জাতিসংঘে কাশ্মীর, রোহিঙ্গা ও উইঘুর নিয়ে সরব এরদোগান
জাতিসংঘের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কয়েক দশকের কাশ্মীর বিতর্কের সমাধান চেয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এছাড়া চীনের উইঘুর ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যার কথাও তিনি তুলে ধরেন তিনি।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে তিনি বলেন, কাশ্মীরের ৭৪ বছরের সংকটের সমাধানের পক্ষে নিজেদের অবস্থান আমরা বজায় রেখেছি। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এবং জাতিসংঘের প্রস্তাব-সংশ্লিষ্ট কাঠামোর মধ্যে থেকে হিমালয় অঞ্চলের সংকটের সমাধান হওয়া উচিত।
ডন অনলাইন ও টাইমস অব ইন্ডিয়া এমন খবর দিয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রতিবছর নিয়মিতভাবেই কাশ্মীর সংকটের বিষয়টি তুলে ধরতে দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে। ৭৪তম অধিবেশনে তাকে বলতে শোনা গেছে, কাশ্মীর এখনো একটি জ্বলন্ত ইস্যু। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ।
অধিকৃত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর সংকট আরও চরম রূপ নিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। কাশ্মীরের পক্ষে তার শক্ত অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি বলছে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
এদিকে এরদোগানের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন ওয়াশিংটনভিত্তিক কাশ্মীর অ্যাওয়ারনেস ফোরামের মহাসচিব ডা. গুলাম নবি ফাই। তিনি বলেন, তুর্কিশ প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে কাশ্মীরি জনগণ উৎসাহিত হবেন। সব পক্ষের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান করতে হবে।
অস্থিতিশীল সংকটের স্থায়ী সমাধান ও শান্তি আনতে এটিই একমাত্র পথ বলে মনে করেন তিনি। ফাই বলেন, কাশ্মীরিদের শান্তির অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে চার সাংবাদিকের বাড়িতে অভিযান, ডেকে নিয়ে জেরা
গেল বছর পাকিস্তান সফরেও কাশ্মীর সংকটের বিষয়টি তুলেছেন এরদোগান। তবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, এরদোগানের বক্তব্যে ইতিহাস নিয়ে তার বোঝাপড়া কিংবা কূটনৈতিক আচরণের প্রতিফলন ঘটছে না। এতে তুরস্কের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাকিস্তানের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে ন্যায্যতা দিতে তুরস্কের নিয়মিত এসব পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করছে ভারত।
এরদোগান তার বক্তব্যে চীনে উইঘুর মুসলমান ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, উইঘুর মুসলমানদের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষায় আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
উইঘুর মুসলমানদের ওপর গণহত্যার অভিযোগে তুরস্ক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এরদোগান বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে আমরা সমর্থন দিচ্ছি। বাংলাদেশের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা এসব রোহিঙ্গার নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে।
Tag: English News Featured world
No comments: