ইসরায়েল-আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বসছেন ব্লিংকিন
ইসরায়েলি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন।
গেল বছর আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর তার অগ্রগতি নিয়ে এতে আলোচনা হবে।
ব্রিটেনভিত্তিক মিডল ইস্ট আই এমন খবর দিয়েছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী বুধবার ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্লিংকিন। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর তাদের সঙ্গে আলাদা আলাদাও বৈঠক করবেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাসহ সহযোগিতার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করবেন কর্মকর্তারা।
কয়েক দশকের বৈরিতা থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে বিভিন্ন আরব দেশকে উৎসাহিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ব্লিংকিন।
গেল মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্থাপনের বছরপূর্তিতে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে আমিরাত, বাহরাইন ও মরোক্কোর পর আরও আরব দেশকে আমরা উৎসাহিত করব। শান্তিপূর্ণ কূটনীতির কক্ষপথকে আরও প্রসারিত করতে চাই আমরা।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে অন্যান্য দেশের মতো আচরণ করার মধ্যে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের স্বার্থ রয়েছে। আর সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের এই ক্লাবে নতুন সদস্যদের স্বাগত বলে মন্তব্য করেছেন ইয়ার লাপিদ।
গেল বছরের সেপ্টেম্বরে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আমিরাত ও বাহরাইনের চুক্তি সই হয়েছে। পরবর্তীতে সুদান ও মরোক্কোও তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
তবে এই চুক্তিকে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে সমালোচনা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাকে নসাৎ করে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন ফিলিস্তিনিরা।
ট্রাম্পের চুক্তিকে সমর্থন দিয়েছেন তার উত্তরসূরি ডেমোক্র্যাটিকদলীয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। গেল জানুয়ারিতে বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তার শীর্ষ সহযোগীরা বলছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন আরব দেশের সঙ্গে কাজ অব্যাহত থাকবে।
গেল সপ্তাহে দূতাবাস উদ্বোধন করতে মানামায় সফর করেছেন ইয়ার লাপিদ। এ সময়ে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ আল-জায়ানির সঙ্গে তিনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।
No comments: