Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ৬২ বছর ধরে পানির তলায় ডুবে রয়েছে চীনের শহরটি




৬২ বছর ধরে পানির তলায় ডুবে রয়েছে শহরটি বিশাল এক শহর। শহরের মাঝ দিয়ে চলে গেছে নানা রাস্তা। অলিতে গলিতে রয়েছে নানা রঙের ঢঙ্গের পাথরের বাড়ি। সেসব বাড়িতে আবার দেখা যায় ড্রাগনের কারুকার্য করা মূর্তি। সবই রয়েছে এই শহরে, শুধু মানুষের দেখা মেলে না। এর থেকেও বড় বিষয় পুরো শহরই ডুবে আছে পানিতে। দিনভর কোলাহলমুখর থাকা ওই শহরের নাম শি চেং।

এই পুরো শহর এক বিশেষ কারণেই পুরো ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের অন্তর্গত ছিল শহরটি। জমজমাট শহরটি ঝেজিয়াঙের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কাজকর্মের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল সে সময়। পানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৯৫৯ সালে বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজন ছিল। চীন সরকার ঝেজিয়াং প্রদেশের শি চেং শহরের উপকণ্ঠে বাঁধ নির্মাণ করবে স্থির করে। পানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য হ্রদের প্রয়োজন। কিন্তু ঝেজিয়াঙে তেমন কোনো হ্রদ ছিল না। বাধ্য হয়ে কৃত্রিমভাবে হ্রদ বানাতে শুরু করে চীন। শি চেং শহরটি ছিল ফাইভ লায়ন পর্বতের পাদদেশে। শহরের চারদিক পাহাড় দিয়ে ঘেরা ছিল। তাই চীন সরকার সে সময় এই শহরটিকেই হ্রদে পরিণত করার মনস্থির করে। শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া জিনান নদীকে কেন্দ্র করেই ওই হ্রদ বানানো হয়েছিল। পানি ধরে রাখার জন্য বাঁধ নির্মাণ করে এবং ওই পর্বতের পাদদেশে পানি ভরে হ্রদ বানিয়ে ফেলে চীন। এই হ্রদের পানিই নিমজ্জিত হয়ে যায় পুরো শহর। ১৩০ ফুট নীচে তলিয়ে যায় শহরটি। কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট হ্রদটির নাম রাখা হয় কুইআনদাও হ্রদ। ৬২ বছর ধরে এভাবেই পানির তলায় ডুবে রয়েছে শহরটি। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি সবই রয়েছে আগের মতোই। এই হ্রদের ওপর নির্মিত বাঁধটির নাম দেওয়া হয় জিনান। হ্রদ জুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে এমন এক হাজারের বেশি দ্বীপ রয়েছে। ৫৭৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে হ্রদটি। তার মধ্যে মাত্র ৮৬ বর্গ কিলোমিটার অংশ জুড়ে রয়েছে দ্বীপগুলো। জিনান বাঁধই হলো পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নির্মিত চীনের প্রথম বাঁধ। শি চেং শহরটির এখন ‘লায়ন সিটি’ নামে পরিচিত। লায়ন পর্বত থেকেই এর নামকরণ। চীনের ‘লায়ন সিটি’ যেন বাস্তবের আটলান্টিস। নিমজ্জিত এই শহরে পর্যটকরাও ঘুরে দেখতে পারেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply