Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » জাতির পিতার ভাস্কর্য ইস্যুতে সরব হচ্ছে আ.লীগ




দেরিতে হলেও জাতির পিতার ভাস্কর্য ইস্যুতে সরব হচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলটি বলছে, ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনও আঁতাত বা সমঝোতা করছে না সরকার। সময়মতো এসব কর্মকাণ্ডের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে রাজনৈতিকভাবে। তবে বুদ্ধিজীবী মহলের দাবি, শুধু জন্মশতবার্ষিকীতেই নয়, বঙ্গবন্ধুকে হেয় করার যে কোনো ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে আরও বেশি সোচ্চার থাকার দায়িত্ব নিতে হবে আওয়ামী লীগকেই। বাংলাদেশের স্রষ্টা, স্বাধীন দেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণে বাধা দেওয়ার ইস্যুতে, গত সপ্তাহ থেকেই বিরোধিতার নতুন উন্মাদনায় মেতেছে দেশের বেশ কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন। তাদের দাবি, ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের কোনও উদ্যোগ তারা সফল হতে দেবে না দেশে। মুসলিম দেশ সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া মতো জায়গায় ভাস্কর্যের ব্যবহার পুরনো হলেও বাংলাদেশে এর বিরোধীতায় নেমেছে খেলাফতে মজলিসের মতো কিছু ধর্মীয় সংগঠন। মূর্তি ও ভাস্কর্যের পার্থক্যও মানতে নারাজ এমন দলগুলোর অনুসারীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূর্তি ও ভাস্কর্যের অপব্যাখ্যায় জাতির পিতাকে পরিকল্পিতভাবে হেয় করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দাঁড়িয়ে যখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করা হয়। তখন এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে মাঠে না নামে; তার মানে হচ্ছে এদেশে আরেকবার পাকিস্তানকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে দেশকে ধাবিত করা হবে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুকে খলনায়ক হিসেবে জনগণের সামনে পরিচিত করার একটা ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে। এর জন্য কে দায়ী হবে? হেফাজত যতটা দায়ী তার চেয়ে আমি সরকারকে দায়ী করব। ধর্মকে ব্যবহার করে ভাস্কর্য নির্মাণে বাধা দিয়ে, পশ্চাৎগামী গোষ্ঠী গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে বলেও মনে করেন বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ। শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, আওয়ামী লীগের একজন নেতা এটা নিয়ে কথা বলেনি। কেন বলেনি? তাদের শরীরে কি বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারীর রক্ত নেই। তারা কি বঙ্গবন্ধু আদর্শের অনুসারী নন। এ প্রশ্নটা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগকে করতে পারি? মেসবাহ আরও বলেন, ধর্মের নামে যখন ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলা হয়। তখন ধর্মের নাম নিয়ে রাজনীতির হাতিয়ার ব্যবহারের চেষ্টা হয়। জাতির পিতাকে অবমাননার এমন ঘটনায় কী ভাবছে আওয়ামী লীগ ? এমন প্রশ্নের জবাবে দলের এই নেতা বলছেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের মোকাবিলা করা হবে সাংগঠনিকভাবেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠকিকভাবে কোনও কর্মসূচির প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। এদের সঙ্গে কোনও আপস নেই। কোনও সমঝোতার প্রয়োজন নেই। অতীতে যেভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে, ভবিষ্যতে একইভাবে করা হবে। দেশের সফলতা ও সক্ষমতায় ঈর্ষান্বিত গোষ্ঠী, ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে কাজে লাগিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইলেও, তা রুখে দেওয়ার সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply