ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে এল ৩০টি অজগর সাপ
ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে এল অজগর সাপ। তাও দু-একটি নয়, পাওয়া গেল মোট ৩০টি অজগর সাপ। নির্ধারিত স্থানে পৌঁছানোর আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় পাচারকারীসহ ওই সাপগুলো। পাচারকারীরা এই সাপকে পোষা প্রাণী হিসেবে বিক্রির জন্য নিয়ে আসতেছিল। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের শিয়ালদহ রেলস্টেশনে। পাচারকারী ভারতের খিদিরপুরের বাসিন্দা সুলতান। শিয়ালদহ রেল পুলিশ সুপার বি ভি চন্দ্রশেখর ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে আসাম থেকে কলকাতায় পাচার করা হচ্ছিল সাপগুলোকে। শিয়ালদহ স্টেশনে পুলিশ তল্লাশি করে ব্যাগ থেকে ৩৩টি সাপ উদ্ধার করে। এ সময় ব্যাগে দীর্ঘক্ষণ থাকায় মারা যায় তিনটি সাপ। বাকি ৩০টি সাপ জীবিত থাকায় সেগুলোকে আলিপুর চিড়িয়াখানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সুলতানকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচার চক্রের সন্ধান শুরু করেছে ভারতীয় রেল পুলিশ। শিয়ালদহ পুলিশ কমিশনার নাসিম আখতার ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রেকিং ব্যাগে বালিশের খোলের মধ্যে দুই থেকে তিনটি করে সাপ আনা হচ্ছিল। বাচ্চা সাপগুলো দুই ফুট বা আড়াই ফুট হয়। কাঞ্চনজঙ্ঘা শিয়ালদহ আসার পর সন্দেহজনক পাচারকারীকে ধরে ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে সাপ। এ সময় ভয় পেয়ে যান যাত্রীরাও। ভারতীয় বন দফতরের কর্মীদের ধারণা, আসাম বা উত্তরবঙ্গের জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করে সেগুলোকে কলকাতায় পাচার করা হচ্ছিল। অজগত্র সাপ পাঁচ থেকে ছয় ফুট লম্বা হয়। আর্থিক সংগতিপূর্ণ মানুষ অনেকেই বাড়িতে অজগর সাপ পুষে থাকেন। দেশে ও বিদেশে চাহিদা থাকায় এই সাপ পাচার করা হয়। বিক্রি হয় মোটা দামেও। সাপগুলোকে কলকাতা হয়ে কোথায় পাচার করার কথা ছিল। কারা এই পাচারে যুক্ত তা জানতে ভারতীয় রেল পুলিশ গ্রেফতারকৃত সুলতানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এই পাচার চক্রের সন্ধান মিলবে বলে ভারতীয় পুলিশের পক্ষে আশা করা হয়েছে।Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments: