যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে শতাধিক
যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি অঙ্গরাজ্যে স্মরণকালের ভয়াবহ সিরিজ টর্নেডোর আঘাতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন শতাধিক।
রাজ্যটির গভর্নর বলেন, নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের আশা খুবই কম। আরও লোকজনকে খুঁজে পেলে তা অলৌকিক ঘটনা ছাড়া কিছু না।
ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকে আটকা পড়ে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কেন্টাকিকে দুর্যোগ কবলিত অঙ্গরাজ্য বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রোববার সকালের যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের মেফিল্ড শহরে ভয়াবহ এক চিত্র দেখা গেছে। ভয়াবহ টর্নেডোর দুই দিন পরেও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে আছে শহরটি। পাখির চোখে দেখলে পুরো শহরটিকে মনে হবে যেনো এক মৃত্যুপুরী।
ভয়াবহ টর্নেডোর স্মৃতি ভুলতে পারছে না কেন্টাকিবাসী। সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে।
স্থানীয় এক অধিবাসী বলেন, ঘুমের মধ্যেই এমন অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের। দেয়াল ধসে ঠিক মুখের সামনে পড়েছিল। প্রার্থনা করা ছাড়া সেসময় আর কিছুই করা ছিল না আমাদের। যা ছিল সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।
শহরটিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনো অনেকে নিখোঁজ থাকায় এই সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন গভর্নর। তবে উদ্ধারকাজ দ্রুত চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোয় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪
গভর্নর অ্যান্ডি বিশির বলেন, এমন ঘটনা এই অঙ্গরাজ্যের মানুষ কখনো দেখেনি। যা ঘটেছে তা বর্ণনা করা কঠিন। এমন দৃশ্য সিনেমাতেও দেখা যায় না। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে, যেভাবে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে তা কষ্টের, কারণ এতো মানুষকে রাখার মতো মর্গ নেই মেফিল্ডের হাসপাতালে।
টর্নেডোর পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন আছেন শহরটির প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ চালিয়ে গেলেও তা ঠিক হতে কতোদিন সময় লাগবে তা জানায় নি কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে, কেন্টাকিকে দুর্যোগ কবলিত অঙ্গরাজ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সবধরণের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কেন্টাকির পাশাপাশি ইলিনয়, টেনেসি, মিসৌরি ও আরকানাসেও তাণ্ডব চালিয়েছে টর্নেডো। হতাহতের খবরও পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ ও পানিহীন অবস্থায় রয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
Tag: English News Featured world
No comments: