবার হৃদয়জয় করে নিলেন কালভার্ট। দুর্দান্ত হেডে করা গোল থেকেই লিড পায় ইংল্যান্ড।
ম্যাচে ফিরতে একের পর এক মন্ত্র দিয়ে গেছেন রায়ান গিগস। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেনি ওয়েলস। সমতাও ফেরাতে পারেনি বেন ডেভিসরা। উল্টো ৫৩ মিনিটে আবারও ওয়েম্বলিতে আবারও ইংল্যান্ড ম্যাজিক। এবার গোলের নায়ক কনর কোডি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এটিই তার প্রথম গোল।
কোডির গোলের রেশ তখনো কাটেনি। ১০ মিনিট পর গিগসকে হতাশ করে বাইসাইকেল কিকে মনোমুগ্ধকর আরও এক গোল করেন ড্যানি ইংস। চেষ্টা করেও আটকাতে পারেননি ওয়েলস গোলরক্ষক। ইংসেরও জাতীয় দলের হয়ে এটিই প্রথম গোল। ইংল্যান্ডের ফুটবল ইতিহাসে শেষ ৪৪ বছরে এই প্রথম এক সঙ্গে তারুণ্যের এমন জয়গান দেখল ফুটবল দুনিয়া। আর নবীনদের কল্যাণে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংল্যান্ড।
Tag: Advertisement games
No comments: