‘অসাধারণ অভিজ্ঞতা’ নিয়ে মহাকাশ থেকে ফিরলেন বেজোস
বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোস। শুধু তাই নয়, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি তিনি। স্বপ্ন দেখতে ও তা পূরণে অর্থ ঢালতে কার্পণ্য করেন না ধনীরা। বেজোসও ব্যতিক্রম নন। স্বপ্ন ছিল হয়েছে মহাকাশে যাবেন। সেই স্বপ্ন পূরণে নিজের কোম্পানি গড়েছেন। সেই কোম্পানি বানিয়েছে রকেট। নিজের কোম্পানির বানানো রকেটে চড়ে আজ মঙ্গলবার ঘুরে এলেন মহাকাশে। ফিরে এসে বেজোস বললেন, এটা খুবই আনন্দদায়ক একটি অভিজ্ঞতা। এটা জীবনের সেরা দিন।
ব্লু অরিজিনের যাত্রা
মহাকাশ নিয়ে বেজোস স্বপ্ন দেখেছিলেন বেশ আগেই। বুঝতে পেরেছিলেন, ভবিষ্যৎ বিশ্বে মহাকাশ ব্যবসাটা বেশ জমে উঠবে। সময়টা ২০০০ সাল। স্বপ্ন পূরণে ব্যবসায়ী বেজোস গড়ে তুললেন মহাকাশ সংক্রান্ত কোম্পানি ব্লু অরিজিন। শুরু থেকেই মহাকাশ যাত্রাকে তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল করতে উদ্যোগী হয় কোম্পানিটি। মহাকাশ পর্যটনকে জনপ্রিয় করতে ব্লু অরিজিনের মাধ্যমে কাজ শুরু করেন বেজোস।
২০১৯ সালে বেজোস জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে নতুন করে মানুষ পাঠাবে ব্লু অরিজিন। একই সঙ্গে তিনি নিজেও মহাকাশে ভ্রমণ করবেন বলে জানান। সেই থেকে চলছিল প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে ব্লু অরিজিন মহাকাশে মানুষ নিতে বানিয়ে ফেলেছে বিশেষ রকেট নিউ শেপার্ড। এই রকেটে চড়েই আজ মহাকাশ ভ্রমণের স্বপ্ন পূরণ করেছেন বেজোস।
বিজ্ঞাপন
স্বপ্ন পূরণের ১০ মিনিট
বেজোসের স্বপ্ন পূরণের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ছিল আজ। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম টেক্সাসের ভ্যান হর্নের নিজস্ব উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে সকাল ৯টা ১২ মিনিটে বেজোস ও তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে নিউ শেপার্ড রকেট মহাকাশের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে।
মহাকাশ যাত্রায় বেজোসের সঙ্গী হয়েছেন আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর ছোট ভাই মার্ক বেজোস। রয়েছেন বিশ্বের প্রথম দিককার বিমানচালক ৮২ বছরের ম্যারি ওয়ালেচ (ওয়্যালি ফাঙ্ক নামে সমধিক পরিচিত) এবং নেদারল্যান্ডসের একটি প্রাইভেট ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সিইওর ১৮ বছরের ছেলে ওলিভার ড্যামেন।
উৎক্ষেপণের পর প্রায় ৭৬ কিলোমিটার গিয়ে তাঁদের বহনকারী ক্যাপসুলটি রকেট থেকে আলাদা হয়। পরে উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ২ মাইল দূরে রকেটটি নিরাপদে নেমে আসে। আর ক্যাপসুলটি বেজোস ও তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও মহাকাশের সীমানা টানা কারমান লাইন অতিক্রম করে। ১০৬ কিলোমিটার বা ৩ লাখ ৫০ হাজার ফুট ওপরে উড়ে যায় সেটি। এরপর ১০ মিনিটের মহাকাশযাত্রা শেষে আরোহীদের নিয়ে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
সঙ্গী ছিলেন তিনজন
মহাকাশ যাত্রায় বেজোসের সঙ্গী হয়েছেন আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর ছোট ভাই মার্ক বেজোস। ৫৩ বছর বয়সী মার্ক নিউইয়র্কভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান রবিন হুডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এই যাত্রায় বেজোসের সঙ্গী হয়েছেন বিশ্বের প্রথম দিককার বিমানচালক ৮২ বছরের ম্যারি ওয়ালেচ (ওয়্যালি ফাঙ্ক নামে সমধিক পরিচিত) এবং নেদারল্যান্ডসের একটি প্রাইভেট ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সিইও জোয়েস ড্যামেনের ১৮ বছরের ছেলে ওলিভার ড্যামেন।
Tag: world
No comments: