Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মগবাজারে বিস্ফোরণ গ্যাস থেকেই হয়েছে, ধারণা পুলিশের




ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেছেন, মগবাজারের দুর্ঘটনা গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাস লাইন, এসি বিস্ফোরণ অথবা বিদ্যুৎ থেকে হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তিনি আরও বলেন, অন্য কিছুর আলামত পাওয়া যায়নি। তবে যে সমস্ত আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে তা ফরেনসিক করলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এখানে কোনো আশঙ্কাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কী কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। আমাদের অনেকগুলো টিম কাজ করছে। নাশকতার আশঙ্কা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটও এখানে এসেছে। তারা তাদের এঙ্গেল থেকে কাজ করছে। বিস্ফোরণের ভয়াবহতা বর্ণনায় তিনি জানান, এই বিল্ডিংটা ভেঙে বহুদূরে চলে গেছে। দরজা-জানালা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে বহু দূরে চলে যায়। আমার ধারণা যে এই বিল্ডিংয়ের ভেতরে কোনো একটা রুম গ্যাস চেম্বার হয়ে গিয়েছিল। সেখানে ফায়ার ওপেন করেছে এবং সাথে সাথেই এই বিস্ফোরণটা হয়েছে। এই গ্যাসটা বহুদূর চলে যায় এবং একটা লাইনে যা পায় সব গুঁড়ো করে দিয়ে যায়। অতীতেও আমি এমন দুই-তিনটা ঘটনা দেখেছি। তিনি আরও বলেন, আমার অভিজ্ঞতা আরও যে কয়েকটা দেখেছি, এখানে ব্যাপকতাটা অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে সুর্নিদিষ্ট করে কিন্তু কোনোভাবেই বলা যাবে না এটা গ্যাস চেম্বার থেকে হয়েছে বা রুম গ্যাস চেম্বার হয়ে গিয়েছিল। এক্সপ্লোসিভও হতে পারে। একটু সময় দিতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আছে, কোথাও কোনো আলামত বা বিস্ফোরণের গন্ধ পাওয়া যায় নাকি। কিছু সময় পরে এটা উদঘাটিত হয়ে যাবে। এদিকে, মগবাজার ওয়ারলেস গেট এলাকায় ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, যে তিনজন খুবই আশঙ্কাজনক, তাদের শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে। এত খারাপ অবস্থাতেই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে তাদের চিকিৎসা চলছে। এছাড়া বাকি আহতদের অনেকেরই হাত-পা বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে গেছে। এদের মধ্যে আগুনে পোড়া ছাড়া যারা আছেন, তাদের আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠিয়ে দেব। এছাড়াও বিস্ফোরণের উৎসস্থলের ভবনটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত থাকা ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে এ আশঙ্কার কথা জানান। তিনি জানান, ভবনটি এই মুহূর্তে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা নিজেরাও ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছি। এই কর্মকর্তা আরও জানান, ওয়ারলেস গেটের কাছে যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটির নিচতলা অনেকাংশে দেবে গেছে। এই ভবনে থাকা শরমা হাউজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এর নিচ তলায় বেঙ্গল মিটের একটি শোরুম ছিল। সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণ কী কারণে হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা জানান, এটি এখনো আমরা কোনোভাবেই ডিটেক্ট করতে পারছি না। তবে ধারণা করছি এটি গ্যাস জমে থাকার কারণে কোনো বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে এটি এমন এক বিস্ফোরণ, আমরা এ যাবৎ এমনটা দেখিনি। বাংলাদেশে এটা আর কখনো হয়নি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply