ওমানে শাহিনের’ আঘাতে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু
ওমানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় শাহিন। এতে এখন পর্যন্ত এক শিশুসহ অন্তত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে অব্যাহত রয়েছে ঝড়ো বাতাস ও প্রবল বৃষ্টিপাত। এতে কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। মাসকাট বিমানবন্দরে বন্ধ রয়েছে সবধরনের ফ্লাইট ওঠানামা।
দিনভর প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ার মধ্যেই রোববার স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ ওমানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় শাহিন। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় দেড়শ কিলোমিটার। এতে এরইমধ্যে শিশুসহ বেশ কয়েকজনের হতাহতের খবরও জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ঘূর্ণিঘড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো বাতাস ও প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে আল বাতিনাহ অঞ্চলের সোহার, সাহাম, আল খাবুরা, সুয়াইকসহ বেশ কয়েকটি শহরের উপকূলীয় এলাাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যাও। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানী মাস্কাটেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে বহু রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রতিকূল আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে আল ডাহিরা, আল বুরাইমি এবং আল দাখিয়া অঞ্চলেও।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মাসকাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের বিমান ওঠানামা। দেশটির আবহাওয়া দফতর জানায়, উপকূলে আঘাত হানার পরপরই ঘূর্ণিঝড় শাহিন সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: তালেবান নেতার মায়ের দোয়া অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণ, বহু হতাহত
এর আগে প্রাণহানির আশঙ্কায় নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে। ওমানের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দুর্যোগ মোকাবিলায় আগামী দুদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।
No comments: