সামরিক ও রাজকীয় পদবি হারালেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু
যুক্তরাষ্ট্রে যৌন হয়রানির মামলার মুখোমুখি হওয়া রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দ্বিতীয় সন্তান প্রিন্স অ্যান্ড্রু তার সামরিক খেতাব ও রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা খুইয়েছেন। এখন থেকে তার পরিচয়ে রয়েল হাইনেস থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বাকিংহাম প্রাসাদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি এমন খবর দিয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে ২০১৯ সালে সব ধরনের রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন ৬১ বছর বয়সী এই ডিউক অব ইয়র্ক। এর আগে বিবিসি টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন এই রাজপুত্র।
বৃহস্পতিবারের উদ্যোগের পর সব ধরনের রাজকীয় সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন তিনি। বিবৃতিতে বাকিংহাম প্রাসাদ বলছে, রানির অনুমোদন ও সম্মতিতে ডিউক অব ইয়র্কের সামরিক খেতাব ও রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা রানির কাছেই ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে তিনি কোনো রাজকীয় দায়িত্বে থাকছেন না। আর যুক্তরাষ্ট্রে চলা তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে তাকে মোকাবিলা করতে হবে।
এমন এক সময় এই পদক্ষেপের খবর এসেছে, যখন প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে চলা যৌন হয়রানির দেওয়ানি মামলা প্রত্যাহারে মার্কিন বিচারকদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন তার আইনজীবীরা।
রাজকীয় সূত্রের বরাতে আলজাজিরা জানায়, প্রিন্স অ্যান্ড্রু এখন থেকে ‘হিজ রয়্যাল হাইনেস’ ব্যবহার করতে পারবেন না। তার দায়িত্বগুলো রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তা তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: মায়ের ভাস্কর্য উন্মোচন করলেন প্রিন্স উইলিয়াম-হ্যারি
ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সাবেক হেলিকপ্টার পাইলট প্রিন্স অ্যান্ড্রু ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ড যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ভার্জিনিয়া গ্রুফ্রে নামের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে যৌন হামলার করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গ্রুফের অভিযোগ, যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিত্তশালী ও ক্ষমতাবান সহযোগীদের হাতে তাকে তুলে দিয়েছিল তার প্রয়াত অর্থদাতা জেফ্রি এপিস্টেইন।
এদিকে সশস্ত্র বাহিনী থেকে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর পদমর্যাদা কেড়ে নিতে রানির কাছে চিঠি লিখেছিলেন ব্রিটিশ নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর সাবেক ১৫০ কর্মকর্তা। ৯৫ বছর বয়সী রানি দেশটির সশস্ত্র, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান।
No comments: